বাংলাদেশের সফটওয়্যার খাতের সংগঠন বেসিস নির্বাচনে একটি প্যানেল টিম হরাইজন নামে আত্মপ্রকাশ করেছে। এ খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনে আরও দুটি প্যানেল হবে। তবে সবচেয়ে আলোচিত প্যানেল হিসেবে বা এ প্যানেলে কারা থাকবে তা নিয়ে অনেকের কৌতুহল ছিল। ফেসবুকের এক ছবিতে উঠে এসেছে এ প্যানেলের সদস্যদের। গুঞ্জন রয়ছেে, এবারের বেসিস নির্বাচনে একটি প্যানেল উর্ধতন সমর্থন পাবেন। অবশ্য কারা তা পাচ্ছেন সেটি নিশ্চিত নয়।
তবে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিসিএস নির্বাচনে যেভাবে ভোটারদের হিসাব নিকাশ গুরুত্ব পেয়েছে বেসিস নির্বাচনে সে রকম হলে সব প্যানেলকে জয়ের ব্যাপারে তাদের সদস্য সম্পর্কে দুবার ভাবতে হবে। টিম হরাইজনে সবার পরিচিত মুখ বর্তমান বেসিস সভাপতি আলমাস কবির আছেন অগ্রভাগে। টিম হরাইজন নিয়ে বেসিস নির্বাচনে লড়বেন আলমাস কবীর। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন বেসিস নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছেন সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। টিম হরাইজন নামের এই প্যানেল নিয়ে এবারের নির্বাচনে লড়বেন তিনি।
শনিবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় এই প্যানেল ঘোষণা করে ফেসবুকে একটি সেলফি তুলে এ ঘোষণা দেন আলমাস কবির।টিম হরাইজন নামের এই প্যানেলে রয়েছেন মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও সৈয়দ আলমাস কবীর, ইউওয়াই সিস্টেমস লিমিটেডের চেয়ারপারসন ও সিইও ফারহানা এ রহমান, বিজনেস অটোমেশন লিমিটেডের ডিরেক্টর শোয়েব আহমেদ মাসুদ, সফট পার্কের প্রধান নিবার্হী দেলোয়ার হোসেন ফারুক, জানালা বাংলাদেশ লিমিটেডের এমডি তানজিদ সিদ্দিক স্পন্দন, স্পেকট্রাম সফটওয়্যার অ্যান্ড কনসালটিং লিমিটেডের ম্যানেজিং পার্টনার মুশফিকুর রহমান, ক্রসওয়েস আইটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ফাহিম তানভীর আহমেদ, শুটিং স্টার লিমিটেডের এমডি দিদারুল আলম এবং ড্রিম৭১ বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাশাদ কবির। বেসিসের ২০১৮-১৯ সেশনের নির্বাচনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন ৪০ জন্য প্রার্থী। এবারে নির্বাচনে অংশ নিতে জেনারেল সদস্য ক্যাটাগরিতে ৩৪ এবং অ্যাসোসিয়েটে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।নির্বাচন বোর্ড বৈধ প্রার্থী তালিকা ১২ মার্চ ও চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ১৭ মার্চ প্রকাশ করবে।এর মধ্যে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন রয়েছে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। নির্বাচন কাণ্ডে ২০১৭ সাল জুড়ে সরগরমের পর অবশেষে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে তৃতীয় বারের মতো সংগঠনটির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়।চলতি মাসের ৩১ তারিখে হবে এ নির্বাচন। ডিটিও’র নির্দেশনা অনুযায়ী ২ বছর মেয়াদের জন্য ৯ পদে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।২০১৭ সালের শুরু হতেই নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে নেতাদের মতদ্বৈততা, আপিল-অভিযোগ চলে।এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিটিও শাখার শুনানি, প্রথম দফায় ৮ জুলাই নির্বাচন বাতিল শেষে একই ইস্যুতে সংগঠনটির গঠনতন্ত্র পর্যন্ত সংশোধন করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ঘোষিত ২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনও হয়নি। প্যানেল ঘোষণার আগে এক সদস্য নাম প্রকাশ না করে জানান, কোন প্যানেলে যা্ব বুঝতেছি না। তবে যে প্যানেলে সুবিধা বেশি সেখানে যাব।
previous post