আগামী বছর ১০টিরও বেশী ৫জি ফোন আনার পরিকল্পনা করেছে শাওমি। রোববার পূর্ব চীনের উইঝ্যাংয়ে ওয়ার্ল্ড ইন্টারনেট কনফারেন্সে চীনভিত্তিক এই স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেই জাং এই ঘোষণা দেন।
লেই এমন সময় এই ঘোষণা দিলেন যখন শাওমিকে স্বদেশী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের দিক থেকে যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বীতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে- বলা হয়েছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে। এই সেপ্টেম্বরেই শাওমি তার ফ্ল্যাগশিপ ফোন ‘মি ৯ প্রো’ বাজারে এনেছে। স্থানীয় বাজারে আনা এই ফোনটিই ছিল শাওমির প্রথম ৫জি ফোন।
লেই জানান, বাজারে মি ৯ প্রো ফোনের চাহিদা প্রত্যাশার চেয়ে এতোই বেশি ছিল যে, এর প্রভাব গোটা সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর পড়েছে। ফোনটির এমন সাফল্যই প্রতিষ্ঠানটিকে উচ্চ, মাঝারি এবং নিম্ন- এই তিন মূল্য শ্রেণিতেই ৫জি ফোন তৈরির উৎসাহ দিয়েছে।
লেই আরও বলেন, “এই শিল্পের লোকজন ভাবছেন সামনের বছর ৪জি ফোন হয়তো আর বিক্রি হবে না। তবে এক্ষেত্রে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায়ও নেই।”
“আমরা আশা করতে পারি নেটওয়ার্ক অপারেটররা তাদের ৫জি বেজ স্টেশনের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবেন।”
আগের বছর চীনের স্মার্টফোন বাজারে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতায় শাওমির শেয়ার মূল্য কমে গিয়েছিল। এ বছর সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দেয় তারা পূনঃক্রয়ের মাধ্যমে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলারের শেয়ার তুলে নেবে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের তথ্য অনুযায়ী, চীনে আগের বছরের তুলনায় এ বছর শাওমির দখল কমেছে। আগের বছর বাজারের ১৩.৯ শতাংশ ছিল শাওমির হাতে। সেখানে এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে তা কমে এসে ১১.৮ শতাংশে ঠেকেছে।
হুয়াওয়ের কারণে চীনের অন্যন্য সব বড় ব্র্যান্ডগুলোরই বিক্রি কমেছে আর এর কারণ সম্ভবত চীনাদের দেশপ্রেম। এ বছর মে মাস থেকে শেনজেন ভিত্তিক এই স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালায়ের কালো তালিকাভূক্ত করা হয় হুযাওয়েকে।
তবে নতুন আসা ব্র্যান্ড হিসেবে ইউরোপে শাওমি বেশ ভালোই বাজার পেয়েছে। এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইউরোপে স্মার্টফোন বাজারের ৯.৬ শতাংশ তারা দখল করতে পেরেছে যেখানে আগের বছর ছিল ৬.৫ শতাংশ।