চেহারা স্ক্যান করে পরিচয় জেনে নেয়ার মত শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এরই মধ্যেই নানাবিধ কাজে ব্যবহার হচ্ছে। তার পরবর্তী ধাপ, চেহারা থেকে মনের ভাব ধরতে পারা। সে কাজেও বেশ কিছু কোম্পানির তৈরি এআই যথেষ্ট পারদর্শী বলে দাবি নির্মাতাদের।
মনের অবস্থা বা আবেগ পড়তে পারার এআই নানাবিধ কাজে ব্যবহার করা যাবে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিজ্ঞাপন সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছানো। এর মধ্যেই কিছু সুপারশপে এটি পরীক্ষা করা হচ্ছে; ফলাফলও আশানুরূপ।সেখানে দেখানো হয়েছে, ক্রেতার মন খারাপ থাকলে তারা মন ভালো করার পণ্য, যেমন কেক বা হাসির সিনেমার ডিভিডির বিজ্ঞাপন দেখালে তা কেনার সম্ভাবনা থাকবে বেশি।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও এটি অনেক কাজে আসবে। আবেগ স্ক্যান করার এআই তৈরির প্রতিষ্ঠান উইসি দাবি করেছে, তারা সাধারণ সিকিউরিটি ক্যামেরার ফুটেজ থেকেই কার মনে কী চলছে তা আন্দাজ করতে পারেন। সে তথ্য ব্যবহার করে কেউ হামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না তা নিরাপত্তা কর্মীদের জানিয়ে দিতেও পারবে।তবে এ বিষয় আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, যেখানে চেহারা চিনে নেয়ার ক্ষেত্রেই এআই সর্বোচ্চ ৯২ শতাংশ নির্ভুল, সেখানে আবেগের মত সুক্ষ্ম বিষয় ধরতে তাদের ভুল হবে সেটাই স্বাভাবিক।সে ক্ষেত্রে এরকম প্রযুক্তির হাতে কাউকে আততায়ী বলে অভিহিত করার দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া উচিত নয় বলেও জানান তারা।
এছাড়াও, বিজ্ঞাপনের জন্য এ প্রযুক্তি ব্যবহার ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে দাবি করেছেন অনেকেই। কারও সুসময় বা দুঃসময়ের সুযোগে পণ্য বিক্রি কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে তাদের মত।
তথ্যসূত্র:বিবিসি