ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৪ এর আওতায় রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার ক্রেতাদের এ সুযোগ দিচ্ছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ‘কে হবেন আজকের মিলিয়নিয়ার’ শীর্ষক সুবিধায় সম্প্রতি ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন রাজশাহীর পবা উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের তরুণ কৃষক মো. সাকিব।
সাকিব গত ৪ আগস্ট হাটরামচন্দ্রপুর বাজারের ওয়ালটন পণ্যের পরিবেশক মেসার্স লাজ এন্টারপ্রাইজ-এর সাব-ডিলার ‘এম আর ইলেকট্রনিক্স’ থেকে মাত্র ২২ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে ১১ সিএফটির একটি ফ্রিজ কেনেন। এরপর ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় ফ্রিজটি রেজিস্ট্রেশন করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তার মোবাইল ফোনে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায়। যার ফলে বদলে গেছে এই কৃষক পরিবারের ভাগ্য।
গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে সাকিবের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। এসময় উপস্থিত ছিলেন হাটরামচন্দ্রপুর ডিগ্রী কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল রফিকুল ইসলাম, লাজ এন্টারপ্রাইজ-এর ¯^ত্ত¡াধিকারী শফিউল আযম বাবু, এম আর ইলেকট্রনিক্স-এর ¯^ত্ত¡াধিকারী মুকুল হোসেন এবং ওয়ালটনের রাজশাহী জোনের এরিয়া ম্যানেজার ফজলে রাব্বি সিদ্দিকীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ওয়ালটনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সাকিব। তিনি জানান, টাকার অভাবে মাত্র অষ্টম শেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করতে পেরেছেন। এরপরই নেমে যেতে হয়েছে জীবনযুদ্ধে। মা-বাবা, স্ত্রী আর এক ছেলে নিয়ে ৫ সদস্যের পরিবার। সবার মুখে অন্ন যুগিয়ে একটি ফ্রিজ কেনার জন্য অল্প অল্প করে কিছু টাকা জমান। এর আগে একটি ওয়ালটন মোবাইল ফোন কিনে ব্যবহার করছেন। তিনি দেখেছেন ওয়ালটনের পণ্য দামে যেমন সাশ্রয়ী, তেমনি উচ্চমানের। ফলে কষ্টার্জিত টাকায় সেরা ফ্রিজটি কিনতে ওয়ালটনকেই বেছে নেন তিনি।
সাকিব বলেন, ‘নিজের অল্প কিছু জমি আছে। এছাড়াও অন্যের জমিতে চাষাবাদ করি। সেই আমিই কিনা এখন মিলিয়নিয়ার! ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে আমার ভাগ্য বদলে গেলো। এই টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করবো। কিছু টাকা মসজিদে দান করবো। আমার ভাগ্য পরিবর্তন করে দেয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।’
ভাইস প্রিন্সিপাল রফিকুল ইসলাম বলেন, ইলেকট্রনিক্স পণ্যের জগতে ওয়ালটন বাংলাদেশে বিপ্লব ঘটিয়েছে। দেশে এখন ফ্রিজ মানেই ওয়ালটন। তাদের কারণে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। এ খাতে ওয়ালটন এগিয়ে আসায় এসব পণ্যে আমাদের বিদেশ নির্ভরতাও কমছে। ওয়ালটন পণ্যের ব্যবহারকারী হিসেবে আমিও গর্বিত।
উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরি করছে ওয়ালটন। সেজন্য তারা সারা দেশে চালাচ্ছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ওই ক্যাম্পেইনে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে ওয়ালটন ঘোষণা করেছে ‘কে হবেন আজকের মিলিয়নিয়ার’ শীর্ষক সুবিধা। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন শোরুম থেকে ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করলে ক্রেতারা পেতে পারেন ১০ লাখ টাকা। রয়েছে ১ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন অঙ্কের নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার কিংবা ফ্রিজ, টিভিসহ বিভিন্ন পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ। এসব সুবিধা থাকছে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।