ছোটপর্দার পরিচিত মুখ তানজিন তিশা প্রিমিয়াম স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ইনফিনিক্সের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নতুন করে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। আগামী এক বছর তিনি ইনফিনিক্স ব্র্যান্ড ও কোম্পানিটির বিভিন্ন ডিভাইস এর প্রচারে অংশ নেবেন। জনপ্রিয় এই মডেল বিগত বছরেও ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডরের দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশের স্মার্টফোনপ্রেমী ও বিশেষ করে গেমিংভক্ত তরুণদের কাছে ‘ব্র্যান্ড অব চয়েস’ অর্থ্যৎ ‘পছন্দের ব্র্যান্ড’ তকমায় দ্রুতই জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইনফিনিক্স। ব্র্যান্ডের এই প্রসারে বিগত বছরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তানজিন তিশা। তাকে সঙ্গে নিয়ে ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডটির মানসম্পন্ন স্মার্টফোনগুলো আরো বিস্তৃত পরিসরে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে বলে আশা করছে।
ইনফিনিক্সের সঙ্গে নতুন করে আবারো চুক্তিবদ্ধ হবার ব্যাপারে তানজিন তিশা বলেন, “আকর্ষণীয় ডিজাইন, নান্দনিক ফিচার ও গুণগত মানের ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনগুলো সহজেই এ দেশের গ্রাহকদের মন জয় করে নিয়েছে। তরুণ প্রজন্মের একজন প্রতিনিধি হিসেবে তাদের-ই প্রিয় একটি ব্র্যান্ডের প্রচারের দায়িত্ব পেয়ে আমি ভীষণভাবে গর্বিত! এ বছর আরো আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ও উদ্ভাবনী স্মার্টফোন বাজারে এনে ইনফিনিক্স নিজের অবস্থান দৃঢ় করবে এমনটাই বিশ্বাস করি।”
এদিকে ইনফিনিক্স জানিয়েছে, আকর্ষণীয় ডিজাইন ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ইনফিনিক্সের স্মার্টফোনগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করার ক্ষেত্রে তানজিন তিশাই এখন পর্যন্ত ব্র্যান্ডের সেরা পছন্দ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে বাংলাদেশের গ্রাহকদের কাছে ইনফিনিক্সের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। আবারো তাকে শুভেচ্ছাদূত করতে পেরে ইনফিনিক্স পরিবার আনন্দিত। নতুন বছরে ব্র্যান্ডকে ঘিরে কোম্পানির পরিকল্পনা সমূহ বাস্তবায়নে তানজিন তিশা জোরাল ভূমিকা রাখবেন।
নতুন বছরকে ঘিরে ইতোমধ্যে ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডটির বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে দেশের প্রথম সারির টেক রিভিউয়ার ও সোস্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের অন্তর্ভুক্ত করেছে। এছাড়া, তারা ইনফিনিক্সের বছরব্যাপী হওয়া নানা প্রমোশনাল ক্যাম্পেইনেও সম্পৃক্ত ছিলেন। প্রিমিয়াম এই ব্র্যান্ডের জন্য টেক রিভিউয়ার ও সোস্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের ভালোবাসা এবং কাজের প্রতি সম্মান জানাতে তাদের ক্রেস্ট ও গিফট সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়েছে। একইদিনে শুভেচ্ছাদূত তানজিন তিশার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করে ইনফিনিক্স। এ সময় ইনফিনিক্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার লুয়ি, মার্কেটিং ম্যানেজার রবার্ট, পিআর ম্যানেজার তেহসিন মুসাভী ও ট্রান্সসিয়ন বাংলাদেশ লিমিটেডর এর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) শ্যামল কুমার সাহা সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইনফিনিক্স সম্পর্কে:
বিশ্বব্যাপী মোবাইলের ডিজাইন, তৈরি এবং বাজারজাতকরণে দ্রুত বর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স মোবাইল ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। নিজেদের ব্র্যান্ডের ডিভাইসগুলো ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে দিতে বড়সড় পোর্টফোলিও নিয়ে কাজ করছে ইনফিনিক্স। জেড প্রজন্মকে লক্ষ্য করে ইনফিনিক্স নিপুনভাবে ডিজাইন করা স্মার্টফোনের নান্দনিক স্টাইল, ক্ষমতা এবং পারফরমেন্সসহ কাটিং-এইজ প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে। ডিভাইসগুলোকে ট্রেন্ডি লুক দেয়া এবং প্রান্তিক ব্যবহারকারী কাছে সহজলভ্য করার ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে আছে তারা। ‘ফিউচার ইজ নাউ’কে ধারণ করে, ইনফিনিক্স তরুণ গ্রাহকদের এমন সব সুবিধা হাতের নাগালে এনে দিতে চায় যাতে বাজারে থাকা প্রতিযোগীদের ভিড়ে বিশ্বকে তাদের সক্ষমতার কথা জানান দিতে পারে। ইনফিনিক্সের পোর্টফোলিতে থাকা পণ্যগুলো আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে পৌঁছে গেছে। ইনফিনিক্সের বর্তমান বাজার অভাবনীয় দ্রুত গতিতে বাড়ছে। ২০১৮-২০২০ সালে ১৬০% শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আকর্ষণীয় ডিজাইন ও শক্তিশালী ফিচারসহ ফ্ল্যাগশিপ-পর্যায়ের ডিভাইস তৈরি অব্যাহত রাখতে আগামী দিনগুলোতে বিশাল পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।