বেন্ড টেস্টে ব্যর্থ হয়েছে অপোর ফ্লাগশিপ ফাইন্ড এক্স। সম্প্রতি অপো ফোন নিয়ে বেন্ড টেস্ট চালায় ইউটিউবার জ্যাক। জেরি রিগ এভরিথিং চ্যানেলে অপো ফোনের কয়েকটি টেস্ট দেখানো হয়। এর মধ্যে বেন্ড টেস্টে ফোনটি ফেটে যেতে দেখা যায়।
‘ফাইন্ড এক্স’ নামের অপোর ফোনটি বাজারের অন্যান্য ফোনের চেয়ে দামে এগিয়ে।
ফাইন্ড এক্স ফোনটির সামনের পুরোটাই দেয়া হয়েছে ডিসপ্লে। নেই কোনও নচ। সামনের ও পেছনের ক্যামেরা, ইয়ারপিস আর সেন্সরসমূহ আছে স্লাইডিং অংশে। নিজ থেকেই মটরের সাহায্যে ক্যামেরা অংশটি খুলে যাবে। ফাইন্ড এক্স ফোনের সামনে ও পেছনে দুপাশেই আছে গরিলা গ্লাস ৫।
বাদ পড়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, পেছনেও নেই আবার ডিসপ্লের মধ্যেও দেয়া হয়নি। ফুলভিউ ডিসপ্লে তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে অ্যামোলেড প্রযুক্তি, আকৃতিতে ৬ দশমিক ৪২ ইঞ্চি আর রেজুলেশন ২৩৪০ x ১০৮০ পিক্সেল ফুল এইচডি প্লাস। অন্যান্য ফ্ল্যাগশিপ অ্যান্ড্রয়েডের মত অপো ব্যবহার করেছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫ প্রসেসর, ৮ গিগাবাইট র্যাম, ২৫৬ গিগাবাইট স্টোরেজ আর অ্যান্ড্রয়েড ৮ দশমিক ১ ওরিও অপারেটিং সিস্টেম। অবশ্য সিস্টেম ইন্টারফেইস দেয়া হয়েছে কালার ওএস। তবে কিছুটা কম র্যাম আর স্টোরেজসহ সংস্করণ কম দামে বিক্রি করতে পারে তারা।
স্লাইডিং অংশে ক্যামেরা ছাড়াও আছে থ্রি-ডি ফেইস স্ক্যানিং হার্ডওয়্যার। ব্যবহারকারীরা নিরাপত্তার জন্য সেটাই ব্যবহার করবেন চিন্তা করেই সম্ভবত অপ্পো ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর বাদ দিয়েছে ।ইনফ্রারেড ক্যামেরা আর ডট প্রজেক্টর থাকায় অন্ধকারেও কাজ করবে এ ফিচার, ছবির মাধ্যমে বোকা বানানো যাবে না।
সামনে দেয়া হয়েছে ২৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, আর পেছনে থাকছে ১৬ ও ২০ মেগাপিক্সেল ডুয়াল ক্যামেরা। ব্যাটারি দেয়া হয়েছে ৩ হাজার ৭৫০ এমএএইচ। সর্বোচ্চ স্পেসিফিকেশনের সংস্করণের মূল্য ৯৯৯ ব্রিটিশ পাউন্ড বা প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার টাকা, তবে এশিয়ার বাজারে তা কম হবে। একটি বিশেষ ল্যাম্বোরগিনি সংস্করণও ভবিষ্যতে বাজারে আসবে যা চার্জ হবে মাত্র ৩৫ মিনিটে।
স্ক্র্যাচ বা দাগ পড়ার পরীক্ষায় দেখা গেছে, ফোনটির পাশের দিক ধাতব কাঠামো হওয়ায় তা মজবুত। ফোনটির পেছনে কাচ থাকায় পরীক্ষার সময় তাতে দাগ পড়েনি। স্লাইডারের পেছনে ক্যামেরা সেন্সর থাকায় সেটি টেকসই।
তবে অপোর ফাইন্ড এক্স বাঁকানোর পরীক্ষায় ব্যর্থ। সামান্য চাপেই এটি বেঁকে যায়। ধাতব ফ্রেমে অবশ্য চাপের প্রভাব পড়ে কম। কিন্তু এর অ্যামোলেড প্যানেলে চিড় ধরে এবং তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে দাঁড়ায়।
কি নিয়ে এল অপো ফাইন্ড এক্স?কবে বাংলাদেশে আসবে?
এতে আরও চাপ বাড়ানো হলে সামনের ও পেছনের কাচ ভেঙে যায়।
জ্যাক দাবি করেন, তাঁদের চ্যানেলে পরীক্ষা করা প্রায় ৯০ শতাংশ ফোন এ পরিস্থিতিতে টিকে যায়।