দেশে প্রথমবারের মতো হাইব্রিড সোলার-উইন্ড টাওয়ার স্থাপন করলো সমন্বিত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবা কোম্পানি ইডটকো বাংলাদেশ। ৭৫ মিটার লম্বা টাওয়ারটি স্থাপন করা হয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত দ্বীপ হাতিয়ায়। প্রত্যন্ত এই দ্বীপটিতে কোনো বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় এবং তীব্র জোয়ারের ঝুঁকির কারণে এই এলাকার সাথে সংযোগ রক্ষা করাও খুব কঠিন।
নবায়নযোগ্য এই এনার্জি সল্যুশনটি বাংলাদেশে এবারই প্রথম তৈরি হলো। বিশেষত, দেশের যেসব এলাকা জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের অর্ন্তভুক্ত নয়, সেসব এলাকায় প্রয়োজনীয় নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই এটি তৈরি করা হয়েছে।
উদ্ভাবনী, টেকসই এবং বিদ্যু সাশ্রয়ী সল্যুশন স্থাপনের মাধ্যমে টেলিকম টাওয়ারগুলোতে বিকল্প শক্তি ব্যবহার করে দেশজুড়ে নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে যে প্রচেষ্টা ইডটকো চালিয়ে যাচ্ছে, এই উদ্যোগটি তারই অংশ।
উদ্ভাবনীমূলক এই টাওয়ারটি একটি স্থায়ী গ্রিন হাইব্রিড এনার্জি সল্যুশন দিয়ে গঠিত, যার সর্বোচ্চ ১২ কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার থেকে দৈনিক প্রতি ঘণ্টায় ৪২ কিলোওয়াট এবং টাওয়ারের মাথায় বসানো ৪ কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বায়ু ঘূর্ণিযন্ত্র থেকে দৈনিক ঘণ্টায় ৬ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম যার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব। এভাবেই পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করার মাধ্যমে হাইব্রিড পাওয়ার প্ল্যান্টটি টেলিকম সিস্টেমকে সারা বছর সক্রিয় রাখে।
নবায়নযোগ্য এই এনার্জি সল্যুশনটি ডিজেলের ব্যবহার কমানোসহ সার্বিকভাবে টাওয়ার রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি প্রকৃতিবান্ধব এই সল্যুশনটি শতকরা ৮০ ভাগ পর্যন্ত কম কার্বন নিঃসরণ করে।
ডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিকি স্টেইন বলেন, আর এ ধরনের সল্যুশন আমাদেরকে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সংযোগের আওতায় আনার সুযোগ করে দেয়।
ইডটকো গ্রুপের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ডিরেক্টর আইআর কুমারী নলিনী বলেন, ‘পরিবেশের উপর আমাদের প্রভাব কমানোর করার পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব টেকসই অবকাঠামো তৈরিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মুলত আমাদের টাওয়ারগুলো জাতীয় গ্রিডকেই শক্তির মূল উৎস হিসাবে ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু যেসব দেশে এটি একটি চ্যালেঞ্জ, সেইসব দেশের ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য শক্তি অত্যন্ত কার্যকর একটি সল্যুশন এবং এই হাইব্রিড সল্যুশনটিকে কাজে লাগানোর জন্য যেসব দেশে আমাদের কার্যক্রম আছে, ওইসব দেশের বিভিন্ন অংশীদারদের সাথে একত্রে কাজ করে থাকি। গত বছর মিয়ানমারে আমরা একই ধরনের একটি সল্যুশন তৈরি করেছিলাম। আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে