গুজব ছড়ানো ঠেকাতে ফেসবুকের কনেটন্ট ফিল্টারিং প্রকল্প নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
এর ফলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন থাকবে বলে জানিয়েছেন, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। অপপ্রচার ঠেকাতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুজব প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে থাকতে হবে, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিশেষায়িত দল। ২০১৩ সালের ৫মে, হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচীতে সহিংস আন্দোলনকারীদের দমিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেই অভিযানে হাজার হেফাজত কর্মী নিহত হয়েছে এমন অপপ্রচার ছড়ানো হয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে। ২০১৭ সালের আগষ্টে মিয়ানমারে নির্যাতিত ও বাস্তুচ্যুত লাখো রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে।
সে সময় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতার বেশিরভাগ চিত্র বিশ্ব মিডিয়ায় না আসতে পারলেও থেমে থাকেনি ইন্টারনেট ব্যবহার করে গুজব ছড়িয়ে দেয়ার কাজ। আর সবশেষ শিক্ষার্থী ধর্ষণ এবং নিহত হওয়ার মতো অপপ্রচার চালিয়ে নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলন রূপ নেয় সহিংসতায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরণের অপপ্রচার প্রতিরোধে যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহারকারীদের যথেষ্ট সচেতনতার প্রয়োজন।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়ানো গুজব বা অপপ্রচার নিয়ন্ত্রণে তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার। এ ধরণের অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে বলেও জানান তিনি। স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রেখে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে অনেকাংশেই অপপ্রচার ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ সম্ভব হবে বলে মনে করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।