জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অনলাইনে ব্যবসা শনাক্তকরণ সংখ্যা (ই-বিআইএন) গ্রহণের সময়সীমা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। ফলে যেসব প্রতিষ্ঠান এখনো ৯ ডিজিটের ই-বিআইএন গ্রহণ করেনি, তারা অনলাইনে নিবন্ধনের জন্য আরও তিন মাস সময় পাবে। একই সঙ্গে অনলাইনে ভ্যাট আহরণ ৩০ জুন পর্যন্ত পিছিয়ে গেল। ৩১ মার্চ ছিল অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধনের নির্ধারিত সময়সীমা।
বুধবার এনবিআর ই-বিআইএন ব্যবহারসংক্রান্ত এক নির্দেশনায় এই সময় বাড়ানোর বিষয় জানায়। এতে উল্লেখ করা হয়, গত বছর ২৮ ডিসেম্বর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আইন-১৯৯১-এর আওতায় বিআইএন ব্যবহারসংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে সব ক্ষেত্রে বিআইএনের ব্যবহার সময়সীমা ৩১ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল, এখন তা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
ভ্যাট আইন-১৯৯১-এর আওতায় সাড়ে ৮ লাখের বেশি নিবন্ধন রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৯২ হাজার প্রতিষ্ঠান অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে। ফলে এখনো বিপুলসংখ্যক প্রতিষ্ঠান ই-বিআইএন গ্রহণ করেনি। এ কারণে ই-বিআইএন ব্যবহারের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
সব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে করের আওতায় নিয়ে আসা, অস্তিত্বহীন বা ভুয়া নিবন্ধন বন্ধ এবং নিবন্ধন গ্রহণের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করার লক্ষ্যে এনবিআর গত বছরের ২৩ মার্চ অনলাইন নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করে। ১১ ডিজিটের পুরোনো ভ্যাট নিবন্ধন বাতিল করে সব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের জন্য অনলাইনে ই-বিআইএন গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়।
বিদ্যমান সনাতনী ভ্যাট ব্যবস্থায় সাড়ে ৮ লাখ বিআইএন গ্রহণকারী ব্যবসায়িক সত্তা থাকলেও প্রতি মাসে মাত্র ৩৬ হাজার করদাতা নিয়মিত দাখিলপত্র প্রদান করেন। ফলে অনেক অস্তিত্বহীন নিবন্ধিত করদাতা যেমন রয়েছেন, তেমনি ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান থাকা সত্ত্বেও অনেক করদাতা নিয়মিত দাখিলপত্র প্রদান করেন না বা করজালের বাইরে অবস্থান করছেন। সার্বিকভাবে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এবং নিবন্ধন গ্রহণের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করার লক্ষ্যে মূলত অনলাইন নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করা হয়।
অনলাইনে সেবা নেওয়ার জন্য ভ্যাট নিবন্ধন বা ই-বিআইএন নেওয়ার বিষয়টি অনেকটা অনলাইনে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা ই-টিআইএনের মতো। ভ্যাট নিবন্ধন ওয়েবসাইটের ঠিকানা vat.gov.bd।
previous post