ইনোভেশন এবং অটোমেশন নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং থিংক গ্রুপ এর মাঝে আজ (৪ জানুয়ারি, ২০২১-সোমবার) একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) জনাব হোসনে আরা বেগম এনডিসি এবং থিংক গ্রুপের পক্ষে এর পরিচালক ও সহপ্রতিষ্ঠাতা জনাব আশিকুর তানিম সমঝোতায় স্বাক্ষর করেন। থিংক গ্রুপ মূলত একটি উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান যারা স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে কাজ করে থাকে। সমঝোতার আওতায় থিংক গ্রুপকে কালিয়াকৈরে ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি’তে এক একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। থিংক গ্রুপ এই পার্কে আইওটি ডিভাইস উৎপাদন করবে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) জনাব হোসনে আরা বেগম এনডিসি বলেন, কালিয়াকৈরে অবস্থিত ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি’ দেশের প্রথম ও বৃহত্তম হাই-টেক পার্ক। ৩৫৫ একর জমিতে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি’-তে বর্তমানে ৪২টি কোম্পানিকে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে ১৪টি কোম্পানি উৎপাদন শুরু করেছে। কোম্পানিগুলো এই পার্কে মোবাইল ফোন এসেম্বলিং ও উৎপাদন, অপটিকাল কেবল, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ডাটা-সেন্টার প্রভৃতি উচ্চ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। দেশের বিভিন্ন পার্কে এ পর্যন্ত ৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে এবং প্রায় ১৩০০০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। থিংক গ্রুপ দ্রুত এই পার্কে কাজ শুরু করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
থিংক গ্রুপ যেসব ক্ষেত্রে বিশেষায়িত সেবা প্রদান করে থাকে তার মধ্যে রয়েছে হোম অটোমেশন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন, আর এন্ড ডি সেবা ইত্যাদি। এই প্রতিষ্ঠানটির জনপ্রিয় পণ্য ও সেবাসমূহের মধ্যে রয়েছে আইওটি বেইসড এনভায়রনমেন্ট মনিটরিং সিস্টেম, হাইব্রিড ইনভার্টার, সোলার চার্জার, ইন্টেলিজেন্ট সারভেইল্যান্স সিস্টেম, আইওটি বেইসড ফায়ার ফাইটিং এন্ড হার্ডওয়্যার মনিটরিং সিস্টেম ইত্যাদি।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাবৃন্দ ও থিংক গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন
previous post