শুধু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নয়, গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য রয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও। ছয় মাস শূন্য থাকার পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং চার মাস শূন্য থাকার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল রবিবার উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বর্তমানে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ শূন্য রয়েছে এক মাস ধরে। এছাড়া ২৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপ-উপাচার্য পদ এবং ১৮টিতে ট্রেজারার পদ শূন্য আছে।
পদ শূন্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে বিঘ্ন ঘটছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) শূন্য থাকা পদে দ্রুত নিয়োগ দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তাগাদা দিয়ে পত্র দিয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর লেখা এক চিঠিতে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ দেশের যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদ শূন্য রয়েছে সেখানে জরুরিভিত্তিতে এ পদগুলোতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর অনুরোধ জানিয়েছেন। চিঠিতে তিনি বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। বর্তমানে দেশের কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের পদ শূন্য রয়েছে। ফলে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
উপ-উপাচার্য নেই যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৯টিতেই বর্তমানে কোনো উপ-উপাচার্য নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য থাকা এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুরে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইলের মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
ট্রেজারার নেই যেখানে: ট্রেজারার না থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, মওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা বিশ্ববিদ্যালয়।