বেতনের বা অর্থ উপার্জনের পরিমাণ যা-ই হোক না কেন, তা সঠিকভাবে খরচ করতে হবে। তাতে আপনার সঞ্চয় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। এতে কোন সন্দেহ নেই। সে জন্য বেতন পাওয়ার পর প্রথমেই কিছু সঞ্চয় করুন। আর দ্বিতীয়ত সাধ্যমত কিছু দান করে দিন।
শুনতে অবাক লাগলেও সব ধর্মেই এ ব্যাপারে উপদেশ দেওয়া আছে। পাশাপাশি জ্যোতিষ শাস্ত্রমতে এ কথার গুরুত্ব প্রবলভাবে রয়েছে। বিভিন্ন ধর্মমতে, উপার্জনের টাকা সঠিকভাবে খরচ ও সঞ্চয় না করলে জীবনে সমস্যা কাটিয়ে ওঠা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
তাই বেতন পাওয়ার পর এ কাজ দু’টি করলে সওয়াব বা পুণ্য অর্জনের সাথে সাথে সৌভাগ্যও বেড়ে যায়। ফলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পারস্পারিক মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জীবনে সুখ-শান্তি বজায় থাকে।
সঞ্চয় নিজের জন্য হলেও দান করার ফলে অজস্র পুণ্য লাভ হয়। তাই বেতন পাওয়ার পর যতটুকু সম্ভব দান করতে হবে। তবে দান করার সময় মনে কোন ধরনের অহংকার বা দম্ভ প্রকাশ করা যাবে না। স্বার্থহীনভাবে মনে আনন্দ রেখে দান করতে হবে।
যদি কোনভাবে অহংকার ও দম্ভ প্রকাশ পায়, তাহলে পুণ্য পাওয়া যায় না। তাই বেতন পাওয়ার পর খরচ করার আগে নিজের স্বার্থে সামান্য অংশ হলেও সঞ্চয় ও দান করতে হবে। দান করার পাশাপাশি জীবনে বুঝে খরচ করা এবং সঞ্চয় করা অনেক বেশি জরুরি।