ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে আবারও লাখপতি হওয়ার সুযোগ নিয়ে এলো মার্সেল। ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৭ এ প্রতিষ্ঠানটি এ সুযোগ দিচ্ছে। এর আওতায় মার্সেল ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার। থাকছে লক্ষ লক্ষ টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। আবার একটি এয়ার কন্ডিশনার বা এসি কিনে আরেকটি এসি সম্পূর্ণ ফ্রি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
রোববার (৭ জুন, ২০২০) রাজধানীতে মার্সেলের করপোরেট অফিসে ‘ঈদের খুশি জমবে বেশি- ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ও মাইক্রোওয়েভ ওভেনে লাখপতি’ শীর্ষক সুবিধার ডিক্লারেশন প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়েছে। এতে জানানো হয়, ৮ জুন থেকে কোরবানি ঈদ পর্যন্ত সারা দেশে মার্সেল ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশভাউচার পেতে পারেন। সকল ক্রেতার জন্য রয়েছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার।
সেসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, আমিন খান ও উদয় হাকিম, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম ও শাহজাদা সেলিম, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মিলটন আহমেদ প্রমুখ।
এদিকে সোমবার (৮ জুন, ২০২০) প্রতিষ্ঠানটির করপোরেট অফিসে ‘একটি মার্সেল এসির সাথে পেতে পারেন আরেকটি এসি ১০০ শতাংশ ফ্রি’ শীর্ষক এক ডিক্লারেশন প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়। এতে জানানো হয়, ক্যাম্পেইন সিজন-৭ এ মার্সেল এয়ার কন্ডিশনার বা এসি কিনে রেজিস্ট্রেশন করলে ক্রেতারা আরেকটি এসি সম্পূর্ণ ফ্রি পেতে পারেন। এছাড়া সকল ক্রেতার জন্য রয়েছে ১৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। থাকছে ফ্রি ইন্সটলেশন সুবিধা। ৮ জুন থেকে শুরু হওয়া এ সুযোগ থাকছে ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত।
এসি ডিক্লারেশন প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহ আলম, অপারেটিভ ডিরেক্টর খোন্দকার শাহরিয়ার মুরশিদ, ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর মফিজুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়ার লক্ষ্যে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে মার্সেল। এ পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল ফোন নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য মার্সেলের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো মার্সেল সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে উক্ত কার্যক্রম হাতে নিয়েছে মার্সেল।
মার্সেল ফ্রিজের কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় বাজারে মার্সেলের রয়েছে সাশ্রয়ী মূল্যের শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। এসবের মধ্যে রয়েছে আকর্ষণীয় ডিজাইনের গ্লাস ডোর, ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রস্ট ও সাইড বাই সাইড গ্লাস ডোরের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিংপ্রাপ্ত রেফ্রিজারেটর। এসব ফ্রিজ স্ট্যাবিলাইজার ছাড়াই নিশ্চিন্তে চলে। সর্বোচ্চ গুণগতমানের আত্মবিশ্বাসে মার্সেল ফ্রিজে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
মার্সেল এসি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, দেশে নিজস্ব কারখানায় উচ্চমান বজায় রেখে এসি তৈরি হচ্ছে। এসির মান উন্নয়ন ও ডিজাইন নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করছেন দক্ষ ও মেধাবী আরএন্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) টিম। তারা মার্সেল এসিতে সংযুক্ত করছেন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার। ফলে, মার্সেল বাজারে ছেড়েছে আইওটি বেজড ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী স্মার্ট, ইনভার্টার ও আয়োনাইজার প্রযুক্তির এসি।
মার্সেল ইনভার্টার এসি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এসির কম্প্রেসরে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর-৪১০এ এবং আর-৩২ রেফ্রিজারেন্ট। রয়েছে টার্বোমুড ও আয়োনাইজার প্রযুক্তি, যা দ্রুত ঠান্ডা করার পাশাপাশি রুমের বাতাসকে ধুলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত করে। ইভাপোরেটর এবং কন্ডেন্সারে মরিচারোধক গোল্ডেন ফিন কালার প্রযুক্তি ব্যবহার করায় মার্সেল এসি অনেক টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী।
এরই ধারাবাবিকতায় এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা দিচ্ছে মার্সেল। পাশাপাশি ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে ১০ বছরের গ্যারান্টি ও নন-ইনভার্টার কম্প্রেসরে ৫ বছরের গ্যারান্টি সুবিধা রয়েছে।
এদিকে বর্তমানে বাজারে মার্সেলের ৭ মডেলের সেমি অটোমেটিক এবং অটোমেটিক টপ লোডিং ওয়াশিং মেশিন রয়েছে। এগুলো দামে সাশ্রয়ী, মানেও অনেক উন্নত। বিদ্যুৎ খরচও কম হয়। ওয়াশিং মেশিনো ক্রেতারা বিক্রয়োত্তর সেবা, হোম সার্ভিসসহ খুচরা যন্ত্রাংশে ৩ বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্টি পাচ্ছেন। আছে ১ বছর ফ্রি হোম সার্ভিসের সুবিধা। ক্যাম্পেইন এবং ঈদ উপলক্ষ্যে ক্রেতাদের ওয়াশিং মেশিন কিনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে লাখপতি হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে মার্সেল।
মার্সেল বর্তমানে ১৭, ২০, ২৩ ও ৩০ লিটার ধারণক্ষমতার ৫ মডেলের মাইক্রোওয়েভ ওভেন বাজারজাত করছে। এতে মাছ-মাংস ডিফ্রস্ট থেকে শুরু করে খুব সহজেই নানান স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করা যায়। মাইক্রোওয়েভ ওভেনের প্রধান যন্ত্রাংশে ২ বছরের ওয়ারেন্টির পাশাপাশি বিক্রয়োত্তর সেবা ও খুচরা যন্ত্রাংশে ১ বছরের ওয়ারেন্টি সুবিধা দিচ্ছে মার্সেল।
গ্রাহকদের দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিতে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে মার্সেলের রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার। যেখানে কাজ করছেন আড়াই হাজারেরও বেশি সার্ভিস এক্সপার্টস।