মোবাইল ইন্টারনেটে অত্যাধুনিক টেলিযোগাযোগ, এন্টারপ্রাইজ ও কনজ্যুমার প্রযুক্তি সেবাদাতা শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান জেডটিই সম্প্রতি গুলশানে তাদের করপোরেট কার্যালয়ে ইএইচএস প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করে।
ইএইচএস’র অর্থ- পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা (এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি)। সমন্বিতভাবে ইএইচএস বলতে কর্মক্ষেত্রে কর্মী এবং জনসাধারণের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা, কর্মক্ষেত্রের সাথে সম্পর্কিত বিপদ থেকে পরিবেশকে সুরক্ষিত করার জন্য আইন, বিধি, পেশা, কর্মসূচি ও প্রচেষ্টাকে বোঝায়।
জেডটিই করপোরেশন বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুই ঝি পিং সহ প্রতিষ্ঠানটির স্থানীয় এবং চীনা সকল কর্মকর্তা এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। সেশনটি পরিচালনা করেন জেডটিই’র ইএইচএস ম্যানেজার প্রকৌশলী মোহাম্মদ গোলাম নাজিব।
সেশনে জেডটিই বাংলাদেশের সকল কর্মীকে নিরাপত্তা মুহ‚র্ত, ইএইচএস পলিসি, কাজের নিয়ম, সুরক্ষিত থাকার কার্যক্রমগত নিয়ম, সাধারণ নিরাপত্তা বিধি, টুলবক্স মিটিং, চিহ্ন, হাউজকিপিং, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, হালকা ও ভারি যন্ত্রাদি ব্যবহার, পরিদর্শন, ইআরপি ফায়ার, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং তাপ প্রতিরোধ সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়।
এ উদ্যোগ নিয়ে জেডটিই করপোরেশন বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ভিনসেন্ট লিউ বলেন, ‘আমরা আমাদের সকল পর্যায়ের কর্মীদের কাজের পরিবেশে দুর্ঘটনা ঝুঁকির ব্যাপারে সচেতন করে তুলতে সর্বাত্মক সহায়তা করি। যাতে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার জন্য কোন ব্যাপারগুলো হুমকি স্বরূপ তা তারা বুঝতে পারে। এখন থেকে নিয়মিতভাবে আমরা ইএইচএস প্রশিক্ষণ কর্মস‚চি পরিচালনা করবো।’
প্রতিষ্ঠানটির ইএইচএস ম্যানেজার গোলাম নাজিব বলেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ে এখন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সব প্রতিষ্ঠান অনেক বেশি উদ্বিগ্ন। বর্তমানে, কাজের পরিবেশের সাথে সংশিষ্ট সকল দুর্ঘটনা প্রতিরোধে তারা এখন ইএইচএস প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছে। এই ইএইচএস প্রশিক্ষণ আমাদের কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমিয়ে আনতে সহায়তা করবে। এমনকি, আমরা প্রশিক্ষণ থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা আমাদের বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সাথেও শেয়ার করতে পারবো।’
জেডটিই করপোরেশন বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চুই ঝি পিং বলেন, ‘জেডটিই’তে আমরা নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেই যাতে আমাদের কর্মী, সাবকন্ট্রাক্টর ও অন্যান্য অংশীদারেরা নিরাপদে প্রতিদিন বাসায় ফিরতে পারে।’