ডুয়েল মোড ফাইভজি স্মার্টফোন বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্ট ডিভাইস ব্র্যান্ড অপো। চলতি বছরের শেষের দিকে স্মার্টফোনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হবে। বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত কোয়ালকম ফাইভজি সামিটে এ ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফাইভজি সায়েন্টিস্ট হেনরি ট্যাং। স্মার্টফোনটিতে থাকবে কোয়ালকমের ডুয়েল মোড ফাইভজি প্ল্যাটফর্ম যা একইসাথে স্ট্যান্ডঅ্যালোন (এসএ) এবং নন-স্ট্যান্ডঅ্যালোন (এনএসএ) নেটওয়ার্ক সমর্থন করবে।
সম্মেলনে ফাইভজির বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ পণ্য ও অ্যাপ্লিকেশনের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের এ নেটওয়ার্ক আর কী কী অত্যাধুনিক সুবিধা দেবে ব্যবহারকারীদের, তা তুলে ধরেছেন হেনরি ট্যাং। তিনি বলেন, “অপো এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে ফাইভজি প্রযুক্তির দ্রুত ব্যবহার বৃদ্ধির পথ সুগম হয়েছে। নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশ এবং অঞ্চলের ফাইভজি ব্যবহারকারীরা এরই মধ্যে অপোর ফাইভজি স্মার্টফোন ব্যবহার করতে শুরু করেছে।” অপোর নতুন এই ডুয়েল মোড ফাইভজি স্মার্টফোন বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের আরও দারুণ অভিজ্ঞতা প্রদান করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এ বছরের মে মাসে অপো সুইজারল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সুইসকমের সাথে অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে দেশটির বাজারে রেনো ৫জি স্মার্টফোন উন্মুক্ত করেছে। বাণিজ্যিকভাবে ইউরোপের বাজারে আনা এটিই প্রথম ফাইভজি স্মার্টফোন। বিশ্বব্যাপী ফাইভজির ব্যবহার ত্বরান্বিত করতে বর্তমানে বেশ কিছু মোবাইল অপারেটরের সাথে অপো সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় সামনের দিনগুলোতে আরও কিছু ফাইভজি ডিভাইস নিয়ে আসবে অপো।
ফাইভজি প্রযুক্তির উন্নয়নে নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে অপো এরই মধ্যে মান নির্ধারণ, সফটওয়্যার উন্নয়ন এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে বিশেষ অবস্থান তৈরি করেছে।
অপোর ফাইভজি আরঅ্যান্ডডি দলের সদস্যরা নিয়মিতভাবেই নতুন প্রজন্মের মানদণ্ড নির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছে। এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইউরোপিয়ান টেলিকমিনিকেশন্স স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউটে (ইটিএসএ) ফাইভজি সংক্রান্ত ২,৫০০’র বেশি প্যাটেন্ট আবেদন জমা দিয়েছে অপো। এছাড়া ঘোষণা করেছে এক হাজারের বেশি প্যাটেন্ট। এর বাইরে থার্ড জেনারেশন পার্টনারশিপ প্রজেক্টে (থ্রিজিপিপি) অপো জমা দিয়েছে তিন হাজারের বেশি ফাইভজি স্ট্যান্ডার্ড সংক্রান্ত ডকুমেন্ট।