এবারের বেসিস নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা ছিল। সেই সঙ্গে ছিল অনেক হিসাব নিকাশ। নির্বাচন শেষ হয়েছে। বেসিস পেয়ে গেছে সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ। ৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ছয়টয় অভিষেক হবে নতুন টিমের। বেসিস সভাপতির দায়িত্ব নিচ্ছেন আলমাস কবীর আর দুই বছর মেয়াদী (২০১৮-২০) বেসিস কার্যনির্বাহী পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইউওয়াই সিস্টেমস লিমিটেড এর চেয়ারপারসন ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা এ রহমান। সহ-সভাপতি (প্রশাসন) নির্বাচিত হয়েছেন বিজনেস অটোমেশন লিমিটেডের পরিচালক শোয়েব আহমেদ মাসুদ এবং সহ-সভাপতি (অর্থ) নির্বাচিত হয়েছেন স্পেকট্রাম সফটওয়্যার অ্যান্ড কনসালটিং লিমিটেডের ম্যানেজিং পার্টনার মুশফিকুর রহমান।
অভিষেকের পর বেসিস সদস্যরা এ টিমের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে চান। যেসব ক্ষেত্রে বেসিস সদস্যদের সবচেয়ে সহযোগিতা প্রয়োজন সেখানে নজর দেওয়া, তাদের উন্নতিতে কাজ করা এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নয়নে এ টিমকে দ্রুত এগিয়ে যেতে হবে বলে মনে করছেন বেসিস সদস্যরা। দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিখাতে নতুন ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহসিকতা দেখানো, সরকারের পাশাপাশি নিজস্ব উদ্যোগে এ খাতকে এগিয়ে নেওয়ার একটি লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
বেসিসের এক সদস্য সভাপতিতে উদ্দেশ্য করে বলেছেনে, প্রিয় সৈয়দ আলমাস কবীর ভাই ১৫০-২০০ সদস্যের উপস্থিতিতে দেয়া লাইভ কমিটমেন্টগুলো বাস্তবায়ন জরুরী। না হলে আপনাকে সহজে কেউ বিশ্বাস করবে না!
বেসিস মেম্বারস ভয়েস গ্রুপে একজন লিখেছেন, ”
প্যানেল “Horizon” বেসিস নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ট পদে জয়লাভ করেছেন। অন্যদিকে প্যানেল “দূর্জয়” এবং “Wind of Change” থেকে স্ব স্ব ক্যাপ্টেন পাশ করেছেন।
প্যানেল Horizon এর একটি Manifesto ছিল, পাশাপাশি অপর দুই প্যানেলেরও স্ব স্ব Manifesto ছিল। এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ প্যানেল হিসেবে Horizon এর বিজয়ীগন তাদের নিজস্ব Manifesto এর সাথে অপর দুই প্যানেলের Manifesto সমন্বয় করে কিভাবে তা বাস্তবায়ন করবেন, পাশাপাশি প্যানেল দূর্জয় এবং Wind of Change এর দুই বিজয়ী ক্যাপ্টেন কিভাবে তাদের নিজস্ব Manifesto বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ প্যানেলের বিজয়ীদের Convince করে একসাথে এগিয়ে যাবেন- সেটিই এখন সাধারণ সদস্যদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু। এই বিষয়ে নির্বাচিতদের কাছ থেকে Manifesto বাস্তবায়নের একটি রোডম্যাপ সাধারণ সদস্যগণ প্রত্যাশা করে।
যারা এবার নির্বাচিত হতে পারেননি তারাসহ সকল সদস্যগণ মিলে নির্বাচিতদেরকে তাদের Manifesto বাস্তবায়নে সহায়তা করবেন – সাধারণ সদস্যগণ এই প্রত্যাশা করে। নবনির্বাচিত বোর্ডের প্রতি শুভকামনা রইল।
এদিকে, আরেক সদস্য ওই গ্রুপে কিছু দারুন পরামর্শ দিয়েছেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে ছোট এবং মাঝারি কোম্পানির সংখ্যা অনেক; এই কোম্পানিগুলোর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: টিকে থাকা এবং মার্কেট সম্প্রসারণ|
আমাদের হাই লেভেল মার্কেট দুইটি:
১. লোকাল
২. ইন্টারন্যাশনাল
লোকাল মার্কেট এর সব চেয়ে বড় ক্রেতা লোকাল Govt এবং অত্যান্ত দুঃখের বিষয় ছোট এবং মাঝারি কোম্পানিগুলোর ৯০% কোম্পানিই জানে না: কখন Govt প্রজেক্ট গুলোর টেন্ডার ডাকা হয় ,কিভাবে Govt প্রজেক্ট এ টেন্ডার অংশগ্রণ করা যাই, কিভাবে প্রজেক্ট গুলোতে কাজ করা যাই|
এইখানে একটা শূন্যতা আছে, যেইটা বেসিস খুব সহজেই পূরণ করতে পারে|
ছোট এবং মাঝারি কোম্পানিগুলোকে নিয়ে ৩-৫ দিন এর একটা Boot Camp করা যাই [ রেসিডেন্ট বুট ক্যাম্প ,Brack CDM এর মতো place এ ], যেখানে বেসিস, বড় কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধি, Govt পার্সোনাল যারা টেন্ডার প্রসেস দেখে, জানে এবং যারা এই ক্ষেত্রে এক্সপেরিয়েন্সড [ BASIS ট্রান্সপোর্ট arrange করতে পারে তাদের জন্য ], তাদের দিয়ে পুরো প্রসেস এক্সপ্লেইন/ট্রেইন করাতে পারে কোম্পানিগুলোকে।
ফলাফল: ৩০০- ১০০০ ছোট এবং মাঝারি BASIS মেম্বার কোম্পানি, মার্কেট প্রতিষ্টিত কোম্পানিতে পরিনিত হবে এবং মার্কেট এ trust তৈরি করবে, যেইটা মার্কেটকে আরও বড় করার সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট সম্পর্কে যদি ছোট এবং মাঝারি কোম্পানিগুলোকে একটু সাপোর্ট/সহযোগিতা দেয়া যাই, তারা আগামী ৩ বছরেই ৩০০ মিলিয়ন থেকেই ১৫০০ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি করার যোগ্যতা রাখে| হিসাবটা খুব সাধারণ: ৫০০ কোম্পানি বছরের গড়ে ৫০০,০০০ ডলার(সেটা যদি ২০১৯ সাল থেকেও শুরু হয় ) রপ্তানি করলেই ,আমরা এই লক্ষমাত্রা অর্জন করতে পারি|
পদ্দতি একই, বেসিস রেসিডেন্ট Boot Camp organize করতে পারে, এক্সপার্টদর নিয়ে আসা যাই, যারা ক্লায়েন্ট কিভাবে খুঁজতে হয়, যোগাযোগ করতে হয়, প্রোডাক্ট ডেলিভারি দিতে হয়, কি কি টুল USE করা যাই, মার্কেটিং material কি লাগে ইত্যাদি নিয়ে এক্সপার্ট ট্রেনিং দিতে পারে।
ফলাফল: ৩০০- ১০০০ ছোট এবং মাঝারি BASIS মেম্বার কোম্পানি আগামী ৩ বছর এ ৩০০ মিলিয়ন থেকেই ১৫০০ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি করবে।
উপরের প্রস্তাব গুলো short ভার্সন ,এইগুলোর সাথে long ভার্সন যোগ করতে পারলে ১.৫ বিলিয়ন ডলার শুধু বেসিস কোম্পানিগুলোই রপ্তানি করতে পারবে।
আমাদের ফিনান্সিয়াল সাপোর্ট দরকার, কিন্তু ফিনান্সিয়াল সাপোর্ট রিটার্ন করার শক্তি থাকাটা আরও বেশি জরুরি তা না হলে ঋণখেলাপি এর খাতায় নাম উঠবে।
পরিশেষে এ, সারাদেশ ফ্রীলান্সার তৈরি করার থেকেও, বেসিস এর মেম্বারদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বেসিস এর প্রধান কার্যক্রম হওয়া উচিত কারণ “আমরারাই বেসিস, ১১০০ কোম্পানি”.