সম্প্রতি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএমএমএবি) আয়োজিত একটি অনলাইন বৈঠকের সময় ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন কোম্পানির মালিকগণ এতে যুক্ত প্রায় ২ থেকে ২.৫ লাখ মানুষের ভাগ্য নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, এই মহামারির জন্য এই ইন্ডাস্ট্রির ৩০০টি অংশীদারের মধ্যে কমপক্ষে ৫০% ভাগ তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হতে পারে।
বছরের বাকি সময় মানুষের পারস্পারিক যোগাযোগ সীমাবদ্ধ করতে হবে বলে কোনও কাজ থাকবে না, ফলে এই ইন্ডাস্ট্রিটি মারাত্মক পরিণতির মুখোমুখি হবে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে কর্মকৌশল নির্ধারণে সম্প্রতি সংগঠনটির পক্ষ থেকে নির্বাহী সদস্যদের নিয়ে উক্ত জরুরি অনলাইন বৈঠকের আয়োজন করেন ইএমএমএবির সাধারণ সম্পাদক ও স্কাইট্র্যাকার লিমিটেডের সিইও দোজা এলান।
এ ব্যপারে ইএমএমএবির সাধারণ সম্পাদক ও স্কাইট্র্যাকার লিমিটেডের সিইও দোজা এলান বলেন, “করের উপর ছাড় প্রদান, লোন ইনস্টলমেন্টের ক্ষেত্রে সময় বাড়ানো ও ছাড় দেয়া, ন্যূনতম বা জিরো ইন্টারেস্টে ব্যাংক লোনের সুবিধা, ভ্যাট প্রদানের ক্ষেত্রে সময় বাড়ানো এবং এআইটি মওকুফের মত বিষয় গুলোকে গুরুত্ব দিলে তা এই ইন্ডাস্ট্রিকে মহামারী পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে এবং টিকে থাকতে সহায়তা করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বেসরকারি সংস্থাগুলোর ঘুরে দাড়াতে বেশ সময় লেগে যাবে। তবে সরকার চাইলে বিভিন্ন প্রকল্পে মার্কেটিং ও ইভেন্ট এজেন্সিগুলোকে ব্যবহার করতে পারে যা তাদের কার্যক্রমকে সচল রাখতে সাহায্য করবে”।
ভোক্তা ও ব্র্যান্ডের মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টির কাজ করে যাওয়া এই ইন্ডাস্ট্রি করোনার কারনে সব থেকে বড় আঘাত পেয়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে পৃথিবীর সব কিছু হয়তো বদলে যাবে এবং ইভেন্ট ও এক্টিভিশনের ধরনও এর সাথে পরিবর্তিত হবে তবে সেটা কেমন হবে সে ব্যপারে তারা এখনো নিশ্চিত নন।
ইএমএমএবির সহসভাপতি ও আইএমএস এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সারোয়ার মোরশেদ আজম বলেন, “মহামারির এই সময়ে সুস্থ ও নিরাপদ থাকতে আমরা সবাই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করছি, বাসায় থাকছি তবে এর সাথে এই হাজার হাজার মানুষদের কথাও আমাদের ভাবতে হবে যারা ভোক্তা ও ব্র্যান্ডের জন্য বাইরে বাইরে কাজ করে বেড়ান যা এখন থমকে গেছে”।
ইএমএমএবির সহসভাপতি ও ক্রিয়েটো এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রশিদ খান বলেন, “সচেতন ও সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল সত্তা হিসেবে এই ইন্ডাস্ট্রির সাথে জড়িত সকলে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারী থেকে দেশকে উদ্ধার করতে সরকার ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের যে কোনো উদ্যোগকে সমর্থন করতে প্রস্তুত এবং এজেন্সিগুলো তাদের মানব সম্পদ এবং অন্যান্য দক্ষতা নিয়ে এগিয়ে আসতে পারে”।