আজ বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) আয়োজিত উইটসা অ্যাওয়ার্ড সেলিব্রেশন, ২০২০ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রথম সারির আইটি প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটি লিমিটেড পুরস্কার গ্রহন করেছে। গত ১৯ নভেম্বর টুয়েন্টি-টুয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব ইনফরমেশন টেকনোলজির সম্মেলনে উইটসা গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস’র কোভিড-১৯ টেক সলিউশনস ফর সিটিজ অ্যান্ড লোকালিটিজ ক্যাটাগরিতে আন্তর্জাতিক এই সম্মাননা পায় সিনেসিস আইটি এবং এটুআই, আইসিটি ডিভিশন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক এমপি। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, পিএএ, সম্মানিত অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব এবং উইটসা’র ইমেরিটাস চেয়ারম্যান ইয়ভোন্যে চিউ। সিনেসিস আইটির পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহন করেন সিনেসিস আইটির ম্যনেজিং ডিরেক্টর সোহরাব আহমেদ চৌধুরী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিনেসিস আইটি’র ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হারুন-উর-রশিদ, ডিরেক্টর আব্দুর রশিদ, সিনেসিস হেলথ এর সিইও ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং সিনিয়র ম্যানেজার ও টিম লিড, মার্কেটিং এন্ড প্রোডাক্ট ইনোভেশন, কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
উল্লেখ্য করোনা পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯ টেলিহেলথ সেন্টারের মাধ্যমে করোনা রোগীদের টেলিমেডিসিন সেবা, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, স্বাস্থ্য বাতায়ন, মা-টেলিহেলথ সহ নানাবিধ সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সিনেসিস আইটি লিমিটেড এই সম্মননা পেয়েছে।
সিনেসিস আইটির ম্যনেজিং ডিরেক্টর সোহরাব আহমেদ চৌধুরী এই সম্মাননা প্রাপ্তি নিয়ে বলেন, “কোভিড-১৯ টেলিহেলথ সেন্টারের মাধ্যমে ডাক্তার, হাসপাতাল, ফার্মেসী এবং স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে করোনা রোগীদের সেবা প্রদান করা হয়েছে। সিনেসিস আইটি তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের এটুআই, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বেসিসের পক্ষ থেকে উইটসা কে ধন্যবাদ জানাচ্ছে এই স্বীকৃতির জন্য এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতিকেও ধন্যবাদ এমন একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য যা ভবিষ্যতে আমাদেরকে আর ভাল কাজের উৎসাহ জোগাবে”।
সিনেসিস হেলথ এর সিইও ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. নিজামউদ্দিন আহমেদ বলেন, “কোভিড-১৯ টেলিহেলথ সেন্টার একটি মানবিক সেবা। করোনার মধ্যে যখন সরাসরি ডাক্তারদের সেবা পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে তখন এই টেলিহেলথ সেন্টারটি মানুষের পাশে থেকে নিরলস সেবা দিয়ে গেছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের এটুআই, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বেসিসকে ধন্যবাদ যাদের জন্য অতিদ্রুত এই টেলিহেলথ সেন্টারটি চালু করা সম্ভব হয়েছে। এই স্বীকৃতি সকলের নিরলস পরিশ্রমের ফল”।