তথ্য প্রযুক্তির ক্রমবিকাশমান ধারার সাথে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে যুগোপযোগী করে তুলতে এবং প্রতিযোগীতা মূলক চাকরি বাজারে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে ‘একজন ছাত্র একটি ল্যাপটপ’ প্রকল্পের নিয়মিত কর্মসূচীর অংশ হিসাবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ২২০০টি ল্যাপটপ তুলে দেওয়া হয়। ডিসিএল ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। পলক বলেন, ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ প্রোগ্রামার প্রয়োজন। উন্নত বিশ্বের এই চাহিদা মাথায় রেখে বাংলাদেশ সরকার ২৮টি আইটি পার্ক তৈরি করছে এবং তিন লাখ প্রশিক্ষিত প্রযুক্তিবিদ তৈরি করছে। পলক বলেন, বাংলাদেশ তো বটেই, সারা বিশ্বে এমন বিশ্ববিদ্যালয় খুব কম আছে যারা শিক্ষার্থীদের হাতে বিশ্বজয়ের হাতিয়ার ল্যাপটপ বিনামূল্যে তুলে দেয়। বাংলাদেশে আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এমন নজির স্থাপন করতে পারেনি। সারা বিশ্বে এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লব চলছে। এখন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যাংক, গার্মেন্টস থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে রোবট, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, বিগডেটা ইত্যাদি। ফলে এখন আমাদের দরকার দক্ষ প্রযুক্তবিদ, প্রোগ্রামার, প্রবলেম সলভার ও ক্রিটিক্যাল থিংকার। তা না হলে বিশ্বজয় করা সম্ভব নয়। তোমাদের হাতে আছে বিশ্বজয়ের হাতিয়ার ল্যাপটপ। তোমরা এর সফল ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করি।
এ সময় জুনায়েদ আহমেদ পলক আরো বলেন, ল্যাপটপ দিয়ে শুধু ফেসবুক, টুইটার আর ইউটিউব দেখলেই চলবে না। মনে রাখতে হবে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস কিশোর বয়সেই প্রোগ্রামিং শিখেছিলেন। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ১৯ বছর বয়সেই ফেসবুক তৈরি করেছিলেন। তাহলে তোমরা কেন পিছিয়ে থাকবে? স্বপ্ন আর নিষ্ঠা থাকলে তোমরাও সফল হবে। তোমাদের শ্লোগান হোক—একটি শিক্ষার্থী, একটি ল্যাপটপ, একটি স্বপ্ন।
previous post