৬৪ শতাংশের বেশি বাংলাদেশি কোভিড টিকা নিতে আগ্রহী। ফেসবুকের যৌথ সমীক্ষায় তা দেখা গেছে। কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নির্ভুল তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে লক্ষ্যে ফেসবুক এবং ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড যৌথভাবে বিশ্ব জুড়ে এক জরিপ করেছে। জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের যত মানুষ জরিপের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, তার মধ্যে ৬৪ শতাংশের বেশি কোভিড টিকা নিতে আগ্রহী। তবে পৃথিবীর সবখানে মানুষের কোভিড টিকা নেওয়ার আগ্রহ এক রকম নয়। যেমন, ভিয়েতনামে যেখানে গড়ে ৮৬ শতাংশ মানুষের টিকা নেওয়ার আগ্রহ আছে, সেখানে ভারতে ৭২ শতাংশের। ডেটা ফর গুড প্রোগামের অংশ হিসেবে ফেসবুক একাডেমিক সহযোগিদের সঙ্গে নিয়ে জরিপ পরিচালনা করেছে। স্বাস্থ্য গবেষকদের আরও ভালো মনিটরিংয়ে সহায়তা করতে ও কোভিড-১৯ এর বিস্তার সম্পর্কে জানতে অন্যতম বৃহত্তম এই জরিপে ২০২০ সালের এপ্রিল** মাস থেকে বিশ্বের ২০০ টি দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ অংশ নেয়। জরিপটি আমাদের একাডেমিক সহযোগীদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে এবং ফেইসবুক আলাদা করে কোনো মতামত গ্রহণ করেনি। বিশ্ব জুড়ে টিকাদান কর্মসূচিতে সহযোগিতার লক্ষ্যে ফেসবুক বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে – · কোভিড-১৯-এর টিকা ও রোগ প্রতিরোধমূলক তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে দেশে দেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়, এনজিও ও জাতিসংঘের উন্নয়নমূলক সংস্থাগুলোকে ১২ কোটি ডলারের অ্যাড ক্রেডিট দেওয়া হচ্ছে। · ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে কোভিড-১৯ ও টিকা বিষয়ক ভুল তথ্য অপসারনে আমাদের প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ফেসবুকের কোভিড-১৯ ইনফরমেশন সেন্টারের মাধ্যমে গত এক বছরে বিশ্বের ১৮৯ টি দেশের ২০০ কোটির বেশি মানুষের কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি ভুল তথ্যবিশিষ্ট কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসব তথ্যের কারণে মানুষের শারীরিক ক্ষতি হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক তথ্য সরবরাহ করতে ফেসবুক স্বাস্থ্য পরিষেবা অধিদপ্তর এবং আইসিটি বিভাগের সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দ্বারা শেয়ার করা সঠিক তথ্যগুলি মানুষ যেন সহজেই পেতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য ফেসবুকের কোভিড-১৯ ইনফরমেশন সেন্টারটির বাংলা ভার্সনও দেয়া আছে। নিউজরুম পোস্ট ও অন্যান্য তথ্যের জন্য এখানে দেখুন। *২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারির পরিসংখ্যান। ** কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটিরি সঙ্গেও ফেসবুকের অংশীদারি আছে, যারা আমাদের সঙ্গে কাজের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় জরিপ করে থাকে। উভয় জরিপে সামগ্রিকভাবে ৫ কোটির বেশি মানুষ অংশ নিয়েছেন।