সব কিছুর খবর আছে গুগলের কাছে। কিছু অজানা মনে হলেই গুগল সার্চে অভস্ত আমরা। ভুল বাক্য হোক বা বানান সব কিছুই সঠিকভাবেই বোধগম্য হয়ে যায় গুগলের। এখনতো আবার কথা শুনেও কাজ করতে সক্ষম গুগল। এই সর্বজ্ঞান সম্পন্ন গুগলের আজ জন্মদিন। প্রত্যেকদিনই কারোর না কারোর জন্মদিন পালন করে থাকে গুগল। আজ নিজের জন্মদিনেই রঙবে রঙের বেলুন দিয়ে সেজেছে গুগল ডুডল।
৯৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখিয়েছে যে আমাদের সব প্রশ্নই সে যে ভাষাতেই হোক না কেন গুগলকে জিজ্ঞাসা করে থাকি।গুগল ভিডিও মাধ্যমে জানায় যে ২০০৬ সালে জনপ্রিয় প্রশ্ন ছিল ‘প্লুটো এখনও কি একটি গ্রহ?’ ২০১১ সালে ছিল ‘রয়্যাল ওয়েডিং’ এবং ‘কিভাবে আপনি উচ্চারণ করা হয় gif’ এর অনুসন্ধান ছিল ২০১৩ সালে সবচেয়ে বেশি। ১৯০টির ও বেশি ভাষা জানা আছে গুগলের।
১৯৯৮ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ছাত্র ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিনের হাত ধরে গুগলের যাত্রা শুরু। ২০১৬ সালে, কোম্পানিটি আলফাবাট, প্যারেন্ট সংগঠন, যা বোর্ড এবং সদস্য হিসাবে পৃষ্ঠা এবং ব্রিনের অংশ ছিল। গুগলের বর্তমান অপারেশনগুলো স্মার্টফোনের, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, সফটওয়্যার, অনলাইন শপিং, পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
গুগলের নামে পেছনে যে গল্পটি রয়েছে তা হয়তো অনেকেরই অজনা। জেনে নিন:
- শব্দের বানান ভুল থেকে গুগল নামের উৎপত্তি।
- গাণিতিক হিসাবের গোগল (googol)-এর অর্থ- একটি সংখ্যার পেছনে একশ শূন্য।
- একজন প্রকৌশলী আসল নামের বদলে এই ভুল বানানটি লিখেছিলেন। সেই ভুল নামই গুগল!
- ২০ বছর পেরিয়ে সার্চ রেজাল্ট এ অনেক পরিবর্তন এনেছে গুগল।
- গুগল সার্চ ইঞ্জিনের এআই (AI) বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সার্চে লেখা তথ্যকে আরও অর্থবহ করে তুলবে।
- এআই তার মতো করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ভিডিও খুঁজে রাখবে, ব্যবহারকারী না চাইলেও।
এ কথা অনস্বীকার্য যে গুগল এখন অনলাইন ব্যবহারকারীদের নিত্যসঙ্গী। গুগলের বর্তমান পদক্ষেপ হলো স্মার্টফোনের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, সফটওয়্যার, অনলাইন শপিং, পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটানো।