আদালতের মাধ্যমে নয়, গ্রামীণফোন এবং রবির কাছে সরকারের পাওনা দাবি করা টাকা আদায়ের ফয়সালা হবে আলোচনার মাধ্যমে। আর এটি হবে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যেই। সচিবালয়ে আজ বুধবার অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা জানান।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিটিআরসির বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ফোলি এবং রবির সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিটিআরসির দাবি অনুযায়ী, গ্রামীণফোন ও রবির কাছে বিটিআরসির পাওনা ১৩ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি টাকা। এ টাকা আদায়ে মাঝখানে ব্যান্ডউইথ সীমিত করা এবং প্যাকেজ ও সরঞ্জামের ছাড়পত্র (এনওসি) দেওয়া বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির কারণে সমস্যা তৈরি হয়েছে। আর এতে দুই অপারেটরের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে যাচ্ছিল। এ অবস্থা চলমান থাকলে আমাদের ক্ষতি হতো। তারা ব্যবসা করবে, আমরাও পাওনা বুঝে নেব। তারা যে মামলা করেছে, তা প্রত্যাহার করে নেবে। অন্যদিকে সরকারের তরফ থেকে যে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, তাও প্রত্যাহার করা হবে। এতে তারাও জিতবে, আমরাও জিতব।’
এদিকে গ্রামীণ ও রবির সঙ্গে কাকতালীয়ভাবে দেনা-পাওনা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, তারা জনগণের সেবা করছে ২২ বছর ধরে। এর মধ্যে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিনের এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। অর্থমন্ত্রী যেটি বলেছেন, আমাদের সবার মতও একই। আমরা চাই না ব্যবসার পরিবেশ নষ্ট হোক। তবে জাতীয় রাজস্বও উপেক্ষা করার সুযোগ নেই।
এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, তাদের কাছে বিটিআরসির পাওনার ৬০ থেকে ৭০ ভাগই সুদ। তবে আমরা যে চার হাজার কোটি টাকা পাই, সেখানে সুদের হিসাব নেই।