ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ইক্যাব) ২০২২-২০২৪ মেয়াদের নির্বাচনে ইতিবাচক পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে যাত্রা শুরু করা দ্য চেঞ্জ মেকার্স টিম আসন্ন নির্বাচনের ভোটার এবং অন্যান্য ই-ক্যাব সদস্যদের জন্য গতকাল বিশেষ এক গালা নাইটের আয়োজন করে। আয়োজনে উপস্থিত সদস্যদের প্রশ্নোত্তর পর্বের পাশপাশি ছিলো চিরকুট এর লাইভ মিউজিক্যাল শো। অনুষ্ঠানে চেঞ্জ মেকার্স প্যানেলের পক্ষ থেকে তাদের অঙ্গীকারগুলো সদস্যদের সামনে পুনরায় উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভোটাররা নির্বাচনে প্রথমবারের মত নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচনের সুযোগ পাওয়ায় উচ্ছ¡াস প্রকাশ করেন। অন্যদিকে ই-ক্যাব সদস্য কিন্তু নন ভোটার অনেক সদস্য দুঃখ করে বলেন আমরা বিশ^াসই করতে পারিনি এবার ভোটাভোটি হবে; ধরে নিয়েছিলাম, আগের তিন বারের মতো এবারও হয়তো সিলকশন হবে তাই ভোটার হতে আগ্রহ পাইনি, এখন আফসোস হচ্ছে। অনুষ্ঠানে আগত ই-ক্যাব সদস্যরা এ সময় নির্বাচনের পরও বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে সদস্যদের সমস্যা ও অভিযোগ সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখার দাবি জনান। চেঞ্জ মেকার্স এর পক্ষ থেকে জানানো হয় ইকমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে আসা এই পরিবর্তনের ধারা তারা সবসময় অব্যাহত রাখবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দ্যা চেঞ্জ মেকার্স নির্বাচিত হয়ে আসলে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের জন্য ৫০+ সদস্য হলে জেলা উইং খোলা; কমপক্ষে ৮০% সদস্যদের সক্রিয় করে তোলার জন্য বিশেষ প্রণোদনা ও ভর্তুকি; নারী উদোক্তাদের জন্য বিশেষায়িত স্ট্যান্ডিং কমিটি; সদস্যদের প্রতিক্রিয়া ও নেতৃত্বের অগ্রগতি পর্যালোচনা করার জন্য ৩ মাস পর পর টাউন-হল অধিবেশন প্রমুখ উদ্যোগ নেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে চেঞ্জ মেকার্স প্যানেলের নির্বাচনি ইশতেহারের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো সবার সাথে আবার শেয়ার করেন প্যানেল সদস্যরা। এ সময় জানানো হয়, তাদের প্যানেল নির্বাচিত হয়ে আসলে প্রথমেই কনফারেন্স রুম, লাউঞ্জ সুবিধাসহ একটি ভালো অফিস সদস্যদের উপহার দিতে চান। সচিবালয়কে শক্তিশালী করতে ২০২৩ সালের মধ্যে একজন নির্বাহী পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সদস্যদের আর্থিক সংস্থানের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক থেকে জামানত ছাড়া ঋণ বা বিনিয়োগের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি ইক্যুইটি ফাইন্যান্সিং নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। আয়কর ও ট্যাক্স বিষয়ে সাপোর্ট দিতে সুনির্দিষ্ট একটি রিসোর্স সেন্টার স্থাপনের ঘোষণা দেয়া হয় এ সময়। প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে সদস্যদের জন্য ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের ঘোষনা দেয়া হয়, যেখানে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সদস্যদের জন্য মেন্টরিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। বছর শেষে একটি ই-কমার্স এক্সপো করার পরিকল্পনার কথা জানানো হয় অনুষ্ঠানে। প্রতিশ্রæতি দেয়া হয়েছে, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার ১ শতাংশ ই-ক্যাব সদস্যদের জন্য আদায় করে নেয়ার। এসময় আগামীতে পর পর দুইবার কেউ নির্বাচিত হলে পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন সংগঠন বিধিতে এমন পরিবর্তন আনার কথা পুনঃব্যক্ত করা হয়।
প্যানেল সদস্য শাফকাত হায়দার (ব্যালট নং-১৭), ওয়াসিম আলিম (ব্যালট নং-২৫), মোঃ তাসদীখ হাবীব (ব্যালট নং-১৪), জিসান কিংশুক হক (ব্যালট নং-৩১), মোজাম্মেল হক মৃধা (ব্যালট নং-০২), আবু সুফিয়ান নিলাভ (ব্যালট নং-০৩), বিপ্লব ঘোষ রাহুল (ব্যালট নং-০৪), ইলমুল হক সজিব (ব্যালট নং-১৩) এবং নুসরাত আক্তার লোপা (ব্যালট নং-১৯) অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।