সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে থানা-পুলিশে দৌড়াদৌড়ি করে অনেকে হয়রান হয়ে যান। আদালত কিংবা পুলিশ প্রশাসন অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু ভুক্তভোগী হয়ে ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যেই ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হয় তা পূরণ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর সচেতনতাই মূল বিষয়। সচেতনতার মাধ্যমেই কমপক্ষে অর্ধেক পরিমাণ সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
শনিবার বিকেলে রাজধানীতে আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন সাইবার নিরাপত্তা প্রকৌশলী ও গবেষক মো. মেহেদী হাসান। প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সাইবার প্যারাডাইজের সহযোগিতায় ‘সাইবার অপরাধ ও নিরাপত্তা সচেতনতা’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন। জাতীয় জাদুঘরে আয়োজিত কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা থেকে অংশ নেন সংগঠনের প্রায় ১০০ জন চ্যাম্পিয়ন সদস্য (সাইবার সচেতনতাকর্মী)।
মেহেদী হাসান বলেন, ‘ব্যক্তিগত নানা তথ্য যেমন: নাম-ঠিকানা, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ফোন নম্বর, নিজের পছন্দ-অপছন্দ, অভ্যাস ইত্যাদি অবাধে আমরা ইন্টারনেটে দিয়ে যাচ্ছি। এগুলোর সুরক্ষার বিষয়ে ব্যবহারকারীরা মোটেই সচেতন নন। নানাভাবে ব্যক্তিগত তথ্যগুলোর অপব্যবহার হয়। সাইবার অপরাধীরা আপনার তথ্য ব্যবহার করে অপকর্ম করতে পারে এবং সেটির কুফল আপনাকে ভোগ করতে হবে। তাই নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতন হওয়া জরুরি।’
অনুষ্ঠানে অপরাধ ও সাইবার নিরাপত্তা, তথ্যপ্রযুক্তি আইন, সামাজিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম নিয়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন সাইবার নিরাপত্তা গবেষক মো. মেহেদী হাসান, সংগঠনের আহ্বায়ক কাজী মুস্তাফিজ ও সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ হাসান।
আয়োজকরা জানান, স্বেচ্ছাসেবী এই কার্যক্রম আগামী ২০ মে চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ করছে। এ উপলক্ষে সমাজে সাইবার সচেতনতায় নেতৃত্ব তৈরির উদ্দেশ্যে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এটি আয়োজন করা হয়।
previous post