ই-কমার্স

১০ শতাংশ ভর্তুকি নিতে হলে কি করতে হবে?

By Baadshah

February 10, 2018

নগদ সহায়তা পাওয়ার তালিকায় যোগ হয়েছে ই-কমার্সও।সফটওয়্যার, আইটিইএস (ইনফরমেশন টেকনোলজি এনাবল সার্ভিসেস) ও হার্ডওয়্যার রফতানির বিপরীতে ১০ শতাংশ ভর্তুকি দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।  আইটিইএসের তালিকায় জায়গা পেয়েছে ডিজিটাল কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, অ্যানিমেশন টুডি ও থ্রিডি, গ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (জিআইএস), আইটি সাপোর্ট অ্যান্ড সফটওয়্যার মেইনটেন্যান্স সার্ভিসেস, ওয়েবসাইট সার্ভিসেস, বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং, ডেটা এন্ট্রি, ডেটা প্রসেসিং, কলসেন্টার, গ্রাফিক্স ডিজাইন (ডিজিটাল সার্ভিস), সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ওয়েব লিস্টিং, ই-কমার্স অ্যান্ড অনলাইন শপিং, ডকুমেন্ট কনভারসেশন, ইমেজিং অ্যান্ড আর্কাইভিং, সফটওয়্যার অথবা অ্যাপি-কেশন কাস্টমাইজেশন, ওয়েব ডেভেলমেন্ট, ওয়েবসাইট হোস্টিং, ডিজিটাল ডেটা। কিন্তু এ সহায়তা পেতে কি করা লাগবে?

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা থেকে জেনে নিতে পারেন:

বাংলাদেশ হতে সফটওয়্যার, আইটিইএস (Information Technology Enabled Services) ও হার্ডওয়্যার রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি ভর্তুকি প্রদান প্রসঙ্গে। শিরোনামোক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক জানানো যাচ্ছে যে, সরকার দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ হতে সফটওয়্যার, আইটিইএস (Information Technology Enabled Services) ও হার্ডওয়্যার রপ্তানির বিপরীতে ভর্তুকি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ সুবিধা ২০১৭-২০১৮ অর্থবছর হতে জাহাজীকৃত/রপ্তানিকৃত সেবা/পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ভর্তুকি পরিশোধ বিষয়ে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের অনুসরণীয় নির্দেশাবলী নি¤েœর অনুচ্ছেদগুলোতে বর্ণনা করা হলোঃ ০২। ভর্তুকির প্রাপকপক্ষ ও প্রাপ্যতার মাত্রা ঃ নিজ¯^ কারখানায়/প্রতিষ্ঠানে তৈরী সফটওয়্যার, আইটিইএস ও হার্ডওয়্যার রপ্তানির বিপরীতে নীট এফওবি মূল্যের ওপর ১০% হারে উৎপাদনকারী/প্রস্তুতকারক-রপ্তানিকারকের ভর্তুকি প্রাপ্য হবে। বিশেষায়িত অঞ্চল (ইপিজেড, ইজেড, এইচটিপি) এ অবস্থিত প্রতিষ্ঠান হতে রপ্তানির ক্ষেত্রে আলোচ্য সুবিধা প্রযোজ্য হবে না ।

০৩। সফটওয়্যার, আইটিইএস ও হার্ডওয়্যার এর আওতাভুক্ত পণ্য/সেবা ঃ সফটওয়্যার, আইটিইএস ও হার্ডওয়্যার এর আওতাভুক্ত সেবা/পণ্যের তালিকা নি¤œরূপ ঃ

(ক) সফটওয়্যার ঃ সফটওয়্যার বলতে দেশের অভ্যন্তরে ডেভলপকৃত সকল সফটওয়্যার বুঝাবে।

(খ) আইটিইএস ঃ t Information Technology Enabled Services (আইটিইএস) এর সংজ্ঞায়নে Income-tax Ordinance, ১৯৮৪ Ordinance No. XXXVI of 1984) এর Gi 6th Schedule, Part অ, অনুচ্ছেদ-৩৩ এ বর্ণিত ব্যাখ্যা এবং জাতীয় রাজ¯^ বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত “২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে প্রস্তাবিত আয়কর খাতের উল্লেখযোগ্য সংস্কার” পত্রে বর্ণিত নি¤েœাক্ত খাতসমূহ বিবেচনা করা যেতে পারেঃ Digital Content Development and Management, Animation (both 2D and 3D), Geographic Information Services (GIS), IT Support and Software Maintenance Services, Website Services, Business Process Outsourcing, Data entry, Data Processing, Call Centre, Graphics Design (digital service), Search Engine Optimization, Web Listing, E-commerce and Online Shopping, document conversion, imaging and archiving, Software or application customization, Website Development, Website hosting, Digital data analytics, Software test lab services, Overseas medical transcription, Robotics process outsourcing, Cyber security services..

(গ) হার্ডওয়্যার ঃ হার্ডওয়্যার বলতে দেশের অভ্যন্তরে উন্নয়নকৃত কিংবা সংযোজনকৃত বা একত্রীকৃত সকল ধরণের ডিজিটাল যন্ত্র, যন্ত্রাংশ ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিকে যেমন- কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্ট ফোন, ট্যাবলেট কম্পিউটার, আইওটি ডিভাইস, আইওটি/ইন্টারনেট এনাবলড ডিভাইস, ডিজিটাল ডিসপ্লে ডিভাইস, সেমি কন্ডাক্টর এবং এ সংশ্লিষ্ট সকল যন্ত্র-যন্ত্রাংশআনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিকে বুঝাবে। ০৪। স্থানীয় মূল্য সংযোজনের মাত্রা ঃ সফটওয়্যার ও আইটিইএস রপ্তানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০% ও হার্ডওয়্যার রপ্তানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২০% স্থানীয় মূল্য সংযোজনের শর্ত প্রযোজ্য হবে। আলোচ্য খাতে রপ্তানি ভর্তুকি ও ডিউটি ড্র-ব্যাক/শুল্ক বন্ড সুবিধা একসাথে প্রযোজ্য হবে না।

০৫। রপ্তানি ভর্তুকির আবেদনপত্র দাখিলের শর্তাবলী ঃ (ক) রপ্তানিকৃত পণ্যের হ্যান্ডেলিং, মানোন্নয়ন, প্রক্রিয়াজাতকরণে নির্বাহকৃত ব্যয় এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পরিবহন এবং ফ্রেইট চার্জ পরিশোধজনিত ব্যয়ের বিপরীতে ডব্লিউটিও বিধি অনুযায়ী আলোচ্য ভর্তুকি প্রদেয় হবে।

(খ) রপ্তানি ঋণপত্র/চুক্তিপত্রের আওতায় রপ্তানি পরবর্তী পর্যায়ে প্রণীত দলিলাদি কিংবা ডকুমেন্টারী কালেকশনের মাধ্যমে প্রত্যাবাসিত রপ্তানি আয়ের বিপরীতে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখায় রপ্তানিকারকগণ ভর্তুকির জন্য ফরম-ক অনুসারে আবেদনপত্র দাখিল করতে পারবেন। টিটি ব্যবস্থায় রপ্তানি ডকুমেন্টের বিপরীতে কিংবা অগ্রিম রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবাসনের শর্তযুক্ত রপ্তানি ঋণপত্র/চুক্তির বিপরীতে রপ্তানির ক্ষেত্রে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখাকে বিদেশী ক্রেতার যথার্থতা/বিশ্বাসযোগ্যতা, মূল্যের সঠিকতা এবং বাংলাদেশ হতে প্রকৃত রপ্তানির নিমিত্তে টিটি’র মাধ্যমে মূল্য প্রত্যাবাসন সম্পর্কে টিটি বার্তার ভাষ্য ও অন্যান্য কাগজপত্রের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। টিটি’র মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে (এক্সচেঞ্জ হাউস ব্যতীত) রপ্তানি আদেশ প্রদানকারী বা আমদানিকারক কর্তৃক সম্পন্ন হতে হবে এবং টিটি বার্তার ভাষ্যে আমদানি সংশ্লিষ্ট তথ্যসূত্র উল্লেখ থাকতে হবে। সকল ক্ষেত্রে ভর্তুকির আবেদনপত্র বিদেশে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নষ্ট্রো হিসাবে রপ্তানি মূল্য আকলনের (রপ্তানি মূল্য প্রত্যাবাসনের) তারিখের ১৮০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখায় দাখিল করতে হবে। পাশাপাশি একই রপ্তানির ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন চালানের মাধ্যমে রপ্তানির বিপরীতে ভর্তুকির আবেদনপত্র দাখিলের বিষয়ে এফই সার্কুলার নং ১২, তারিখ ডিসেম্বর ২০, ২০১২ এর নির্দেশনা অনুসরণীয় হবে। তবে আলোচ্য সুবিধা প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে সে সকল আবেদনপত্র দাখিলের সময়সীমা ইতোমধ্যে অতিক্রান্ত হয়েছে সে সকল ক্ষেত্রে এ সার্কুলার জারির তারিখ হতে ৬০(ষাট) দিনের মধ্যে ভর্তুকি সুবিধার জন্য আবেদন দাখিল করা যাবে।

(গ) রপ্তানির ¯^পক্ষে প্রযোজ্য প্রয়োজনীয় দলিলাদি যেমন জাহাজীকরণের প্রমান¯^রূপ পরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত এবং প্রত্যয়নকৃত বিল অব লেডিং/এয়ারওয়ে বিল, কমার্শিয়াল ইনভয়েস, প্যাকিং লিস্ট, বিল অব এক্সপোর্ট (শুল্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত ও পরীক্ষিত এবং ড়হ-নড়ধৎফ হওয়ার ¯^পক্ষে পরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রত্যয়নকৃত) এর পূর্ণাঙ্গ সেট ইত্যাদি দাখিল করতে হবে।

০৬। অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখা কর্তৃক আবেদনপত্র গ্রহণ, পরীক্ষণ ও পরিশোধ নিষ্পত্তি ঃ (ক) রপ্তানি ভর্তুকির আবেদন ফরমের বিভিন্ন অনুচ্ছেদে যে সকল কাগজপত্র, সনদপত্র, প্রত্যয়নপত্রের উল্লেখ আছে ঐগুলো সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ আকারে আবেদনের সাথে যুক্ত থাকার বিষয়ে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক প্রাথমিক পরীক্ষণে নিশ্চিত হবে। ভর্তুকির আবেদনপত্রের সাথে সফটওয়্যার রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), হার্ডওয়্যার রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এবং আইটিইএস রপ্তানির ক্ষেত্রে বেসিস/বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব কল সেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং (বিএসিসিও) হতে সংযোজিত ছক (ফরম-খ) মোতাবেক সনদপত্র দাখিল করতে হবে। রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসকল ডকুমেন্ট ব্যাংক শাখা কর্তৃক প্রক্রিয়াকৃত হয় সেগুলোর যথার্থতা ও সেগুলোতে উল্লেখিত তথ্যাদির শুদ্ধতার বিষয়েও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখা নিশ্চিত হবে।

প্রাথমিক পরীক্ষণে পরিলক্ষিত ত্রæটির/অসম্পূর্ণতার (যদি থাকে) বিষয়ে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখা আবেদনপত্র প্রাপ্তির ০৩(তিন) কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করবে।

(খ) আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ক্ষমতার (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উপযুক্ত পেশাজীবী জনবল) সাথে আবেদনপত্রে উল্লিখিত রপ্তানি সামঞ্জস্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার লক্ষ্যে প্রযোজ্য কাগজপত্রাদি প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আবেদনকারী হতে অতিরিক্ত ব্যাখ্যা/তথ্যাদি এবং রপ্তানি ও রপ্তানি মূল্য প্রত্যাবাসন বিষয়ে ব্যাংক শাখার ¯^ীয় রেকর্ড হতে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অন্য ব্যাংক শাখা হতে সংগৃহীত তথ্যাদি/সনদপত্র সংযোজনান্তে আবেদনপত্র পূর্ণাঙ্গ ও সম্পূর্ণ আকার প্রাপ্ত হওয়ার পর অনুমোদিত ডিলার পরিশোধযোগ্য অংক নিরূপন করবে। সংশ্লিষ্ট আবেদন ফরমে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখা কর্তৃক ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত অংশের নির্দেশনাগুলো পর্যায়ক্রমিকভাবে অনুসরণ করে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

(গ) ভর্তুকির আবেদনপত্র মোতাবেক প্রদেয় অর্থের সঠিকতার বিষয়ে নিযুক্ত বহিঃনিরীক্ষক ফার্ম দ্বারা প্রতিটি আবেদনপত্র নিরীক্ষা করাতে হবে। নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পাদনের পর অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মাধ্যমে রপ্তানি ভর্তুকিবাবদ পরিশোধ্য অর্থের দাবী প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের একাউন্টস এন্ড বাজেটিং বিভাগে ফরম-গ অনুযায়ী প্রেরণ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ছাড়কৃত ভর্তুকির প্রেক্ষিতে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে পরিশোধিত অর্থের বিবরণী ফরম-ঘ অনুসারে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মাধ্যমে পরবর্তী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়ের বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগে দাখিল করতে হবে।

(ঘ) প্রতিক্ষেত্রে ভর্তুকি পরিশোধ অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবাসন সনদপত্র (গাইডলাইন্স ফর ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন-২০০৯, ভলিউম-১ এর এপেন্ডিক্স-৫/২৩ অনুযায়ী), জাহাজীকরণের প্রমান¯^রূপ বিল অব লেডিং/এয়ারওয়ে বিল, কমার্শিয়াল ইনভয়েস, প্যাকিং লিস্ট ও শুল্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রত্যয়নকৃত বিল অব এক্সপোর্ট এর ওপরে সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে ভর্তুকি পরিশোধিত মর্মে সীল এবং পরিশোধ অনুমোদনকারী কর্মকর্তার সীলসহ ¯^াক্ষর সন্নিবেশ করতে হবে, যাতে ঐ সকল দলিলাদি অপব্যবহারের সুযোগ না থাকে। অদৃশ্য আকারে সফটওয়্যার/আইটিইএস রপ্তানির ক্ষেত্রে ঋড়ৎসধঃ-অ মোতাবেক ইস্যুকৃত সনদপত্র, কমার্শিয়াল ইনভয়েস, রপ্তানি সংশ্লিষ্ট এসোসিয়েশন কর্তৃক ইস্যুকৃত সনদপত্র প্রভৃতির ওপরে সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে ভর্তুকি পরিশোধিত মর্মে সীল এবং পরিশোধ অনুমোদনকারী কর্মকর্তার ¯^াক্ষর সন্নিবেশ করতে হবে।

একই রপ্তানির আওতায় একই সুবিধার জন্য চলমান পাতা-৩ -৩- একাধিকবার পিআরসি ইস্যুকৃত না হওয়ার বিষয়ে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখাকে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এছাড়াও আবেদনপত্র প্রক্রিয়াকরণের পূর্বে এফ,ই সার্কুলার নং ৩০, তারিখ আগষ্ট ১৬, ২০১৭ এর নির্দেশনা অনুসারে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারকের রপ্তানিমূল্য অপ্রত্যাবাসিত না থাকার বিষয়টি অনুমোদিত ডিলার ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন এক্সপোর্ট মনিটরিং সিস্টেম থেকে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। তবে অদৃশ্য আকারে সফ্টওয়্যার/আইটিইএস রপ্তানির আবেদন প্রক্রিয়াকরণের পূর্বে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে বিগত ২ বছরে কোন রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবাসন মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় নেই মর্মে ঘোষনা গ্রহণ করতে এবং উক্ত ঘোষনা মিথ্যা প্রমানিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যাবে মর্মে অংগীকার থাকতে হবে।

(ঙ) অদৃশ্য আকারে সফটওয়্যার/আইটিইএস সেবা রপ্তানির বিপরীতে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখাকে রপ্তানিকারকের কণঈসহ অগখ/ঈঋঞ স্ট্যান্ডার্ড যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে, যাতে প্রকৃত সফটওয়্যার/আইটিইএস সেবা রপ্তানির বিপরীতে ভর্তুকি পরিশোধিত হয়।

(চ) ভর্তুকি পরিশোধ নিষ্পত্তি সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনের/সরকারী বাণিজ্যিক নিরীক্ষা বিভাগের পরীক্ষণের জন্য পরিশোধের তারিখ হতে অন্যূন ০৩(তিন) বছর পর্যন্ত শাখায় সংরক্ষণ করতে হবে।

(ছ) রপ্তানি সংক্রান্ত বিষয়ে কোন অস্পষ্টতা দেখা দিলে বা তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও অডিট ফার্ম, রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো, টিসিবি ভবন, ১ কাওরান বাজার, ঢাকা এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, ই-১৪/এক্স, বিসিসি ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা হতে পরামর্শ গ্রহণ করবে।

০৭। নিয়মবহির্ভূতভাবে ভর্তুকি পরিশোধের শাস্তিমূলক ব্যবস্থাদি ঃ

(ক) বিধিবহির্ভূতভাবে ভর্তুকি পরিশোধ করা হলে পরিশোধকৃত অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে রক্ষিত পরিশোধকারী ব্যাংকের হিসাব বিকলনপূর্বক আদায় করা হবে।

(খ) সংঘটিত অনিয়মের সংগে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(গ) সংঘটিত অনিয়মের সাথে রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের কোন কর্মকর্তা যুক্ত থাকলে অথবা মিথ্যা তথ্য দিয়ে অনিয়মে সহযোগিতা করলে রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন/কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যাবে।

০৮। ভর্তুকি বাবদ অর্থ পরিশোধ প্রক্রিয়া ঃ সরকারী বাজেট বরাদ্দের বিপরীতে ছাড়কৃত তহবিল হতে ভর্তুকি বাবদ দাখিলকৃত আবেদনের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অনুক‚লে অর্থ প্রদান করা হবে। সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে বিষয়টি অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে ।