‘ওয়ালটন কারখানা বিশাল। অত্যাধুনিক। সম্পূর্ণ উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান। ওয়ালটন ইনোভেশনে ব্যাপক জোর দিয়েছে। তারা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করে আমরা অভিভূত।’ বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য জায়ান্ট ওয়ালটনের কারখানা পরিদর্শনকালে এমন অনুভূতি ব্যক্ত করেন প্রাশ্চ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৯ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ।
শনিবার (২৮ নভেম্বর ২০২০) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করেন ঢাবির ওই শিক্ষাবিদগণ। ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মো. মিজানুর রহমান, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকির হোসাইন ভুঁইয়া, ফিনান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. সাদিকুল ইসলাম, অর্গানাইজেশন স্ট্রাটেজি অ্যান্ড লিডারশিপ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরিয়ত উল্লাহ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক ও ড. মোহাম্মদ তারেক, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হোসাইন ও ড. রাফিউদ্দিন আহমেদ এবং ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।
এর আগে কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছালে অতিথিদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার, ফ্রিজের সিইও আনিসুর রহমান মল্লিক, টিভির সিইও মোস্তফা নাহিদ হোসেন, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কর্নেল (অব) এস এম শাহাদাত আলম ও ইয়াসির আল ইমরান, সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহজাদা সেলিম ও তোফায়েল আহমেদ, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহজালাল হোসেইন লিমন, অপারেটিভ ডিরেক্টর শহীদুজ্জামান রানা, ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর মোহসিন আলী মোল্লা, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অগাস্টিন সুজন, ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের ব্র্যান্ড ম্যানেজার জীবন আহমেদ প্রমুখ।
কারখানা প্রাঙ্গনে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞের উপর নির্মিত ভিডিও ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর তারা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। পর্যায়ক্রমে অতিথিরা বিশ্বমানের রেফ্রিজারেটর উৎপাদন প্রক্রিয়া, কম্প্রেসর, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, এসএমটি প্রোডাকশন, এলিভেটর, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি কারখানা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
এ সময় তারা দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পের অভাবনীয় অগ্রগতি এবং বাংলাদেশি রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, উৎপাদন প্রক্রিয়া ও পণ্যের উচ্চ গুণগতমান পর্যবেক্ষণ করে অভিভূত হন।
পরিদর্শন শেষে ড. মিজানুর রহমান বলেন, ইংরেজিতে একটা কথা আছে, ‘সিইং ইজ বিলিভিং’। ওয়ালটন যে কত বড় উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। আমরা অভিভূত। ওয়ালটন দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। দেশের জিডিপিতে বড় ভূমিকা পালন করছেন।
ড. জাকির হোসাইন ভুঁইয়া বলেন, ওয়ালটন পণ্য দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় অনেকের মনে কোয়ালিটি নিয়ে সন্দেহ থাকে। কিন্তু আমরা এখানে এসে দেখলাম ওয়ালটন বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করছে। যারা ওয়ালটনের কারখানা পরিদর্শন করবেন, তাদের ধারণাই পাল্টে যাবে।
ড. এম. সাদিকুল ইসলাম বলেন, ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন আমাদের জন্য বিশাল অভিজ্ঞতা। ওয়ালটনের অগ্রগতি দেখে আমরা অভিভূত। ওয়ালটন ইনোভেশন ও রিচার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে ব্যাপক জোর দিচ্ছে। যা খুবই প্রশংসার যোগ্য।
কারখানা পরিদর্শন করায় শিক্ষাবিদদের ধন্যবাদ জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ। তিনি বলেন, ওয়ালটনের লক্ষ্য বিশ্বমানের পণ্য দিয়ে বাংলাদেশকে বহিঃর্বিশ্বে প্রতিনিধিত্ব করা। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।