তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ও ফেসবুকের পাসওয়ার্ড প্রদান ও সামাজিক মাধ্যমে কিছু শেয়ার করার বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। তা না হলে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে। তিনি পরিচয় যাচাই না করে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট গ্রহণ না করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। প্রতিমন্ত্রী আজ সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে “ডিজিটাল নিরাপত্তায় মেয়েদের সচেতনতা ” শীর্ষক ওয়েবিনারে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
পলক বলেন বর্তমানে দেশে যত সাইবার ক্রাইম হয় তার মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ কিশোরী শিকার হচ্ছে। সাইবার অপরাধে শিকার হওয়া কিশোরীদের মানসিক ভাবে ভেঙ্গে না পড়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন কেউ যদি এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হয় তাহলে ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের সহায়তা নিতে পারে। তিনি বলেন কারো ফেসবুক হ্যাক হলে তাদের প্রযুক্তি ও আইনগত সহায়তা দিতে আইসিটি বিভাগের অধীন “সাইবার সিকিউরিটি হেল্প ডেস্ক” প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন বিভিন্ন এলাকায় নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে অপরাধীদের প্রতিরোধ ও ব্যক্তি সচেতনা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের সন্তানদের মূল্যবোধ জাগ্রত করতে শিক্ষক , অভিভাবকসহ সকলকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে সন্তানেরা ডিজিটাল প্লাটফর্মে কখন, কার সাথে যুক্ত হচ্ছে সে বিষয়ে খোজ রাখতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়াও আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত অপরাধ দমনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন সাইবার স্পেকে নিরাপদ রাখতে মূলত যে ৪ টি পূর্ব শর্ত নিশ্চিত করতে হয় সেগুলো হচ্ছে প্রথমত, ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি। দ্বিতীয়ত, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান। তৃতীয়ত, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা। চতুর্থত, আইনের কঠোর প্রয়োগ।তিনি সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে ইন্টারনেটে শেয়ার না করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
ওয়েবিনারে অন্যন্যোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, সিসিএ নিয়ন্ত্রক আবু সাঈদ চৌধুরী, সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আনোয়ার ইসলাম আনু। ওয়েব সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিসিএ উপ-নিয়ন্ত্রক হাসিনা বেগম।