সাম্প্রতিক সময়ে উন্নত মানের ভিডিও গেম খেলা একটি জনপ্রিয় বৈশ্বিক প্রবণতা হয়ে উঠেছে। এই প্রবণতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশি গেমাররাও এখন নিজেদের মোবাইল ফোনে উন্নত মানের ভিডিও গেম খেলছেন। কিন্তু কখনও কখনও স্বাচ্ছন্দ্যে গেম খেলার মতো ডিভাইস, অর্থাৎ মোবাইল ফোনের দাম তাঁদের সামর্থ্যের তুলনায় অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। তাই বাংলাদেশী গেমারদের প্রত্যাশা পূরণে ইনফিনিক্স ‘হট ইলেভেনএস’ (Hot 11S) ডিভাইসে উন্নত মানের গেম খেলার সুযোগ নিয়ে এসেছে।
এখন তাঁরা নিজেদের ফোনে ডার-লিঙ্ক আলটিমেট গেম বুস্টার (Dar-Link Ultimate Game Booster) ব্যবহার করে গেম খেলতে পারবেন। শুধু তাই নয়, একজন গেমার সেই সেটিংস ও গেমগুলো গেম জোনে সেভ করেও রাখতে পারবেন।
যাঁরা গেম খেলতে পছন্দ করেন তাঁদের কাছ থেকে নতুন এই ডিভাইসটি ব্যাপকভাবে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে এবং এটি এখন বাজারে এ ধরনের পণ্যের মধ্যে হটকেকের মতো সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। উপরন্তু বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি পর্যালোচনাকারী ও ইউটিউবাররা এই ফোনের চমৎকার গেমিং বৈশিষ্ট্যগুলো নিয়ে ভীষণ সন্তুষ্ট।
মজার বিষয় হল, বাংলাদেশের প্রযুক্তি এই খাতের তরুণ নেতৃত্বও ‘ইনফিনিক্স হট ইলেভেন এস’কে বাজেট গেমিং স্মার্টফোন বা সাশ্রয়ী দামে গেম খেলার সেরা মোবাইল ফোন বলে মতামত দিয়েছেন এবং এটির পক্ষে সুপারিশ করেছেন।
সৌন্দর্য, শক্তি ও উদ্ভাবন মিলিয়ে ইনফিনিক্স মোবাইলের হট ইলেভেন এস (Infinix Hot11S) এখন বাংলাদেশী গেমারদের কাছে একটি অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন ও আকর্ষণীয় স্মার্টফোন হিসেবে ভীষণ সমাদৃত হয়ে উঠেছে।
কারণ এটি গেমারদের জীবনে কল্পনাশক্তিকে জাগিয়ে তোলে। সম্প্রতি ইনফিনিক্স হট ইলেভেন এস (Infinix Hot11S) বাংলাদেশের বাজেট-গেমিং কমিউনিটি বা সাশ্রয়ী খরচে গেম খেলায় প্রত্যাশী গেমার সম্প্রদায়ের মধ্যে জাগরণের সৃষ্টি করেছে। ইনফিনিক্স হট সিরিজের “গেম অন” স্লোগানটি স্ফুলিঙ্গের মতো জ্বলে উঠেছে।
বিশেষ করে হাই-এন্ড কনফিগারেশন বা উচ্চ প্রযুক্তি মানসম্পন্ন কনফিগারেশন সমৃদ্ধ এই ফোন তরুন গেমারদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। এই পাওয়ার-প্যাকড ডিভাইসটিতে গেমিং প্রসেসর হেলিও জি৮৮ (Helio G88), নাইনটি হার্টজ এফএইচডি+ (90Hz FHD+) ডিসপ্লে এবং বিশাল স্টোরেজ সুবিধা, ছয় জিবি র্যাম (6GB RAM) এবং আরো পাঁচ জিবি বর্ধিত র্যামের (5GB extended RAM) সুবিধা রয়েছে। সব মিলিয়ে একটি সাশ্রয়ী বাজেট সীমার মধ্যেই রয়েছে উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন এই মোবাইল ফোনের দাম।
আগে বাংলাদেশের বাজারে ইনফিনিক্স হট ইলেভেন এস (Infinix Hot11S) মোবাইল ফোনসেটের দাম ছিল ১৫,৯৯০ টাকা। মূল্যছাড়ে এখন তা সারা দেশে ১৫,১৯০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশে এওভি চ্যাম্পিয়নশিপের কো-স্পন্সর হল ইনফিনিক্স
আজকাল বাংলাদেশের গেমিং সম্প্রদায় জনপ্রিয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মোবাইল ই-স্পোর্টস প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশের গেমাররা এখন অ্যারেনা অব ভ্যালর ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২-এ দক্ষিণ এশিয়া থেকে কোয়ালিফাই করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিযোগিতাটিতে এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও মিয়ানমার, কম্বোডিয়া ও পাকিস্তানের প্রতিযোগীরা অংশ নিচ্ছেন।
এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আর্থিক পুরস্কার বেশ আকর্ষণীয়, যা পরিমাণে বাংলাদেশের ৭৫ লাখ টাকা। এছাড়া ইনফিনিক্স তার হট ইলেভেন এসসহ (Infinix Hot 11S) আরো কিছু লোভনীয় লোভনীয় পুরস্কার রয়েছে। ইনফিনিক্স মোবাইল বাংলাদেশ তার সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনফিনিক্স হট ইলেভেন এস-এর (Infinix Hot 11S) মাধ্যমে বৃহত্তম এই ই-স্পোর্টস অফলাইন গেমিংয়ের স্পন্সর বা পৃষ্ঠপোষক হয়েছে।
এই টুর্নামেন্ট বা প্রতিযোগিতাটি প্রথমে গত ১১ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত আঞ্চলিকভাবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমার-এই চার দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চার দেশ থেকে বিজয়ী ৮টি দল এবারে একটি ল্যান (লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক) ইভেন্টে ফাইনাল প্লে অফে অংশ নেবে, যা আয়োজন করবে বাংলাদেশ।
এই টুর্নামেন্টের গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি জয়ের জন্য বাংলাদেশের বিজয়ী দলগুলো এশিয়ার অন্যান্য দেশের প্রতিযোগীদের সাথে লড়াই করবে। গ্র্যান্ড ফাইনালে বিজয়ী অর্থাৎ প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দলটি এরপর গ্লোবাল স্টেজ তথা বৈশ্বিক পর্যায়ের অ্যারেনা অব ভ্যালর ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার টিকিট পাবে।
একটি সুখবর হল, চলতি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে চীনে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান গেমসে একটি পদক ইভেন্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে অ্যারেনা অব ভ্যালর।
অ্যারেনা অব ভ্যালর হল একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় মাল্টি-প্লেয়ার ই-স্পোর্টস গেম (5vs5), যা স্মার্টফোনে নির্বিঘ্নে খেলা যায়। এই গেমে ব্যাটারির দীর্ঘস্থায়িত্ব ও কার্যক্ষমতার ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়ে না।
অ্যারেনা অব ভ্যালরের (এওভি) সাথে ইনফিনিক্স মোবাইল বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ এদেশের গেমারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি করেছে। কারণ এওভি হল এমন একটি মাল্টিপ্লেয়ার অনলাইন ব্যাটল বা লড়াই, যা গভীর দলগত কৌশলে খেলতে হয়। আর ইনফিনিক্স হট ইলেভেন এস হল (Hot11S) একটি অলরাউন্ডার ডিভাইস, যেটি অত্যন্ত উন্নতমানের প্রযুক্তিতে অত্যাধুনিক ও ছিমছাম ডিজাইনে তৈরি। এটি কার্যক্ষমতায়ও বেশ শক্তিশালী, যা এওভির মতো ‘ভার্চুয়াল ব্যাটলফিল্ড’ তথা অনলাইনভিত্তিক প্রতিযোগিতায় বিজয় অর্জনের জন্য প্রয়োজন।
অ্যারেনা অব ভ্যালরের গেমপ্লে এমনভাবে তৈরি, যেটি একাধিক মানে বেশ ক’জন খেলোয়াড় দলবদ্ধ হয়ে খেলতে হয়। গড়ে ১২-১৮ মিনিট খেলার পর এই গেমের প্রতিযোগীদের মান বা অবস্থান (standard or rank) নির্ধারিত হয়ে থাকে।
এসব কিছুর কেন্দ্রে রয়েছে গেমটির বিস্তৃতি ও বলিষ্ঠ চরিত্র নির্বাচন, যাকে বলা হয় নায়ক (game’s expansive and robust cast of characters called heroes)। এই খেলায় জেতাটা কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। বিষয়গুলো হচ্ছে- টিম সিনার্জি বা দলগত সমন্বয় ও প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া (matchups against opposing teams)। এ ধরনের মহাকাব্যিক গেম লড়াই থেকে অনেক বিখ্যাত সুপারহিরো কারেক্টার বা চরিত্র সৃষ্টি হয়ে থাকে। যেমন- সুপারম্যান, ওয়ান্ডার ওম্যান, লাভিল ইত্যাদি।
যারা গেম খেলতে ভালবাসেন তাঁদের বেশিরভাগের কাছেই এ ধরনের সুপারহিরো কারেক্টার বা চরিত্রগুলো খুবই আকাঙ্ক্ষিত। অ্যারেনা অব ভ্যালর ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ (এআইসি) ২০২২-এর দক্ষিণ এশীয় (AIC 2022 SA) টুর্নামেন্টের ফাইনালকে সামনে রেখে গেমাররা দুই হিরো মানে নায়কের দাবি করতে পারেন। যেমন, তাঁরা এওভির ওয়েবসাইটে দেওয়া নির্দেশাবলী মেনে এওভিতে নিবন্ধন করে বিনামূল্যে জোকার ও ব্যাটম্যানের মতো হিরো কারেক্টার বা নায়ক চরিত্র দাবি করতে পারেন। তবে তা পেতে হলে ৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিলের মধ্যে এওভিতে নিবন্ধন করতে হবে।
ইনফিনিক্স সম্পর্কে
ইনফিনিক্স মোবাইল হল একটি উদীয়মান স্মার্টফোন ব্র্যান্ড। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানি ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের অধীনে নিত্যনতুন ডিজাইনের স্মার্টফোন উৎপাদন ও বিশ্বব্যাপী বাজারজাত করে আসছে।
জেড জেনারেশনকে লক্ষ্য করে ইনফিনিক্স অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিকাশের দিকে মনোনিবেশ করে। সে অনুযায়ী অত্যন্ত যত্ন সহকারে অত্যাধুনিক মোবাইল ডিভাইসের ডিজাইন করে তা বাজারে ছাড়ে। ফলে ইনফিনিক্স হয়ে উঠেছে পরিমার্জিত রীতি, শক্তি ও কর্মক্ষমতার প্রতিক। ইনফিনিক্সের ডিভাইস বা পণ্যগুলো হালফ্যাশনের সুলভ, উন্নত ও কর্মশক্তিপূর্ণ বলে ব্যবহারকারীর কাছে সমাদৃত হয়ে থাকে।
ব্র্যান্ড হিসেবে ইনফিনিক্সের স্লোগান হল, “দ্য ফিউচার ইজ নাও” বা ”বর্তমানেই নিহিত ভবিষ্যত”। আর ইনফিনিক্সের লক্ষ্য হল আজকের দিনের তরুণ সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন, যার মাধ্যমে তাঁরা যে অন্যদের চেয়ে আলাদাভাবে উপস্থাপন করার পাশাপাশি তাঁরা কারা, অর্থাৎ অন্যদের চেয়ে যে আলাদা সেই স্বকীয়তা সবার সামনে তুলে ধরতে পারে।
একাধারে আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে ইনফিনিক্স কোম্পানির পণ্য বিক্রি হয়। ২০১৯ থেকে ২০২১ সালে ইনফিনিক্সের ব্যবসায়ে ১৫৯% প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা অভূতপূর্ব। আকর্ষণীয় ডিজাইনের প্রিমিয়াম ডিজাইনের ফ্ল্যাগশিপ-লেভেল ডিভাইস তৈরি করে সাশ্রয়ী দামে ভোক্তাদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার বিশাল পরিকল্পনা নিয়েই এখন এগোচ্ছে ইনফিনিক্স।
আরও তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে দেখুন: http://www.infinixmobility.com/