যা এত দিন কেবল মুখের কথায় ছিল, তা এবার বাস্তবে রূপ পাচ্ছে। ১লা আগস্ট ২০১৯ থেকে নকল/ক্লোন আইএমইআই সম্বলিত মোবাইল হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্ক এ সংযুক্ত হলে তা এনইআইআর এর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করা হবে।
এখন থেকে আর অবৈধভাবে দেশে আনা মুঠোফোন মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্কে চালু করা যাবে না। বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, ২০১৯ সালের ১লা আগস্ট থেকে নকল/ক্লোন/ অবৈধ আইএমইআই সম্বলিত মোবাইল হ্যান্ডসেট আর দেশে ব্যবহার করা যাবে না ।
এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে মুঠোফোন বৈধভাবে আমদানি করা বা দেশে উৎপাদিত কি না, তা যাচাইয়ে তথ্যভান্ডার চালু করা হয়েছিল। খুদে বার্তা পাঠিয়ে গ্রাহকদের বৈধ বা অবৈধ মোবাইল চিহ্নিত করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ মোবাইল আমদানিকারক সমিতির (বিএমপিআইএ) সহায়তায় বিটিআরসি এই তথ্যভান্ডার তৈরি করে। তবে তা খুব একটা কাজে আসেনি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, দেশে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ স্মার্টফোন অবৈধভাবে আমদানি করা হয়। যার কারণে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারায় সরকার।
বিটিআরসির কর্মকর্তারা গত বছরের জানুয়ারিতে এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, এনইআইআর ব্যবস্থা চালু হলে নেটওয়ার্কে সচল থাকা মোবাইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। পাশাপাশি বৈধ মোবাইল নিবন্ধন করা যাবে। অবৈধ মোবাইলগুলো দেশের নেটওয়ার্কে চালানো যাবে না।
যেভাবে ফোনের আইএমইআই নম্বর যাচাই করবেন
আপনার ব্যবহারের হ্যান্ডসেটটি আসল কিনা এবং যেসব উপকরণ ফোনের সাথে সংযুক্ত রয়েছে বলা হয়েছে, আসলেই সেই একই উপকরণ ফোনের সাথে রয়েছে কিনা তা যাচাই করার একটি পদ্ধতি রয়েছে। আপনার ফোনে *#06# ডায়াল করলে আইএমইআই নম্বর দেখাবে।
এবার আইএমইআই.ইনফো ওয়েবসাইটে গিয়ে ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বরটি বসান এবং ‘চেক’ বাটনে চাপুন। পরের পেইজে আপনার ফোনের মডেল নম্বর, কোন সালে তৈরি করা হয়েছে, ফোনে কী কী উপকরণ রয়েছে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আসবে।
যদি সেসব তথ্য না আসে তাহলে আপনার ফোনটি নকল বা এর আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে – এমন হতেও পারে।