দেশে ইন্টারনেট স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রধান হুমকিগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে আজ বাংলাদেশ ইন্টারনেট স্বাধীনতা উদ্যোগ ওয়ার্কিং গ্রুপ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে একটি কর্মশালা আয়োজন করে।
রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধি, কূটনীতিক, জাতিসংঘের প্রতিনিধি, , শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অধিকারকর্মীসহ ৩৫ জন অংশ নেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন আর্টিকেল নাইনটিন এ কর্মশালা আয়োজনে সহযোগিতা করে।
কর্মশালাটি পরিচালনা করেন ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ ল’য়ের সিনিয়র লেকচারার মো. সাইমুম রেজা তালুকদার। ওয়ার্কিং গ্রুপের পক্ষে তিনি ‘ইন্টারনেট স্বাধীনতা: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক একটি ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন।
আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ’’ডিজিটাল নিরাপত্তা আর নাগরিকের ডিজিটাল স্বাধীনতা সমান গুরুত্বপূর্ণ। দেশে ইন্টারনেট স্বাধীনতা ও ডিজিটাল অধিকারের বিষয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা কম। ইন্টারনেট স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক উভয়ধরণের হুমকি সম্পর্কে ব্যবহারকারীকে সচেতন হতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সকল অংশীজনের সম্মিলিতে উদ্যোগ প্রয়োজন।’’
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা ইন্টারনেট স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বিভিন্ন হুমকি, হুমকির উৎস ও কারণ, ক্ষতিগ্রস্থ অংশীজন প্রভৃতি চিহ্নিত করেন। চিহ্নিত প্রধান হুমকিসমূহের মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, এই আইন সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ডিজিটাল ডিভাইস ও প্লাটফর্ম ব্যবহার বিষয়ে অসেচতনতা, সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতি প্রণয়নে অস্বচ্ছতা ইত্যাদি। এসব হুমকি মোকাবিলায় অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন সুপারিশও প্রদান করেন। ইন্টারনেট স্বাধীনতা উদ্যোগ ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রাপ্ত সুপারিশ বাস্তবায়নে নাগরিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে একাত্ম হয়ে প্রাসঙ্গিক নীতি প্রণয়নে সরকারকে সহযোগিতা করবে .