সমন্বিত টেলিকমিউনিকেশন্স অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশ (ইডটকো বিডি), পঞ্চম বর্ষপূর্তি উদযাপন করছে। ইডটকো লিজিং, কো-লোকেশন, বিল্ড-টু-স্যুট, এনার্জি, ট্রান্সমিশন এবং অপারেশন এন্ড মেইনটেইনেন্স (ওএন্ডএম) সার্ভিসের মাধ্যমে টেলিকমিউনিকেশন খাতে সম্পূর্ণ সমাধান প্রদান করে থাকে। ২০১৩ সাল থেকে ইডটকো দেশের টেলিকমিউনিকেশন্স অবকাঠামো খাতে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
এশিয়ার সর্বপ্রথম আঞ্চলিক ও সমন্বিত টেলিকমিউনিকেশন্স অবকাঠামো সেবাদাতা কোম্পানি ইডটকো গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইডটকো বিডি। সারাবিশ্বে ২৮,০০০ এরও বেশি টাওয়ারের মাধ্যমে ইডটকো বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান এবং মায়ানমারে সফলভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় টেলিকমিউনিকেশন খাতে উল্লেখযোগ্য ও সফলভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইডটকো ফ্রস্ট এন্ড সুলিভান কর্তৃক ২০১৭ এবং ২০১৮ পরপর দু’বছর ‘এশিয়া প্যাসিফিক টেলিকমস টাওয়ার কোম্পানি অফ দি ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করে।
গত পাঁচ বছরে সারাদেশে ৮,০০০ এরও বেশি টাওয়ার নির্মাণ করে বাংলাদেশের টেলিকমিউনিকেশন খাতকে টেকসই ও গ্রিন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর দিকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে ইডটকো বিডি। ইডটকো সর্ব প্রথম স্টিলের তৈরি চিরচারিত টাওয়ারের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহার করে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে ব্যাম্বু টাওয়ার তৈরি করে।
ইডকো বিডির সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রকল্প ‘টাওয়ার টু কমিউনিটি’ এর অধীনে ২০১৬ সাল থেকে নিঝুম দ্বীপ, শিবপুর, নাজিরপুর, কুয়াকাটা, যাদুর হাট এবং নিলফামারীর প্রত্যন্ত এলাকায় বিনামূল্যে বিদ্যুৎ বিতরণ করে আসছে। সোলারের সাহায্যে পরিচালিত টাওয়ার সাইটগুলোর মাধ্যমে ইডটকো বিডি এখন পর্যন্ত ৭০০টিরও বেশি পরিবার, স্কুল এবং মসজিদে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৮ সালের ভেতর ১০০০ পরিবারে এই সেবা পৌঁছে দিতে পারবে বলে আশাবাদী। এছাড়াও ক্লিন ওয়াটার এন্ড সেনিটেশন প্রকল্পের অধীনে ইডটকো সুবিধাবঞ্ছিত এলাকায় পরিষ্কার ও নিরাপদ খাবার পানিও সরবরাহ করছে।
ইডটকো গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুরেশ সিধু বলেন, “আমরা সবসময় দায়িত্বশীল ও টেকসই ভাবে আমাদের ব্যবসাকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে থাকি যাতে করে আমাদের গ্রাহক, কর্মীবৃন্দ, কমিউনিটি এবং উন্নয়নশীল দেশসমূহ লাভবান হতে পারে। ধারাবাহিকভাবে মানসম্মত ও গুনগত সেবা প্রদানের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রির বিশ্বাস অর্জন করতে পেরে আমরা গর্বিত। উদ্ভাবনের লক্ষ্য ও প্রচেষ্টা নিয়ে আমরা আগামী বছরগুলোতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখব”।
ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাহুল চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশে আমাদের এই অগ্রযাত্রাটি চমৎকার। বাংলাদেশ সরকার, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং সকলের সহযোগিতার জন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আগামীতেও টেলিকমিউনিকেশন খাতের উন্নয়নে এবং অপারেটরদের কার্যকরী টেলিকমিউনিকেশন সেবা ও সমাধানসমূহ প্রদান করতে আমরা বদ্ধপরিকর”।
ইডটকো বিডি সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃক শর্ত সাপেক্ষে টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স পেয়েছে। শর্তসমূহ পূরণের মাধ্যমে পরিপূর্ণ লাইসেন্স-পাওয়ার পর ইডটকো স্বতন্ত্রভাবে দেশে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের জন্য টেলিকমিউনিকেশন টাওয়ার নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা করতে পারবে।