ফেসবুকসহ বিভিন্ন চাকরির সাইট থেকে ইন্টারভিউ কল বা চাকরির নানা অফার পেতে পারেন। মেসেজ এ লেখা থাকতে পারে
Dear Applicant.you have an interview.for “Customer care executive” post.Nature:Part/full time.Salary:(8000tk)part (16000tk)full.so plz come to our office.with CV,photo 2copys.**-**-2017.10am-03 pm.**** foundation.beside ****.Mohammodpur.Dhaka. Call:017*****0. **** Rahman.
এ ধরনের নানা কথা, অফার, কল। কি করবেন? যাবেন নাকি? কারও যদি অভিজ্ঞতা থাকে তবে এ ধরনের জব অফারগুলো যে স্রেফ ভাঁওতা কারও না বোঝার কথা না। ইন্টারভিউয়ে গিয়ে দেখবেন আপনার কাছ থেকে টাকা খাওয়ার জন্য বসে আছে। ফরম, বিমা থেকে নানা উপায়ে টাকা চাইবে।
থানমন্ডি, মোহাম্মদপুর উত্তরাসহ ঢাকার বেশ কিছু এলাকায় চকচকে অফিস ও সুন্দরী কিছু মেয়ে নিয়ে অফিস ফিটফাট দেখবেন। দেখবেন বলবে, নর্মাল কোশ্চেন+নিজের সম্পর্কে বলার পরেই বলা হবে আপনার মৌখিক আরেকটা পরীক্ষা হবে সেটায় আপনাকে ৫১০/= দিতে হবে। নাই বলবে বলবে- কখন দিতে পারবেন। এভাবে চক্রভিউ আকারে টাকা চাইতেই থাকবে।
চাকরি না হোক, চাকরির খবর পাওয়া এখন অনেক সহজ। পুরানো দিনের নাটক/সিনেমার মতো ফাইল হাতে নিয়ে এখন অফিসে অফিসে গিয়ে দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করা লাগে না, এমনকি রোজ রোজ পোস্ট অফিসে গিয়ে ইন্টারভিউয়ের চিঠি এসেছে কি না তাও খোঁজ নিতে হয় না! ঘরে বসে চাকরি খোঁজার ওয়েবসাইটে ক্লিক করলেই পাওয়া যায় সেক্টরভিত্তিক অজস্র অনলাইন বিজ্ঞপ্তি। চাইলে সাবস্ক্রাইবও করে রাখতে পারেন সেক্টরভিত্তিক সার্কুলার,
কিন্তু যদি উপরের উদাহরণের মতো প্রতারণার ফাঁদে পড়েন? এমন পরিস্থিতি এড়াতে চলুন তবে দেখে নেই কী কী বৈশিষ্ট্য থেকে বুঝে নেয়া যাবে অনলাইনে চাকরির ফাঁদ!
ফেসবুক সামাজিক মাধ্যম, চাকরির নয়
বিডিজবস বা অন্য কোনো সাইটে মূল বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি লিংক ফেসবুকে শেয়ার করতেই পারেন, কিন্তু কেউ যদি কেবল ফেসবুকেই বিজ্ঞাপন দেয় তবে তা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। ফেসবুকে চাকরির কোনো বিজ্ঞাপন দেখলে তার সঙ্গে মূল বিজ্ঞাপনের লিংক দেয়া আছে কি না তা দেখুন এবং ক্লিক করে সেখান থেকেই বিস্তারিত দেখুন (কেননা এমনও হতে পারে – যে কেউ মূল বিজ্ঞাপনের যোগাযোগের ঠিকানা বা ফোন নম্বর পরিবর্তন করে তার বসিয়ে দিতে পারে, তাই সাবধানতা অবলম্বন করাই ভালো)।
ঠিকানা ও ফোন নম্বর যাচাই
বিজ্ঞাপনে যোগাযোগের জন্য যে ঠিকানা ও ফোন নম্বর দেয়া আছে, তা অবশ্যই যাচাই করে নিতে ভুলবেন না। যত বড় আর নামী প্রতিষ্ঠান হোক না কেন নিজে থেকে ওয়েবসাইট খুঁজে কন্টাক্ট পাতা থেকে নম্বর মিলিয়ে নিন, প্রয়োজনে কল করে ঠিকানা নিশ্চিত হয়ে নিন।
হুট করে পাওয়া এসএমএসে চাকরির অফার
আপনি আবেদন করেননি, এমনকি হয়তো নামও শোনেননি – এমন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ইন্টারভিউ’র জন্য আসা এসএমএসও এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
ট্রেনিং বা রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোনো টাকা নয়
৫১০ কিংবা যত ছোট পরিমাণের হোক না কেন, চাকরিতে ট্রেনিং বা রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোনো ফি দেবেন না। মনে রাখবেন, সাধারণত মানসম্মত প্রতিষ্ঠান নতুন লোকবলের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখে যার খরচ সম্পূর্ণভাবে কোম্পানিই বহন করে থাকে। তাই এই বাবদ কাউকে কোনো অর্থ প্রদান করা থেকে বিরত থাকুন।
তথ্যসূত্র: রিভ অ্যান্টিভাইরাস ব্লগ থেকে।