ইউটিউব কার্যালয়ে হামলাকারী নারীর পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। ইরানি বংশোদ্ভূত ওই নারীর নাম নাসিম আগডাম (৩৯)।হামলাকারীর পরিচয় জানা গেলেও হামলার উদ্দেশ্য এখনো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত ইউটিউবের প্রধান কার্যালয়ে স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার এক হামলার ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সন্দেহভাজন হামলাকারী নারীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশপ্রধান বারবার্নি সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
বারবার্নি বলেন, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪৮ মিনিটে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মানুষ দিগ্বিদিক ছুটছিল। কার্যালয়ের সামনে গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। কয়েক মিনিট পরই গুলিবিদ্ধ আরেক নারীকে পাওয়া যায়। সন্দেহভাজন ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ বলছে, যাঁদের গুলে লেগেছে তাঁদের কেউ হামলাকারীকে চিনতেন না। ওই ঘটনায় ৩৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া ৩২ ও ২৭ বছর বয়সী দুই নারীর গুলি লেগেছে।
পুলিশ বলছে সন্দেহভাজন ওই নারী ইরানি বংশোদ্ভূত এবং ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা। তিনি নিয়মিত ইউটিউব ব্যবহার করতেন। একটি ভিডিওতে তিনি তাঁর পোস্টগুলোতে ইউটিউবের বৈষম্য ও ফিল্টার করার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এ ছাড়া ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটেও ইউটিউবের বিরুদ্ধে তাঁকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
ঘটনার পরপরই ইউটিউব থেকে তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁর ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে ক্ষোভ প্রকাশ করে আগডাম লেখেন, ইউটিউবসহ অন্যান্য ভিডিও শেয়ারিং সাইটে ভিডিও ভিউ বাড়ানোর ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হচ্ছে। সবাই সমান সুযোগ পাচ্ছে না। কেবল ইউটিউব কর্তৃপক্ষ যদি চায় তবেই চ্যানেল বড় করা যাবে। তা না হলে না।
এর আগে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছিল, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিটি আগডামের বন্ধু হতে পারে। তবে পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। গুলির চালানোর সময় নির্দিষ্ট কাউকে লক্ষ্য করে চালানো হয়নি। অর্থাৎ, নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে ওই সন্দেহভাজন নারী।
ইউটিউব কার্যালয়ে হামলাকারী কে এই নাসিম আগডাম?
previous post