আউটসোর্সিং খাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ব্যাপক। বিশেষ করে সাম্প্রতিক ট্রেন্ড দেখলে অস্বীকার করার উপায় থাকবে না। ট্রেন্ড বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার আউটসোর্সিং বাজারে দ্রুত উঠে আসছে বাংলাদেশ। এ খাতের শীর্ষস্থানীয় দেশ ভারত বাজার হারাচ্ছে। তাদের বাজার দখলে এখন ভাগ বসাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশ।এই তালিকায় ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা, চীন ও অন্যান্য ইউরোপিয়ান দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের নামও আছে।বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) খাত বর্তমানে বিজনেস প্রসেস ম্যানেজমেন্ট (বিপিএম) হিসেবেই পরিচিত। ১৮৬ বিলিয়নের এই ইন্ডাস্ট্রিতে ভারতের দখলে রয়েছে ৩৬ শতাংশ বাজার। কিন্তু ছোট দেশগুলো কম খরচে কাজ করে দেওয়ার ফলে তাদের বাজার দখলের পরিধিও বেড়েছে।বর্তমানে ভারতে ১১ লাখ মানুষ আউটসোর্সিং পেশার সঙ্গে যুক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের ৬৫ শতাংশ আউট সোর্সিংয়ের কাজ ভারতই পেয়ে থাকে। দেশটির প্রায় পাঁচশ’ আউটসোর্সিং কোম্পানি ৬৬ টি দেশের জন্য ৩৩ টি ভাষায় কাজ করছে।কিন্তু তুলনামূলকভাবে কম খরচে অন্যান্য দেশও আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে দেওয়ায় শীর্ষ স্থান ধরে রাখা ভারতের জন্য আরও কঠিন হচ্ছে।আউট সোর্সিংয়ের কাজের জন্য অবস্থানের দিক দিয়ে ভারত, চীন, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ। চীন কম খরচে কাজ করে দিচ্ছে, আর্থিক ও ভয়েসভিত্তিক কাস্টমার সেবায় তৈরিতে এগিয়ে আছে ফিলিপাইন। গেইমিং ও অ্যানিমেশনে ভালো করছে মালয়েশিয়া। একইসঙ্গে দেশগুলো জটিল সফটওয়্যার তৈরি করারও কাজ করছে। উরুগুয়ে ও ভিয়েতনাম ডাটা এন্ট্রির কাজে ভালো করছে। আর্থিক সেবার কাজগুলোর জন্য শ্রীলঙ্কাতে রয়েছে ফাইন্যান্স জানা ফ্রিল্যান্সার।ডালাসের এভারইস্ট গ্রুপের কনসাল্টিং ও রিসার্চ ফার্মের সিইও পিটার ব্যান্ডর স্যামুয়েল জানিয়েছেন, ভালো বাচনভঙ্গী ও কন্ঠের জন্য ফিলিপাইন বেশি এগিয়ে আছে। কাজের জন্য তাদেরকে বাংলাদেশ বা ভারতের চেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ দিতে হলেও উন্নত বিশ্বের সঙ্গে সময়ের পার্থক্য কম থাকায় তারা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। এছাড়াও মেক্সিকো, কোস্টারিকা, পোল্যান্ডে কাজ করানোর খরচ বেশি হলেও ধীরে ধীরে তাদের বাজার বড় হচ্ছে।
বাংলাদেশের আউটসোর্সিং খাত উন্নয়নে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। আশা করা যায়, আগামীতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার আউটসোসিং বাজারের ওপরের দিকে থাকবে।
previous post