সরকার অ্যানালগ পদ্ধতির জটিলতা দূর করতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা অনলাইনে প্রদান করার উদ্যোগ নিয়েছে । এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এই তথ্য জানান। বর্তমানের বিদ্যমান পদ্ধতিতে পেমেন্টের জন্য বিল জমা দিতে প্রায় ১৫ দিন সময়ের প্রয়োজন হতো। এখন সেটা মুহূর্তেই করা যাবে। ফলে ২১ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতার অর্থ লেনদেন প্রক্রিয়া আরও সহজ হলে বলে মনে করে সরকার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা সরকারি কর্মচারীদের নিকট পৌঁছানোর জন্য কর্মচারী ডাটাবেজ তৈরি এবং তা ব্যবহার করে অনলাইনে বেতন ভাতা দাখিলের কার্যক্রম ইতোমধ্যে পাইলট ভিত্তিতে চালু করেছি। বেতন-ভাতা দাখিল ছাড়াও কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ তহবিল ও ঋণ অগ্রিমের হিসাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ হচ্ছে। যে তথ্য কর্মচারীরা অনলাইনে যে কোনো সময়ে দেখতে পাচ্ছেন। আশা করছি, সকল সরকারি কর্মচারীকে শিগগিরই এ সুবিধার আওতায় আনতে পারবো।
মুহিত বলেন, ঘরে বসে সরকারি কোষাগারে অর্থ জমা দেয়া এবং ঘরে বসেই তা যাচাই করার সুবিধাসহ একটি ই-চালান বাতায়ন চালু করা হয়েছে। এতে একদিকে যেমন জমাকারীর যাতায়াতের ঝামেলা হ্রাস ও সময় সাশ্রয় হচ্ছে অন্যদিকে তেমনি সরকারি অর্থের তাৎক্ষণিক জমা নিশ্চিত হচ্ছে।একই সঙ্গে, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাধীন প্রায় অর্ধ কোটি সেবাগ্রহীতাকে জি-টু-পি পদ্ধতিতে ইএফটির (ইলেকট্রনিক ফান্ডস্ ট্রান্সফার) মাধ্যমে ভাতা প্রদানের জন্য আমাদের উদ্যোগের কথা আগেই জানিয়েছি। গত ৭ মে থেকে ৮ হাজার ৪৯৯ জনকে ভাতা প্রদানের মাধ্যমে আমি এর পাইলট কার্যক্রম শুরু করি। পর্যায়ক্রমে সকল ভাতাভোগীকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।