বাংলাদেশের ইলেকট্রনিকস জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক পার্ক পরিদর্শন করেছেন ঢাকাস্থ জার্মান দূতাবাসের উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদল।
পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিং এ ওয়ালটনকে নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করে প্রতিনিধিদলের প্রধান ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জ্যান রুল্ফ জেনস্কি বলেন, “ওয়ালটন বিশ্বমানের হাই-টেক পণ্য উৎপাদন করছে।
ওয়ালটনের অত্যাধুনিক উৎপাদন প্রক্রিয়া চক্ষে দেখে খুবই অভিভূত। ওয়ালটনের মধ্য দিয়ে হাই-টেক পণ্য উৎপাদন, ভ্যালু এডিশন ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ খাতে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখলাম।”
ইউরোপে বাজার সম্প্রসারণে ওয়ালটনকে জার্মান দূতাবাসের প্রদত্ত সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন, ২০২৪) সকালে জার্মান দূতাবাসের এক প্রতিনিধিদল গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক পার্ক পরিদর্শনে আসেন।
জার্মানির ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জার্মান দূতাবাসের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন বিভাগের অ্যাডভাইজার রেদিতা রকিব, ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি’র (ডিইজি) রিপ্রেজেন্টেটিভ ফাইয়াজ হোসাইন ও ফাহমিদা আহমেদ।
অতিথিদের ফুলের তোঁড়া দিয়ে সাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) ও চিফ ফাইন্যান্স অফিসার জিয়াউল আলম এফসিএ, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইউসুফ আলী ও ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মো. তানভীর রহমান।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র একসিকিউটিভ ডিরেক্টর আরিফ ইকবাল খান, শাহিনুর সুলতানা রেখা, মেজর (অবঃ) জাহিদুল হাসান, একসিকিউটিভ ডিরেক্টর সাহানা আকতার শম্পা ও মহাসিন আলী মোল্লা, ওয়ালটন এসির ডেপুটি সিবিও সনদ্বীপ বিশ্বাস, ওয়ালটন কমার্শিয়াল এসির রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) বিভাগের প্রধান শামিম আক্তার মুগ্ধ প্রমুখ।
প্রতিনিধিদল ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন পণ্যের ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টস পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনি· ও হাই-টেক পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন দেখে মুগ্ধ হন তাঁরা।
পরিদর্শনকালে ওয়ালটনের তৈরি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এয়ার কুলড মডুলার ইনভার্টার চিলার এসির নতুন একটি মডেল উদ্বোধন করেন জার্মানির ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত।
ওয়ালটনের নতুন এই মডেলের এই চিলার এসি হোটেল-মোটেল, হাসপাতাল, বিমানবন্দও, থিয়েটারসহ বিভিন্ন বড় স্থাপনায় ব্যবহৃত উপযোগি। বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটনই উন্নত প্রযুক্তির চিলার এসি উৎপাদন করছে।
এই এসিতে ব্যবহৃত হয়েছে পরিবেশবান্ধব আর-৩২এ রেফ্রিজারেন্ট। হাই-এনার্জি এফিশিয়েন্ট রেশিওতে তৈরি ওয়ালটনের এই এসিতে রয়েছে মাইক্রো-প্রসেসর বেজড স্মার্ট কন্ট্রোল সিস্টেম।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের এএমডি জিয়াউল আলম এফসিএ বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের অধিকাংশই আসে ইউরোপ থেকে। যার কেন্দ্রে রয়েছে জার্মানি।
তৈরি পোশাক খাতের পর ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশে তৈরি ইলেকট্রনিকস ও প্রযুক্তিপণ্য অন্যতম রপ্তানি খাত হয়ে উঠেছে। বর্তমানে জার্মানিসহ ইউরোপের ১২টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন।
উল্লেখ্য, ইউরোপের বিজনেস হাব জার্মানি। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সম্পর্ক সুদূঢ়। ইউরোপে বাংলাদেশে তৈরি ইলেকট্রনি· ও প্রযুক্তিপণ্যের বাজার বৃদ্ধিতে ঢাকাস্থ জার্মান দূতাবাস ব্যাপক সহায়তা করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটনের হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করলেন দূতাবাসের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ।