মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অ্যাপল ওয়াচ এক তরুণীর প্রাণ বাঁচিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে হাসপাতালে যেতে হলেও অ্যাপল ওয়াচ পরা না থাকলে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারতো বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ডাব্লিউএফটিএস টাম্পা বে।
ওই তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনার সময় গির্জায় ছিলেন ১৮ বছর বয়সী ডিয়ানা রেকটেনওয়াল্ড। এ সময় অ্যাপল ওয়াচ তাকে অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সতর্কবার্তা পাঠায়। মাথা ব্যাথা এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে দূর্বলতা অনুভব করলেও তিনি ভালো আছেন মনে করে প্রথমে তা এড়িয়ে যান। পরবর্তীতে অ্যাপল ওয়াচ তাকে আরেকটি সতর্কবার্তায় জানায় যে হৃদস্পন্দন মিনিটে ১৯০ এ পৌঁছেছে। এরপরই জরুরী চিকিৎসার কক্ষে যান তিনি।
পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা আবিষ্কার করেন তার কিডনি কাজ করছিলো না এবং তাকে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয় রোগটি নজরেই আসতো না যদি না অ্যাপল ওয়াচ সতর্কবার্তা পাঠাতো– খবর প্রযুক্তি সাইট সিনেটের।
পরবর্তীতে অ্যাপল প্রধান টিম কুক এক টুইট বার্তায় বলেন, “রেকটেনওয়াল্ডের গল্প তাকে বড় স্বপ্ন দেখতে এবং প্রতিদিন আরও ভালো কিছু করতে অনুপ্রাণিত করেছে।” টাম্পা জেনারেল হাসপাতালের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয় যে চিকিৎসা দেওয়ার পর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে রেকটেনওয়াল্ডকে। তবে তার শারিরীক অবস্থা নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। হাসপাতালের এক মুখপাত্র বলেন, “আমাদের চিকিৎসকরা কখনোই দাবি করেননি যে অ্যাপল ওয়াচ তার জীবন বাঁচিয়েছে। এ দাবি তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে।”
অ্যাপল ওয়াচ তার জীবন বাঁচিয়েছে আগেও এমন দাবি করেছেন আরেক কিশোর। ২০১৫ সালে ফুটবল অনুশীলনের সময় বুকে ব্যাথা অনুভব করেন ওই কিশোর। পরে তিনি জানতে পারেন তার ‘র্যা বডোমোলাইসি’ রোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে সিনেটের পক্ষ থেকে অ্যাপলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি প্রতিষ্ঠানটি।