ব্যবসা করতে যান, আর কোনো উদ্যোগ নেন, ফান্ড না থাকলে তা ঠিকমতো চালানো কঠিন। নিজের না থাকলে তখনই বড় দুশ্চিন্তার নাম হয়ে পড়ে ফান্ড। কোথায় পাওয়া যায় ফান্ড? ফান্ড জোগাড় করার আগে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, কেউ আপনাকে ফ্রি টাকা দেবে না। কেউ হয়তো অল্প কিছু ধার দেনা দিতে পারে কিন্তু তা সাময়িক। তাহলে ফান্ড জোগাড়ের উপায় কি? কেউ কেউ সরকারি ফান্ড পাওয়ার চেষ্টা করেন। স্টার্টআপ হিসেবে সরকারের কয়েকটি কমসূচিতে অল্প কিছু ফান্ড দেওয়া হয়। এর বাইরে আছে কিছু বেসরকারি বা প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ। ফান্ড সংগ্রহে কাজ করেছেন, এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আপনার উদ্যোগ খুব ভালো হলে বা ব্যবসা ভালো হলে বড় কোনো প্রতিষ্ঠান হয়তো এগিয়ে আসবে। কিন্তু তারা যে শত আপনার সামনে রাখবে তাতে আপনার কোম্পানি মোটামুটি তাদের হাতে তুলে দিয়ে আসা লাগবে। তাই বলে কি দমে যাবেন? না। ফান্ড সংগ্রহের কয়েকটি উপায় নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।
বাংলাদেশে স্টার্টআপ কালচার শুরু হয়েছে কয়েক বছর আগে। এখন সীমীত আকরে ফান্ডিং হচ্ছে। যদিও বড় প্রতিষ্ঠান খুব বেশি এগিয়ে আসেনি। সরকারি পর্যায়ে বেশ কিছু ফান্ডিং করা হয়। এ জন্য বেশ কিছু স্ক্রিনিং পর্যায় পার হতে হয়। কয়েকটি লিংকে গিয়ে জেনে আসতে পারেন এসব ফান্ডিং সম্পর্কে:
টেলকো ফান্ডিং
উদ্ভাবনী আইডিয়া বা প্রকল্পগুলোকে সহযোগিতা করতে বা নিজেদের কাজে লাগাতে কিছু সাহায্য করে টেলকোগুলো। কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে নিজের উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে পারেন। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের একসিলেরেটর ও বাংলালিংক ইনোভেটরসের নাম না বললেই নয়।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল
এবার আলোচনা করব দেশের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল নিয়ে। দেশে বেশ কয়েকটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফাম কাজ করছে। এসব ফাম থেকে ইতিমধ্যে দেশের বেশকিছু প্রতিষ্ঠাকে অথায়ন করা হয়েছে। কিন্তু এসব ফাম থেকে অথ পেতে কঠোর কিছু নিয়মনীতি বা শর্তে রাজি হতে হয়। এর অবশ্য নানা কারণ থাকে। ভেঞ্চার ক্যাপিটালের এক কমকর্তা বলেন, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অর্থায়ন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এটি একটি নতুন আর্থিকখাত বিধায় এ খাতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনেক সংশয় আছে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এর বিনিয়োজিত অর্থ ফেরত পেতে কমপক্ষে ৭-৮ বছর সময় লাগে। এ সময় তাদের টিকে থাকা খুব দুষ্কর। স্টার্ট আপরা ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, কোথাও থেকে আর্থিক সহায়তা পায় না। পৃথিবী ব্যাপী ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি রাই তাদের অর্থের যোগান দিয়ে থাকে। তাই বাংলাদেশে স্টার্ট আপ বা উদ্ভাবনী উদোগের বিকাশের স্বার্থে ভেঞ্চার ক্যাপিটালের বিকাশ প্রয়োজন। বাংলাদেশে পরিচিত ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মধ্যে আছে বিডি ভেঞ্চার, ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, বিডি ভেঞ্চার লিমিটেড, মসলিন ক্যাপিটাল লিমিটেড, ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লি, বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেড, লংকা বাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, এথেনা ভেঞ্চার এবং ইকুইটি লিমিটেড।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল পদ্ধতি
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম বা কোম্পানি নির্দিষ্ট উদ্দেশে (যেমন আইটি, আইটিইএস, বায়ো মেডিক্যাল ইত্যাদি) গঠিত ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড বা তহবিল’ উত্তোলন করে। বড় বড় প্রতিষ্ঠান বা বিত্তশালী ব্যক্তিবর্গ এই ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন। সাধারণ বা খুচরা বিনিয়োগকারীকে এই ধরনের তহবিলে বিনিয়োগ করতে নিরুৎসাহিত করা হয়। কারণ এতে ঝুঁকি বেশি এবং ফল আসে দেরিতে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম বা কোম্পানি এই তহবিল ব্যবস্থাপনা করে। বিনিময়ে তারা ব্যবস্থাপনা ফি পায়। ভেঞ্চার ফান্ডের মেয়াদ দীর্ঘ। ৫ থেকে ১৫ বছর। ভেঞ্চার ফান্ডে যারা বিনিয়োগ করে তাদের লিমিটেড পার্টনার বা এলপি বলে। আর যারা এই ফান্ড ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগ করে তাদের জেনারেল পার্টনার বা জিপি বলে। জেনারেল পার্টনাররা টাকার সাথে সাথে নিজেরা তহবিল ব্যবস্থাপনায় জড়িত থাকেন। স্টার্ট আপ বাছাই করেন, নিরীক্ষা বা ডিউ ডেলিজেন্স করেন। বিনিয়োগের পর বিনিয়োজিত প্রতিষ্ঠান দেখভাল করেন, তাদের পর্ষদে পরিচালক হিসাবে বসেন। ভেঞ্চার ফান্ড থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা হয়। ভেঞ্চার ফার্ম বা কোম্পানি এই বিনিয়োগের ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। বিনিয়োগ দীর্ঘ মেয়াদের। তিন থেকে আট বছর পর্যন্ত। বিনিয়োগ প্রধানত সাধারণ শেয়ার ও আংশিক পুঁজির (কোয়াজি ইক্যুটি) মাধ্যমে করা হয়। মেয়াদ শেষে অথবা সুবিধাজনক সময়ে ভেঞ্চার ফার্ম সেই শেয়ার বিক্রি করে দেয়। কখনও লাভে আবার কখনও লোকসান দিয়ে। বিনিয়োজিত কোম্পানি দেউলিয়া হলে পুরো বিনিয়োগ জলে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এসোসিয়েশন এর হিসাব অনুযায়ী সেদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভেঞ্চার ক্যাপিটালের বিনিয়োগ এর ৫ বছরের গড়ে দেখা যায়, ২৫ শতাংশের ক্ষেত্রে ক্রয় মুল্যের কমে অর্থাৎ লোকসান দিয়ে শেয়ার বিক্রয় করতে হয়েছে। পক্ষান্তরে ২০ শতাংশের ক্ষেত্রে, প্রায় পৌনে ৬ বছরে, বিক্রয় মূল্যের ১০ গুণ বা ততোধিক মূল্য মিলেছে।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল একটি উদ্যোগের বিভিন্ন পর্যায়ে অর্থায়ন করে; যথাঃ সিড বা বীজ, অর্থাৎ ব্যবসা যখন উদ্যোক্তার মনে আইডিয়া আকারে থাকে (২) প্রাথমিক পর্যায় – উদ্যোক্তা ব্যবসা শুরুর জন্য কাজ শুরু করেছে কিন্তু বিক্রয় শুরু হয়নি (৩) সম্প্রসারণ – বিক্রি শুরু হয়েছে কিন্তু কোম্পানি লাভ করছে না (৪) বর্ধিষ্ণু – আইডিয়া পরিক্ষিত, ভালো আয় আসছে, ব্রেক ইভেন হয়েছে বা কাছাকাছি।
আমরা জানি, নতুন কোনো উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান উপরোক্ত পর্যায়ে কোনো প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয় না। তবে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটে, তার পূর্ববর্তী রেকর্ড বা অন্যান্য ব্যবসার উপর নির্ভর করে। ব্যাংক ঋণ পাওয়ার জন্য আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় নিয়ামক (১) ব্যবসাটি লাভজনক হতে হবে (২) ব্যবসা বা উদ্যোক্তার পূর্ব সাফল্যর উদাহরণ থাকতে হবে (৩) জামানত হিসাবে বন্ধক দেয়ার মত স্থাবর সম্পত্তি থাকতে হবে। নতুন উদ্যোক্তার এইসব কোনো যোগ্যতাই থাকে না। সেক্ষেত্রে ভেঞ্চার ক্যাপিটালই তার একমাত্র ভরসা।
শুধু দুস্প্রাপ্যতা বা প্রাপ্তির জটিলতা নয়, নতুন উদ্যোক্তার জন্য ব্যাংক ঋণ, প্রকৃতিগতভাবে, অসুবিধাজনক। ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পর থেকেই সুদ আরোপ শুরু হয়। অথচ ব্যবসার প্রাথমিক পর্যায়ে লোকসান হওয়া স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে সুদ- বোঝার ওপর শাঁকের আটি। তদুপরি ঋণ বা ঋণের কিস্তি পরিশোধের জন্য বড় জোর ৩ বা ৬ মাস গ্রেস পিরিয়ড পাওয়া যায়। তারপর ঋণ পরিশোধ করতে হয়- অথচ বাড়ন্ত শিশুর খাদ্য চাহিদার মত ব্যবসারও তখন প্রয়োজন অতিরিক্ত অর্থের।
ভেঞ্চার ক্যাপিটালকে বলা হয় স্মার্ট মানি। এখানে শুধু অর্থ নয়, তারও অধিক কিছু মিলে। বুদ্ধি পরামর্শ, নেটওয়ার্ক ইত্যাদি। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল’র (বিনিয়োজিত কোম্পানিতে) বিনিয়োগ, ঋণের মত, নিরাপদ নয়। ঋণের ক্ষেত্রে জামানত থাকে। জামিনদার থাকে। আইনের সুরক্ষা থাকে। ঋণীকে একগাদা আইনি কাগজপত্রে সাক্ষর দিতে হয়। পক্ষান্তরে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, বিনিয়োজিত কোম্পানির লাভ লোকসানের ভাগিদার। উক্ত কোম্পানির লোকসান মানে তার লোকসান। তাই ভেঞ্চার ক্যাপিটাল’র পার্টনাররা বিনিয়োজিত কোম্পানিতে অনেক বেশি জড়িত হয়। আগ্রহ নেয়। সে জন্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ভেঞ্চার ক্যাপিটালের বিনিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক কম।
যুক্তরাষ্ট্র ভেঞ্চার ক্যাপিটেল’র সুতিকাগার। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৫৮ সালে ‘ক্ষুদ্র ব্যবসা বিনিয়োগ আইন’ প্রনয়ন করে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ব্যবসা শুরু করেছে। ভারতে ১৯৯৬ সালে, পাকিস্তানে ২০০১ সালে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আইন প্রনিত হয়েছে। সিলিকন ভ্যালির ডটকম বিপ্লবের পেছনে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল’র অবদান অনস্বীকার্য। আমেরিকা উদ্যোক্তার জাতি। ভেঞ্চার ক্যাপিটালের তাই সেখানে রমরমা অবস্থা। অথবা ভেঞ্চার কেপিটাল এর কারণেই আমেরিকা এত উদ্যোক্তা’র মুখ দেখতে পেয়েছে। মাইক্রোসফট, স্টারবাক্স, অ্যাপল, ইন্টেল, ফেসবুক, গুগল, ই-বে, আমাজন এরকম অনেক জগত বিখ্যাত কোম্পানি’র বেড়ে ওঠার পেছনে ভেঞ্চার ক্যাপিটালের সহায়ক হাত রয়েছে।
বাংলাদেশ সিক্যুরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ২০১৫ সালে বিকল্প বিনিয়োগ নীতি প্রনয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশে ৮/৯টি কোম্পানি আল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ম্যানেজার হিসাবে বিএসইসির সাথে নিবন্ধিত হয়েছে। আরো ৭/৮টি বিদেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল (ভিসি) ফান্ড, দেশে কাজ করছে।
পার্টনার
এখন ব্যবসার প্রয়োজনে অনেকেই পার্টনার নেন। পার্টনারের টাকায় তাকে শেয়ার দেন। এক সময় দেখা যায় টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে পুরো ব্যবসার মালিকানা হারাতে হয়। নিজঘরে পরবাস। ব্যাংক সাধারণত ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে কি করে? যেসব ব্যবসা লাভের মুখ দেখেছে কিনা? কয়েকবছর বয়স হলো কিনা? আবার উদ্যোক্তার নিজের কোনো স্থায়ী সম্পদ আছে কিনা? বলা বাহুল্য বেশীরভাগ তরুন এবং সৃজনশীল উদ্যোক্তারা বাদ পড়ে যান। লিজিং কোম্পানীর ক্ষেত্রে একই সমস্যা। তখন হতাশার কালো ছায়া ঘিরে আসে চার দিক থেকে। কারণ পরিবার থেকেতো আগেই নিষেধ করা হয়েছে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি কোনো লোন দেয়না উদ্যোক্তার অংশীদার হিসেবে কাজ করে; মানে ব্যবসায়ের লাভ লোকসানের অংশীদার হয়। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তার কোম্পানি পরিচালনায় অংশ গ্রহণ করে যাতে কোম্পানি লোকসানের মুখে না পড়ে৷ তবে এর অর্থ এই নয়যে তারা কোম্পানীর মালিক হয়ে যায়। বা কোম্পানীতে গেঁড়ে বসে।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আপনার পার্টনার (অংশীদার) হবে এবং অল্প পরিমাণ শেয়ার নিবে, মজার ব্যপার হচ্ছে প্রাধান্য আপনারই বেশি থাকবে যাকে ইংরেজিতে মেজরিটি বলে থাকি। মানে বেশীরভাগ শেয়ার ভেঞ্চার ক্যাপিটাল নিয়ে যায়না ব্যবসায়ের বেশীরভাগ শেয়ার এবং কতৃত্ব উদ্যোক্তারই থাকে। তবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল চাইবে আপনাকে কীভাবে সফলতায় নিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু ব্যাংক তার উল্টো আপনি কিভাবে ব্যবসা করেছেন বা কিভাবে লাভ লস করেছেন সেটা আপনার ব্যাপার আপনি ঋনের টাকা ও সুদ পরিশোধ করতেই হবে। ব্যাংক সাধারণত নতুন উদ্যোক্তাদের ফাইন্যান্স করেনা কিন্তু এখানে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম একটা ভরসার জায়গা৷ তবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল থেকে বিনিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনাকে আপনার ব্যবসায়িক আইডিয়া শেয়ার করতে হবে। আপনাকে পুরো বিজনেস প্লান দেখাতে হবে। ব্যবসায়ের লিগাল ডকুমেন্ট গুলো বানাতে হবে। একটি কোম্পানী প্রোফাইল কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রজেক্ট প্রোফাইল তৈরী করতে হবে। এবং বিনিয়োগ পরিকল্পনায় বাজেট, খরচ সম্ভাব্য আয় সবকিছু ছক ও চাট আকারে তুলে ধরতে হবে। একটি মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টশানের মাধ্যমে ও সরাসরি সাক্ষাৎকারে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রশ্নে জবাব দিয়ে তাদেরক বিষয়টা বোঝাতে হবে।
সাধারণত একটা ধারণা রয়েছে যে, যে বিজনেস আইডিয়াটা সঠিক বা যেটা মানুষের মাঝে সাড়া ফেলবে বা সফল হবে । সেটাকে তুলে ধরার জন্য ৩ থেকে ৫ মিনিটের বক্তব্য যথেষ্ঠ। তাই বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মগুলো ৩ মিনিট সময় দিয়ে থাকে উদোগটাকে ব্যাখ্যা করার জন্য। তুন উদ্যোগের সমস্যা, সম্ভাবনা, পলিসি এবং কৌশলগত দিক সব ৩ মিনিটেই বলার বা প্রেজেন্ট করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এটা আপনার কাজে লাগবে। অবশ্য বিস্তারিত পরিকল্পনার জন্য ইন্টারনেট ঘেঁটেও আপনি অনেক কিছু শিখতে পারেন।
বাংলাদেশে যেসব ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম রয়েছে। তাদের একটি এসোসিয়েশনও আছে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন।
বিডি ভেঞ্চার
অ্যাঞ্জেল অ্যান্ড ভেঞ্চার ক্যাপিটাল
সিএপিএম
সিভিসিএফএল
ফেনক্স
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং ভেঞ্চার পার্টনার আদতে একই হলেও অল্প কিছু পার্থক্য রয়েছে। কিছু বিষয়ে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠার অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। যেসব বিষয় এক সেটা ভেঞ্চার ক্যাপিটেলের মতো ভেঞ্চার পার্টনার কোনো মর্টগেজ রাখেনা, লোন দেয়না বা লোনের ইন্টারেস্ট নেয়না। আর পার্থক্যের জায়গা হলো ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অনেক সময় ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা দিলেও ভেঞ্চার পার্টরনার বেশীরভাগ ক্ষেত্রে টাকা দেয়না। তারা পন্য কিনে দেয়, অথবা পন্য বা সেবার পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। সে পন্য বা সেবার মূল্য বিনিয়োগ হিসেবে গন্য করে। কোনো ক্ষেত্রে কোম্পানীর অংশীদার হয়ে থাকে মূলত তারা ইকুইটি শেয়ার করে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল যেমন ৩ থেকে ৮ বছর পর তাদের বিনিয়োগকৃত টাকা তুলে লাভসহ ফিরে যায় মাঝখান একজন নবীন উদ্যোক্তা বড় ব্যবসায়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বিদেশী ভেঞ্চার পার্টনাররা এমন করলেও দেশী ভেঞ্চার পার্টনাররা অনেক সময় কোম্পানী অধিকার করে নেয় অথবা কিনে নেয়। অবশ্যই লাভজনক কোম্পানী হলে তারা ন্যায্যমূল্যে কেনে আর লোকসান ফার্ম হলে কেনার প্রশ্ন উঠেনা। যদিও কেনে সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ বা সরকারী বিধিমতে কোম্পানীর ভ্যালুয়েশন করে নেয়।
অ্যাঞ্জেল ইনভেসটিং:
অ্যাঞ্জেল ইনভেসটর হচ্ছে কোন ব্যক্তি যখন একজন উদ্যোক্তাকে তার ব্যবসা শুরু করার জন্যে টাকা দেবে অথবা ব্যবসাতে চলমান আর্থিক সমস্যা কাটিয়ে উঠতে টাকা দেবে। উদ্যোক্তা যদি একজন অ্যাঞ্জেল ইনভেসটর খুঁজেপায় তাহলে তার সাথে ভালভাবে আলোচনা করে কি ধরনের চুক্তি হবে তা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টরদের অনেকে ব্যবসার অংশীদার হতে চায়। তাই একজন উদ্যোক্তা যখন তার প্রতিষ্ঠানের ইক্যুইটি একজন অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টরের কাছে বিক্রি করবেন তখন তাকে আগে নিশ্চিত করতে হবে যে ইক্যুইটি বিক্রির অনুপাতে তিনি সেরকম বিনিয়োগ পাচ্ছেন কিনা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর উদ্যোক্তার আত্মীয়, বন্ধু বা পরিচিত জন। অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টররা সেরকম ধনী নন তবে অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টরের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে সহজে তাদের পাওয়া যায়। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, বাবা-মা, এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর হতে পারে। অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টরের ক্ষেত্রে আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। একজন উদ্যোক্তা তার প্রতিষ্ঠানের ইক্যুইটি একজন অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টরের কাছে বিক্রি করে দিলেন। উক্ত ইনভেস্টর তখন ঐ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অংশীদার। এ কারণে ভবিষ্যতে অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বনিবনা নাও হতে পারে।
প্রাইভেট ইক্যুইটি ফান্ড:
প্রাইভেট ইক্যুইটিও ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মতো একই পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করে থাকে। কোন প্রাইভেট ইক্যুইটি ফান্ড একটি ব্যবসাতে বিনিয়োগ করার পরে তারা এক পর্যায়ে লাভের জন্যে ব্যবসাতে তাদের স্টেক বিক্রি করে দিতে পারে। ছোট ব্যবসা বা স্টার্ট-আপের জন্যে প্রাইভেট ইক্যুইটি উপযুক্ত নয়। বড় বড় প্রতিষ্ঠানের জন্যে এই বিনিয়োগ ভাল। প্রাইভেট ইক্যুইটির ফান্ডিং পন্থা অনেক জটিল। তাদের বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ থাকে। তবে কোন সুপ্রতিষ্ঠিত স্টার্ট-আপ তাদের ব্যবসা বাড়াতে প্রাইভেট ইক্যুইটি ফান্ড নিতে পারে।
ক্রাউড ফান্ডিং:
এবার বলব ক্রাউড ফান্ডিং নিয়ে। ক্রাউড মানে ভিড় এবং ফান্ডিং মানে টাকা দেয়া। কোন একটি স্টার্ট-আপে বিনিয়োগের জন্যে যখন একসাথে অনেক লোক অল্প অল্প করে টাকা দেয় তাকেই সোজা কথায় বলে ক্রাউড ফান্ডিং। বিভিন্ন নিশ পণ্য বা সেবা যেখানে অনেক ক্রেতা আছে । যারা তাদের প্যাশনের জন্যে উক্ত পণ্য বা সেবা ক্রয় করে থাকেন সেসব ব্যবসার ক্ষেত্রে ক্রাউড ফান্ডিং খুবই ভাল পন্থা বিনিয়োগ যোগাড় করার। কোন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যদি তাদের নিজস্ব পণ্য ডেভেলপ করতে চায় সেক্ষেত্রেও ক্রাউড ফান্ডিং বিনিয়োগ সংগ্রহ করার জন্যে একটি কার্যকরী পদ্ধতি হতে পারে। কোন ব্যক্তির হয়তো একটি নির্দিষ্ট পণ্য তৈরি করার আইডিয়া আছে সেক্ষেত্রেও ক্রাউড ফান্ডিং খুবই ভাল। অনলাইনে কিকস্টার্টার (Kickstarter) ,এবং ইন্ডিগোগো (Indiegogo) নামে দুটি জনপ্রিয় ক্রাউড-ফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম আছে। ক্রাউডফান্ডিং এর একটি বড় সুবিধা হচ্ছে যে উদ্যোক্তা তার ব্যবসার পুরো মালিকানা রাখতে পারে।
যারা টাকা তুলতে সহায়তা করে, তাদের প্লাটফর্ম বলে। ক্রাউড ফান্ডে যারা অর্থায়ন করেন, তাদের ‘বেইকার’ বলা হয়। তাদের প্রদত্ত অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার, স্বীকৃতি ইত্যাদি দেয়া হয়। পুরস্কারগুলোর অর্থমূল্যের চেয়ে শুভেচ্ছামূল্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ যেমন— টি-শার্ট, স্টিকার, ধন্যবাদ জ্ঞাপক পত্র। প্লাটফর্ম তাদের সেবার বদলে সার্ভিস চার্জ পায়। একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা উঠলেই তারা এই টাকা পায়। কিকস্টার্টার ৫ শতাংশ চার্জ করে। ইন্ডিগোগো আরেকটি ক্রাউড ফান্ডিং প্লাটফর্ম। তারা ৪ শতাংশ সার্ভিস চার্জ ও ৩ শতাংশ ক্রেডিট কার্ড প্রসেসিং ফি হিসেবে নেয়। যিনি টাকা তুলবেন, তার কত টাকা প্রয়োজন— তা আগে ঘোষণা করতে হয়। কেউ যদি ওই পরিমাণ টাকা তুলতে না পারে, তবে ইন্ডিগোগো ৯ শতাংশ চার্জ করে। কিন্তু বাকিটা উদ্যোক্তা নিয়ে নিতে পারে। গো-ফান্ড-মি ২০১৪ সালে ৪৭০ মিলিয়ন ডলার তুলেছে। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে ২০১২ সালে ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উত্তোলন করা হয়েছে। ক্রাউড ফান্ডিং চার ধরনের হয়— অনুদান, ঋণ, পুঁজি বা মালিকানাভিত্তিক ও সহযোগীকে সহযোগীর (পিয়ার টু পিয়ার) ঋণ। ওপেন ডাটা ইনস্টিটিউটের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১০-এর অক্টোবর থেকে মে ২০১৩ পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে ৪৯ হাজার বিনিয়োগকারী ৩৭৮ মিলিয়ন পাউন্ড পিয়ার টু পিয়ার ঋণ দিয়েছে।
ক্রাউড ফান্ডিংয়ের জন্য বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন বিধিবিধান রয়েছে । যেমন— আমেরিকায় ১২ মাসে ১ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্যে ১২ মাসে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ড তোলা যাবে। নিউজিল্যান্ডে ১২ মাসে ২০ জন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে ২ মিলিয়ন ডলার উত্তোলন করা যাবে। অস্ট্রেলিয়ায় ১২ মাসে ২ মিলিয়ন ডলার তোলা যাবে অথবা ২০ জনকে টাকা প্রদান করা যাবে। ফ্রান্সে প্রতি বছর প্রতি ক্যাম্পেইনে সর্বোচ্চ ১ মিলিয়ন পাউন্ড তোলা যাবে। কানাডায় প্রতি বছর সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার তোলা যাবে। কোনো কোনো দেশে আবার কী ধরনের উদ্যোগের জন্য পুঁজি (ইকুইটি) ক্রাউড ফান্ড তোলা যাবে, তার বিধি-নিষেধ দেয়া আছে। যেমন— ইতালিতে সে দেশের চেম্বার কর্তৃক স্বীকৃত ৪৮ মাসের কম বয়সী উদ্ভাবনী স্টার্টআপের জন্য টাকা তোলা যাবে।
কারা বিনিয়োগ করতে পারবেন? ক্রাউড ফান্ডিংয়ে অনেক ঝুঁকি আছে। হরেক রকম জালিয়াতি হতে পারে। সেটি প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন দেশ নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। আমেরিকায় যে কেউ বিনিয়োগকারী হতে পারবেন না। এ ব্যাপারে বিধি-নিষেধ আছে। একজন বিনিয়োগকারীর বার্ষিক আয় ১ লাখ ডলারের কম হলে ১২ মাসে ২ হাজার ডলার বা তার সম্পদ বা আয়ের ৫ শতাংশ (যেটি বেশি) প্রদান করতে পারবেন। বিনিয়োগকারীর সম্পদ বা বার্ষিক আয় ১ লাখ ডলার বা তার বেশি হলে ১২ মাসে তার সম্পদ বা আয়ের ১০ শতাংশ (যেটি বেশি) বিনিয়োগ করতে পারবেন। যুক্তরাজ্যে যেসব বিনিয়োগকারীকে পেশাদার উপদেষ্টারা উপদেশ দেন বা যারা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম বা করপোরেট ফিন্যান্সের সঙ্গে সংযুক্ত অথবা যেসব বিত্তশালী (ঝুঁকি বোঝার সক্ষমতা) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, তাদের জন্য কোনো সীমা নির্ধারণ করা নেই।
ক্রাউড ফান্ডিং বাংলাদেশে তেমন চালু হয়নি। তবে এক্ষেত্রে সম্ভাবনা ব্যাপক। এর আগে ইক্যাবের পক্ষ থেকে বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও উল্লেখযোগ্য তেমন উদাহরণ পাওয়া যায়না।
একটি ক্লাউডফান্ডিং সফটওয়্যারের নাম: অপরাজয়
বিস্তারিত https://oporajoy.org/ লিংক থেকে জেনে নিতে পারবেন।
পরামর্শ:
নতুন ব্যবসা শুরুর জন্য যেসব বিষয় মনে রাখবেন:
বহু উদ্যোক্তাই সফল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়েছেন সম্পূর্ণ নিজের অর্থে। নিজে কিছু অর্থ সংগ্রহ করে তা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারলে সবচেয়ে নির্ভাবনায় থাকা যায়। মনে রাখবেন, ব্যবসায় আয় করা জরুরি।
যেসব সংগঠনের সদস্য হলে আপনার ব্যবসার সুবিধা ও সুনাম বাড়বে সেখানে যুক্ত হন। এখন দেশে বেসিস ও ইক্যাবের সদস্য হতে পারলে অনেক সুবিধা পাবেন।
পরিবারের সদস্য ও বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে অনেকেই ধার করার চেষ্টা করেন। কাছের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করবেন না।
আপনি যদি দারুণ কোনো ব্যবসা করার পরিকল্পনা করেন তাহলে আর্থিক প্রণোদনা বা সহায়তার সন্ধানও পেয়ে যেতে পারেন। ব্যবসার প্রেজন্টেশেন দিন। নিজেকে তুলে ধরুন। যেগুলো আপনার দক্ষতা কম তা শিখে নিন। ইংরেজি ও আইটির দক্ষতা বাড়ান।
প্রচুর পরিশ্রম ও মেধা খাটিয়ে যথাসম্ভব কম খরচ করে ব্যবসা পরিচালনা করা এ ধরনের একটি উদ্যোগ। এজন্য প্রয়োজন হয় অভিজ্ঞতা ও বিচক্ষনতা।
আপনি যদি ব্যবসার দারুণ কোনো আইডিয়া নিয়ে আসতে পারেন তাহলে তা বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে পারে। আর এভাবে আপনি যেমন ব্যবসা ভালোভাবে চালানোর জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন তেমন পারবেন দ্রুত সাফল্য অর্জন করতেও। নতুন বিনিয়োগকারী পেলে অবশ্য আপনার ব্যবসার মালিকানাও ভাগাভাগি করতে রাজি থাকতে হবে।
তবে মনে রাখবেন, সততাই আসল। পরিশ্রম করলে তবেই আসবে সফলতা, ফান্ডিংয়ে নয়।
তথ্যসূত্র: বণিকবার্তা, প্রথম আলো, ই-ক্যাব ব্লগ, সামহোয়্যারব্লগ ও ইন্টারনেটের বিভিন্ন সূত্র।
৬ comments
ধন্যবাদ এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট
[…] […]
[…] […]
[…] […]
[…] […]
ফান্ড প্রয়োজন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমি বার বছর ধরে মার্কেটিংএ কাজ করছি। আমি এখন নিজে ব্যবসা করছি এবং পাশাপাশি টিম ওয়ার্ক করে কাজ করছি। কিন্তূ ফান্ডের অভাবে আমি এগিয়ে যেতে পারছি না। যদি আপনাদের সহযোগিতা থাকে আমি অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবো আমার দৃঢ় বিশ্বাস।