রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার তেজগাঁওস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে ২০মার্চ সকালে ইন্টারেক্টিভ সেশন অন কালচারাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং ইন এ প্লুরাল সোসাইটি শীর্ষক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব ট্রমসো এর প্ল্যানিং অ্যান্ড কালচারাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. টনি বি।
এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, শেখ হাসিনা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি’র ভাইস চ্যান্সেলর (ডেজিগনেট) এবং রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. প্রফুল চন্দ্র সরকার, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক এবং বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট জনাব সঞ্জীব দ্রং ও রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র নবনিযুক্ত রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এএসএম মুশফিকুর রহমান।
আলোচনা সভার প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. টনি বি স্ক্যানডিনেভিয়ান- সাঁওতাল-ব্যুরো- বাঙালি ঐতিহ্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। প্রফেসর টনি বি আদিবাসী সংস্কৃতির উপর উপনিবেশিকতার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবও তুলে ধরেন।
বিশিষ্ট কলামিস্ট ও আদিবাসি গবেষক সঞ্জীব দ্রং, বিশ্ব ধরিত্রীর ভারসাম্য রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান এবং প্রামাণ্য চিত্রের মাধ্যমে আদিবাসী অধিকার এবং বিশ্ব পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, আমরা পৃথিবীর সম্পদের উপর নির্বিচারে আগ্রাসন চালাচ্ছি। এটি বন্ধ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় আদিবাসীরা কাজ করে যাচ্ছে। অথচ ৪৮ কোটি আদিবাসী সংগ্রামী জীবন যাপন করছে। তাদের প্রতি ন্যায়পরায়ন হতে হবে।
আলোচনা অনুষ্ঠানের সভাপ্রধান রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল বলেন, বহুত্ববাদ সমাজের বিকাশে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক উন্নয়ন জরুরি।
একটি দেশের সকল জাতি ও তাদের মাতৃভাষার গুরিত্ব উপলব্ধি করতে হবে এবং সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। একটি ব্রিজিং পলিসি তৈরি করে মাতৃভাষায় শিক্ষাদান করতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র পাঁচ ভাগ আদিবাসী। কিন্তু এই পাঁচ ভাগ জনগোষ্ঠী পৃথিবীর আশি শতাংশ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় অবদান রাখছে। তাদের ন্যায্য অধিকার এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। প্রাকৃতিক জলাশয় এবং ভূমি রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলে তিনি উলেখ করেন।
অধ্যাপক ড. প্রফুল চন্দ্র সরকার বলেন, বৈচিত্রতা একটি জাতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। বহুজাতি ও তাদের ভাষার ভিন্ন রূপ ও সৌন্দর্য একটি দেশকে সমৃদ্ধ করে তোলে।
রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এএসএম মুশফিকুর রহমান ভোট অব থ্যাঙ্কস প্রদান করেন। তিনি আমন্ত্রিত রিসোর্স পারসনদের রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র জার্নালে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক জহরত আরা। আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।