অপো সম্প্রতি ইন্টেলের সাথে প্যাটেন্ট ট্রান্সফার সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ চুক্তির আওতায় ইন্টেলের সেলুলার মোবাইল কমিউনিকেশনস
প্রযুক্তির ৫৮টি প্যাটেন্ট ব্যবহার করবে অপো। এর বাইরে এরিকসনের পাঁচ শতাধিক প্যাটেন্টের সত্ত্ব কিনেছে শীর্ষস্থানীয় এ স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
ইন্টেল এবং এরিকসনের কাছ থেকে পাওয়া এসব কমিউনিকেশনস প্যাটেন্ট অপোর প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সামর্থ্য বৃদ্ধি করবে যা বৈশ্বিক বাজারে অপোর প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে অপো ফাইভজির মতো যুগান্তকারী যোগাযোগ প্রযুক্তিতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করেছে। ২০১৯ সালে অপো ২০টির বেশি দেশ এবং অঞ্চলে ফাইভজি প্যাটেন্ট নিয়ে কাজ করেছে। ফাইভজি প্রযুক্তির উন্নয়নে নেতৃস্থানীয় অংশীদার হিসেবে অপো এখন পর্যন্ত ফাইভজি সংক্রান্ত ২ হাজার ২০০’র বেশি প্যাটেন্ট ফ্যামিলির জন্য আবেদন করেছে। এছাড়া থার্ড জেনারেশন পার্টনারশিপ প্রজেক্টে (থ্রিজিপিপি) জমা দিয়েছে ২ হাজার ৬০০’র বেশি টেকনিক্যাল পেপার। এ বছরের জুলাই পর্যন্ত ইউরোপিয়ান টেলিকমিউনিকেশনস স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউটের কাছে অপো ছয় শতাধিক প্যাটেন্ট প্রকাশ করেছে যা ফাইভজি প্যাটেন্টের ক্ষেত্রে অপোর শক্তিশালী অবস্থানের বহিঃপ্রকাশ।
অপো মেধাসত্ত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং প্যাটেন্ট লাভ করা ও ধরে রাখার ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এ বছর ৮ জুলাই পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসেবমতে, বিশ্বব্যাপী অপো ৩৭ হাজারের বেশি প্যাটেন্ট আবেদন দাখিল করেছে। এর মধ্যে ৩১ হাজারের বেশি (প্রায় ৮৫ শতাংশ) প্যাটেন্টই হলো উদ্ভাবন সংক্রান্ত। সব মিলিয়ে ১১ হাজারের বেশি প্যাটেন্ট লাভ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।