ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় রেফ্রিজারেটর ক্রেতাদের জন্য চমক নিয়ে এসেছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন। মেলায় আকর্ষণীয় ডিজাইন ও ফিচারের বেশ কিছু নতুন মডেলের ফ্রস্ট এবং নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ এনেছে ওয়ালটন। আপকামিং মডেল হিসেবে আইওটি-বেজড স্মার্ট রেফ্রিজারেটর প্রদর্শন করছে তারা। স্মার্ট রেফ্রিজারেটরের প্রি-বুকিংয়ে ১০ হাজার টাকা ডিসকাউন্ট থাকছে। পাশাপাশি নগদ ছাড়সহ ফ্রিজ ক্রেতাদের জন্য রয়েছে নানান সুবিধা।
জানা গেছে, বাণিজ্য মেলায় ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে রয়েছে দেড় শতাধিক মডেলের রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার এবং বেভারেজ কুলার। মেলা থেকে যেকোনো মডেলের ফ্রিজ কিনলেই ১০ শতাংশ মূল্যছাড় পাচ্ছেন গ্রাহকরা। পাশাপাশি দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৫ এর আওতায় ‘উইন্টার ফেস্টিভ্যাল’-এ রয়েছে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার সুযোগসহ নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। এসব সুবিধা উপভোগ করা যাবে বাণিজ্য মেলার শেষদিন পর্যন্ত।
ওয়ালটনের সেলস ও বিপণন বিভাগের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর শহিদুজ্জামান রানা জানান, মেলায় আকর্ষণীয় ডিজাইনের বেশ কিছু নতুন মডেলের ফ্রিজ এসেছে। যার মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল ডিসপ্লে সমৃদ্ধ সাইড বাই সাইড ডোরের ৫০১ লিটারের নন-ফ্রস্ট এবং ৩৬৫ লিটারের ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর। টেম্পারড গ্লাস ডোরের এসব ফ্রিজে ব্যবহার করা হয়েছে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর৬০০এ রেফ্রিজারেন্ট। ইনর্ভার্টার প্রযুক্তির ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসব ফ্রিজ ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ছাড়াই নিশ্চিন্তে চলে। নতুন ফ্রিজের ক্ষেত্রেও অন্যান্য সুবিধার পাশাপাশি ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট থাকছে।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক এবং ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর বিভাগের সিইও প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, বিশ্বব্যাপী ক্রেতাদের রুচি, চাহিদা, প্রয়োজনীয়তা ও ক্রয় সক্ষমতার ভিত্তিতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ফ্রিজ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। দেশ-বিদেশের দক্ষ ও মেধাবী প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে শক্তিশালী গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএন্ডডি) টিম কাজ করছে। খুব শিগগিরই ওয়ালটন বাজারে ছাড়ছে সাইড-বাই-সাইড ডোর এবং ইনভার্টার টেকনোলজি সমৃদ্ধ নন-ফ্রস্ট মডেলের স্মার্ট ফিজ। বাণিজ্য মেলায় প্রথমবারের মতো ওই স্মার্ট ফ্রিজ প্রদর্শন করা হচ্ছে।
ওয়ালটনের স্মার্ট ফ্রিজটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৯,৯১০ টাকা। মেলায় ওয়ালটনের আপকামিং মডেলের ওই স্মার্ট ফ্রিজের প্রি-বুক দিলে ১০ হাজার টাকা ছাড় মিলবে। আগামি জুন মাসে বাজারে আসার পর ওয়ালটনের যেকোনো প্লাজা থেকে ক্রেতারা ফ্রিজটি ডেলিভারি নিতে পারবেন।
আইওটি-বেজড ওই স্মার্ট ফ্রিজে ডিজিটাল ডিসপ্লে, অ্যাডভান্স টেম্পারেচার কন্ট্রোল, টুইন কুলিং, ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ডোর ওপেনিং অ্যালার্ম, আয়োনাইজার, হিউম্যান ডিটেক্টর, স্পেশাল আইস মেকিং জোন, ময়েশ্চার কন্ট্রোল জোন, ন্যানো হেলথ কেয়ার, এন্টিফাংগাল ডোর গ্যাসকেট ইত্যাদি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ওয়ালটন।
বাণিজ্য মেলায় ওয়ালটন প্যাভিলিয়নের ম্যানেজার শফিকুল আলম জানান, ২৬ নম্বর প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়নে প্রদর্শন করা হচ্ছে ওয়ালটনের ফ্রিজ। মেলার মূল ফটক দিয়ে প্রবেশের সময়ই প্যাভিলিয়নটি দর্শনার্থীদের চোখে পড়বে। এর নিচতলা সাজানো হয়েছে আকর্ষণীয় ডিজাইন, কালার এবং দামের অসংখ্য মডেলের ফ্রিজ দিয়ে। মেলায় নগদ মূল্যের পাশাপাশি যেকোনো ব্যাংকের ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড, অনলাইন ব্যাংকিং, বিকাশ ও রকেট পেমেন্টের মাধ্যমেও কেনা যাবে ওয়ালটনের ফ্রিজ।
ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটন ফ্রিজের রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। দেশের ফ্রিজ বাজারে প্রায় ৭৫ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে ওয়ালটনের। এছাড়া গত ডিসেম্বরে ষষ্ঠবারের মতো দেশের সেরা রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ডের মর্যাদাস্বরূপ ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে ওয়ালটন।
বাণিজ্য মেলায় দুটি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়নের পাশাপাশি দেশজুড়ে ওয়ালটনের রয়েছে ১৭ হাজারেরও বেশি শোরুম। যেখান থেকে ক্রেতারা চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী অসংখ্য মডেল ও ডিজাইনের ফস্ট, নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজ থেকে পছন্দের পণ্যটি কিনতে পারছেন। এসব ফ্রিজের দাম ১০ হাজার থেকে ৬৯,৯০০ টাকার মধ্যে। ঘরে বসে অনলাইনের ইপ্লাজা.ওয়ালটনবিডি.কম (বঢ়ষধুধ.ধিষঃড়হনফ.পড়স) থেকে ফ্রিজসহ সব ধরনের ওয়ালটন পণ্য কেনা যাচ্ছে। ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭৩টি সার্ভিস পয়েন্ট।