দেশে দেড় কোটি মানুষ প্রতিবন্ধীতার শিকার বা বিভিন্নভাবে সক্ষম। এদেরকে মূল স্রোতে নিয়ে আসতে হবে। প্রযুক্তির সাহায্যে তাদেরকে দেশের উন্নয়নের কাজে লাগাতে হবে, বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। শনিবার রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে অনুষ্ঠিত ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় আইসিটি প্রতিযোগিতা ২০১৮’ এর সমাপণী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে তাদেরকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সুযোগ দিতে হবে।মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রতিবন্ধীদের সহায়তার জন্য বিভিন্ন অ্যাপস তৈরি করতে হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির নীতিমালায় প্রতিবন্ধীদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাবনা রয়েছে। প্রতিবন্ধীরা প্রযুক্তির সবচেয়ে বেশি সুবিধা ব্যবহার করতে পারে। তাই দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাদেরকে কাজে লাগাতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির সুফল প্রতিবন্ধীদের মাঝে তুলে ধরতে হবে। এর আগে সকাল থেকে কয়েকটি বিভাগে প্রতিযোগীতায় লড়েন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা। প্রতিযোগিতার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিভাগে সেরা তিন জন হলেন নওগাঁ জেলার মো. আব্দুস সোবহান, চাঁদপুরের আসিফ করিম পাটোয়ারী এবং লালমনিরহাটের মো. মোখলেছুর রহমান।শারীরিক প্রতিবন্ধী বিভাগে পুরস্কার পান টাঙ্গাইলের সুমা আক্তার, ময়মনসিংহের মো. আনারুল ইসলাম এবং নরসিংদীর রহিজুদ্দিন মিয়া।
বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিভাগে সেরা হয়েছেন তিনজন নারী। এরা হলেন লুৎফুন নাহার মিমু, সোমাইয়া ফেরদৌস মুন্নি এবং মেহেরুন নেসা মুন।নিউরো ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক বা অটিজম) সেরা তিন জন হলেন আহনাফ তাহমিত স্বপ্নিল, এসএম ফেরদৌস ইকরাম এবং অমিত সুজাউদ্দিন তুরাগ।আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অমিত সম্ভাবনার অধিকারী দেশের যুব প্রতিবন্ধীদের আইসিটি চর্চার উদ্বুন্ধ করা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় পর্যায়ে আইসিটি প্রতিযোগিতা ২০১৮ আয়োজন করে। সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, সেন্টার ফর সার্ভিসেস অ্যান্ড ইনফরমেশন অন ডিজঅ্যাবিলিটির (সিএসআইডি) নির্বাহী পরিচালক খন্দকার জহুরুল আলম। স্বাগত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) মোহাম্মাদ এনামুল কবির। সারাদেশে থেকে আগত মোট ৬০ জন প্রতিযোগী চার ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিরা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট ও ইন্টারনেট এ চারটি বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে সেরা প্রথম তিনজনকে পুরস্কার হিসেবে অর্থ, ক্রেস্ট, স্মার্টফোন এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।আয়োজন সহযোগিতায় ছিলো সিএসআইডি ও ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক। স্পন্সর হিসেবে ছিলো ওয়ালটন কম্পিউটার ও ফিফোটেক।
তথ্যসূত্র: টেকশহর ডটকম।