আপনি কি আইটিতে ক্যাারিয়ার গড়তে চান? কাছের কোনো প্রতিষ্ঠানে ওয়েব ডিজিাইন, এমএস প্যাকেজ, হার্ডওয়্যার, অ্যাডোবি সফটওয়্যার, ডাটাবেজ, সার্ভার নেটওয়ার্ক, আইটিি সিকিউরিটিসহ দরকারি প্রশিক্ষণ নিতে চান? সহজ সমাধান হাতের কাছেই চলে আসছে। ঘরে বসে অনলাইনে শেখার পাশাপাশি বিভাগীয় শহরগুলোর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কম খরচে এসব বিষয় শিখে ফ্রিল্যান্সিংসহ নানা কাজ করতে পারবেন। আয় করতে পারবনে অনেক টাকা।
‘দক্ষ হোন জীবন পাল্টে যাবে’ এই স্লোগানে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কাজ করছে বিশ্বব্যাপী আইটি প্রশিক্ষণে সমাদৃত প্রতিষ্ঠান এ্যাপটেক ইন্টারন্যাশানাল ও এডিএন এডু সার্ভিসেস লিমিটেড। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেসিস অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশে অ্যাপটেকের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। দেশে এডিএন এডুসার্ভিসের সঙ্গে কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
বিনা মূল্যে ১৬,১০০ জনকে প্রশিক্ষন দেবে আইসিটি বিভাগ, চলছে রেজিষ্ট্রেশন
এডিএন এডু সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন কান্তি সরকার বলেন, দেশে বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে দক্ষ কর্মীদের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দক্ষ কর্মী পাওয়া যায় না। এ জন্য দক্ষ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশ একটি বিপুল সম্ভাবনার দেশ।
সম্প্রতি প্রকাশিত, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৬-১৭ অর্থবছরের শ্রমশক্তি জরিপের প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে মোট কর্মোপযোগী মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি ৯১ লাখ। এর মধ্যে কর্মে নিয়োজিত ৬ কোটি ৮ লাখ মানুষ। বাকি ৪ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার মানুষ কর্মক্ষম তবে শ্রমশক্তির বাইরে। এর মধ্যে শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও অশিক্ষিত নারী-পরুষ আছে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে যদি কর্মউপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা (ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী) প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করা যায় তাহলে বর্তমান সরকারের ঘোষিত ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে অতি সহজে পৌছাতে পারব।’
দেশের বেকারদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তপন কান্তি বলেন, ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২০১২ সালের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর নতুন ২২ লাখ কর্মক্ষম মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। কিন্তু কাজ পায় মাত্র ৭ লাখ। বাকি ১৫ লাখ থাকে বেকার। এর মধ্যে উচ্চশিক্ষিত অর্থাৎ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে যারা শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন তারাও রয়েছেন।
প্রতি বছর এই ১৫ লাখ শ্রমশক্তি বেকারের সংখ্যা শুধু বাড়িয়েই চলেছে। এই বিপুল জনসংখ্যাকে যদি কারিগরী শিক্ষায় শিক্ষিত করে যদি চাকুরির পেছনে না ছুটে ফ্রিল্যান্সিং বা উদ্যোক্তা হিসাবে তৈরী করা যায় তাহলে এই বিপুল জনগোষ্ঠী আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।’ এ ক্ষেত্রে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে এডিএন এডুসার্ভিস।
অ্যাপটেক ইন্টারন্যাশনালের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক সোমশুভ্র বকশি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি তিন দশকের বেশি সময় ধরে ৪০টি দেশে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কাজ করছে। অ্যাপটেকের শিক্ষণ পদ্ধতি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। এ্যাপটেকের এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সফট্ওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্কিং, এরিনা মাল্টিমিডিয়া ও ইংলিশ লার্নিং-এ দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরীর উদ্দেশ্যে এডিএন এডু সার্ভিসেস এর মাধ্যমে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করেছে। অ্যাপটেকের বর্তমানে যুগোপযোগী অনেক কোর্স রয়েছে যা অল্প খরচে করা যাবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, এ্যাপটেকের বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হয়ে তরুণরা তাদের দক্ষতা বাড়াতে পারবে এবং দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের দক্ষতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবে। আমরা এ্যাপটেকের কার্যক্রমকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছি। এই কার্যক্রমে আগ্রহী ট্রেনিং ইন্সিটিটিউটগুলো আমাদের সাথে যুক্ত হয়ে দক্ষ জনবল তৈরীতে তাদের অবদান রাখতে পারবেন।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এপটেক ইন্টারন্যাশানালের সিনিয়র ম্যানেজার সোমশুভ্র বকশী, এডিএন গ্রুপের চীফ ডিজিটাল বিজনেস ও মার্কেটিং অফিসার রুহুল্লাহ রায়হান আল-হুসাইন এবং এডিএন এডু সার্ভিসেস লিমিটেড এর বিজনেস প্রধান নুরুল আলম সোহেল। অনুষ্ঠানে শেষ পর্যায়ে বক্তারা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
হাইটেক পার্কের আইটির ৪১টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে কিভাবে আবেদন করবেন? কোথায় করবেন?
কিভাবে প্রশিক্ষণ পাবেন ধাপে ধাপে জেনে নিন:
সহজ কথা আগ্রহ থাকলে এডিএন ও অ্যাপটেকের ওয়েবসাইটে যান । সেখান থেকে আপনার নিকটস্থ প্রশিক্ষণকেন্দ্র বাছাই করে নিন। ১০-১২ জনের ব্যাচ হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এক নজরে অ্যাপটেক ইন্টারন্যাশনালের কার্যক্রম:
- প্রতিষ্ঠানটি তিন দশকের বেশি সময় ধরে ৪০টি দেশে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কাজ করছে।
- অ্যাপটেক ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেলে কাজ করে। এতে প্রশিক্ষণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।
- বিশ্বব্যাপী ৫০টিরও বেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে এডিএন এডু সার্ভিসেস তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
- অ্যাপটেক ইন্টারন্যাশনাল হেড অফিস মুম্বাই।
- ভিয়েতনাম, পকিস্তান, রাশিয়া, বাহরাইন সহ বিভিন্ন দেশে অ্যাপটেক ইন্টারন্যাশনালের প্রশিক্ষন কার্যক্রম পরিচালনা করছে
- অনলাইনেও বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে সার্টিফিকেট কোর্স সমূহ করা যাবে।
অ্যাপটেক বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এডিএন এডুসার্ভিসের সহযোগিতায় বাংলাদেশে যে যে বিষয়ে প্রশিক্ষন দেয়া হবে:
- সফট্ওয়্যার
- হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্কিং
- এরিনা মাল্টিমিডিয়া
- ইংলিশ লার্নিং
আরও কিছু দরকারি তথ্য:
- বাংলাদেশে ৫ বছরের কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে, যার আওতায় দেশের আটটি বিভাগীয় শহরসহ ৬৪ জেলার বিভিন্ন জায়গায় ২৪টি আইটি সেন্টার এবং ৪০ টি ইংলিশ লার্নিং সেন্টার গড়ে তোলা হবে।
- এ্যাপটেকের বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হয়ে তরুণরা তাদের দক্ষতা বাড়াতে পারবে এবং দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের দক্ষতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবে।
এ্যাপটেক তাদের কার্যক্রমকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেলে কাজ করে যাচ্ছে। প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলো চাইলে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজেরা প্রশিক্ষণ দিতে পারবে।
বিস্তারিত জানুন: www.adnedu.com
আরও পড়ুন:
সিটিও টেক সামিট-২০১৮ নিয়ে যা বললেন তপন কান্তি সরকার
দক্ষ জনবল তৈরিতে একসাথে কাজ করবে এ্যাপটেক এবং এডিএন এডুসার্ভিস