আবারও খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন ফেইসবুক প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যা ‘হলোকাস্ট’ নিয়ে অস্বীকৃতি জানানো ব্যবহারকারীদের পোস্ট ফেইসবুকে রাখা হবে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন তিনি, আর এতেই নতুন এই আলোচনার জন্ম।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গণহত্যা অস্বীকারকারীদের ফেসবুকে ব্যান করা হবে না, এমন মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। বুধবার এক পডকাস্ট সাক্ষাতকারে এই মন্তব্য করেন তিনি। এ বিষয়ে জাকারবার্গের ভাষ্য হচ্ছে, ফেসবুক প্লাটফর্ম থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গণহত্যা অস্বীকারকারীদের ব্যান করার দায়িত্বটি ফেসবুকের নয়। কারণ, ব্যক্তিগত ভুল ধারণার চেয়ে ভুল তথ্য প্রচারকারী ক্যাম্পেইন এবং এ জাতীয় অন্যান্য ম্যালিশাস কার্যক্রম ঠেকানোর দিকে বেশি মনোযোগী প্রতিষ্ঠানটি।
১৮ জুলাই, বুধবার প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট রিকোডের কারা সুইসারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাকারবার্গ বলেন, ‘ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে বিতর্কিত ভুয়া তথ্য হলেও হলোকাস্ট অস্বীকারের মতো বিষয়গুলো রাখা হবে। জাকারবার্গ বলেন, ‘ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে কন্সপাইরেসি থিওরি বা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব থাকবে। ফেসবুক এগুলো সরাবে না বড়জোর এগুলো যাতে বেশি মানুষের কাছে না যেতে পারে তার ব্যবস্থা নেবে।’ জাকারবার্গ বলেন, ‘দিন শেষে বিতর্কিত পোস্টগুলো ফেসবুক সরাবে না। কারণ, একেক মানুষের কাছে একেক জিনিস ভুল মনে হতে পারে। আমার মনে হয় না তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এ ধরনের ভুল করে।’ জাকারবার্গের ওই মন্তব্যে গণমাধ্যম ও অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী সমালোচনা করেছেন।
পরবর্তীতে, সুইশারকে এ বিষয়ে পাঠানো এক মেইলে জাকারবার্গ জানিয়েছেন, “ভ্রান্ত সংবাদের ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, মানুষের ব্যক্তিগত ‘অসত্য’ তথ্য ঠেকানোর বদলে সেবায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকা ভ্রান্তিমূলক সংবাদ ও ভুল তথ্য ঠেকানো।”