করোনাকালে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম বৃদ্ধি কিংবা সেবা বন্ধ হলে বড় ধরনের ধাক্কা খাবে ভার্চুয়াল অর্থনীতি। পণ্যের দাম বাড়াবে ইকমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো। আট হাজার কোটি টাকার অনলাইন বাজার সংকুচিত হবে। আর কার্যাদেশ হারানোর আশঙ্কা সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সারের। অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম। এ অবস্থায় ইন্টারনেট সেবাদাতারা বলছে, সমাধানের চাবিকাঠি এনবিআরের হাতে।
বর্তমানে ভ্যাট কাঠামোয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট থেকে বছরে ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব পাচ্ছে সরকার। এ অবস্থায় ব্যান্ডউইথ কেনা ও গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছানো-এই দুটি পযায়ে ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করলে রাজস্ব কমবে ৬৬ কোটি টাকা। ভ্যাট না কমালে আগস্ট মাস থেকে এই অর্থ সরাসরি দিতে হবে সাড়ে তিন কোটি গ্রাহককে।
ইকমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ইন্টারনেট খরচ সমন্বয়ে দাম বাড়বে পণ্য ও সেবার। এতে আট হাজার কোটি টাকার অনলাইন বাজার সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা উদ্যোক্তাদের।
আউটসোসিং থেকে বছরে ৮৫০ কোটি টাকা বৈদাশিক মুদ্রা আয় করেন সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার। করোনায় কাজ নেই বেশিরভাগেরই। এ অবস্থায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হলে কার্যাদেশ দেবে না বিদেশি গ্রাহকরা।
ইন্টারনেটের খরচ বৃদ্ধি পেলে প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ছিটকে পড়বে বলে সর্তক করেছেন শিক্ষাবিদরা।
শিক্ষাবিদ ড. কায়কোবাদ বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অনেকটা ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে গেছে। সেটা নির্বিঘ্ন করতে আমাদের ইন্টারনেট চলমান জটিলতার দায় এনবিআরের উপর চাপাচ্ছে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং সরকারের মধ্যে ভালো আলাপ আলোচনা প্রয়োজন।
আইএসপিএবি আমিনুল হাকিম, এনবিআরকে একটা লিগ্যাল নোটিশও পাঠিয়েছি। এনবিআর সেই রিপ্লাই ও দেয়নি। বর্তমানে সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে প্রায় দুই হাজার প্রতিষ্ঠান।