প্রযুক্তি জায়ান্ট আমাজন এবার নিয়ে আসছে গৃহস্থালি রোবট। ধারণা করা হচ্ছে আসছে বছর ব্যবহারকারীরা আমাজনের এ নতুন প্রযুক্তি পণ্য হাতে পাবেন। আলোড়ন সৃষ্টি করা নতুন প্রযুক্তি পণ্য আনার ক্ষেত্রে আমাজনের বেশ সুনাম রয়েছে। দশ বছর আগে তারা বাজারে আনে ‘কিন্ডলে’। পড়ার এই ডিজিটাল ডিভাইজ মানুষের পাঠাভ্যাসে পরিবর্তন নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এর আগে কোন ডিজিটাল ডিভাইজের সাহায্যে বই পড়া যেতে পারে এমনটা ছিল ভাবনার বাইরে।
আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোফ ওখানেই থেমে থাকতে চাননি। চার বছর আগে তিনি বাজারে আনলেন ‘ইকো’। এই ডিভাইজের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ কথা বলতে শুরু করলো একটি কম্পিউটারের সাথে। এরই ধারাবাহিকতায় আমাজন নতুন চমক নিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ।
আমাজন গৃহস্থালি রোবট তৈরীর এই উচ্চাকাঙ্খী প্রকল্পকে খুবই গোপনীয়তার সাথে পরিচালনা করছে। তাদের রোবটটির নাম রাখা হয়েছে রোমান দেবী ‘ভেসতা’র নাম অনুসারে। রোবট বানানোর এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে আমাজনের বিখ্যাত ল্যাব১২৩ তে। ক্যালিফোর্নিয়ার সানভ্যালিতে অবস্থিত এ ল্যাবে এর আগে তৈরি করা হয়েছিল আমাজনের ইকো স্পিকার, ফায়ার টিভি সেট-টপ-বক্স এবং ফায়ার ফোনের মত চমক জাগানো পণ্য। ২০১৯ সাল নাগাদ সাধারণ মানুষ ভেসতার প্রটোটাইপ ব্যবহার করতে পারবে।
রোবটের সাথে আমাজনের সম্পর্ক বহু পুরনো। অনেক আগে থেকেই তাদের ওয়ের হাউজের পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করে এক ঝাঁক রোবট। যার ফলে কোটি কোটি পণ্য ব্যবস্থাপনা ও তাদের শিপমেন্ট ঠিক রাখা সম্ভব হচ্ছে।
আমাজন কোন তথ্য প্রকাশ না করায় নতুন এই রোবটটি কেমন তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছে। সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে এটি পুরোপুরি গৃহপরিচারক ধরনের কোন রোবট হবে না। তবে ‘ইকো’ ডিভাইজটি দিয়ে যেসব কাজ করা যায় যেমন: ঘরের তালা, আলো ও বিভিন্ন গ্যাজেট নিয়ন্ত্রণ করা, ওয়েব সার্চ করা, কাউন্টডাউন করা ইত্যাদি কাজের বাইরে আরো কিছু কাজও করবে রোবট ‘ভেসতা’। যেমন: আপনি হয়ত রোবটটিকে বলতে পারেন, ‘অ্যালেক্সা, বাথরুম থেকে টয়লেট পেপারটা আনো এবং সুমনকে দাও’, অথবা বলতে পারেন ‘অ্যালেক্সা, খুব গরম পড়েছে, এক বোতল কোক দাও’।
বলা হচ্ছে আহত, অক্ষম ও বয়স্ক মানুষজন যাদের কিছুটা বাড়তি সাহায্য প্রয়োজন তাদের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করা আমাজনের ‘ভেসতা’ হবে খুব কার্যকর একটি টুল।