সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে! একসময় এদেশে অকল্পনীয় ও অবিশ্বাস্য বলে ভাবা হতো। দোরগোড়া তো দূরে থাক, বারবার ধর্ণা দিয়েও একসময় এদেশে সরকারি সেবা পাওয়া ছিল দুরূহ। কিন্তু আজ সরকারি সেবা সত্যিকার অর্থেই জনগণের হাতের মুঠোয়। আর তার দৃশ্যমান ও অনন্য উদাহরণ জাতীয় জরুরী সেবা-৯৯৯।
আনুষ্ঠানিকভাবে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের মাধ্যমে এই সেবা চালু করেন আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আজ সেই সেবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের বর্ষপূর্তি। আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর আগে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের তদারকি ও নির্দেশনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে প্রায় দেড় বছর ধরে চলে সেবাটির পরীক্ষামূলক পর্যবেক্ষণ চলে। সেই পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতেন মাননীয় আইসিটি উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়। এর ফলে উন্নত বিশ্বের মত বাংলাদেশও পায় জরুরী নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার প্লাটফর্ম-৯৯৯।
সেবা প্রদানকারী স্টেকহোল্ডার হিসেবে পরবর্তীতে তা বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যগণ ধীরে ধীরে এই সেবাকে আন্তরিকতাপূর্ণ জনসেবা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন এবং জনগণ সেই সেবার বাস্তবিক সুফল পাচ্ছেন।
পরীক্ষামূলকভাবে চালুর পর বিগত ১ বছরে ১৩ লাখের বেশী কল এসেছে কিন্তু তার মধ্যে ১০ লাখের বেশি কলই ছিল অপ্রয়োজনীয় যা কখনো কাম্য হতে পারে না।
মনে রাখবেন, আপনার একটি অপ্রয়োজনীয় কল হয়তো অন্য আরেকজনের অতীব প্রয়োজনীয় কলটি বন্ধ করে দিচ্ছে। বন্ধ হচ্ছে সেই ব্যক্তির জরুরী এই সেবার সুফল পাওয়ার পথ। তাই, আমাদের আরও বেশী সচেতন হতে হবে। সচেতন হলে পরেই অধিক সেবা প্রাপ্তি ও সেবা প্রদান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি লাভ করুক ৯৯৯।