জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইসচ্যান্সেলর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ইজ্ঞিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিকস ও ম্যাকাট্রনিক্স ডিপার্টমেন্ট এর ফাউন্ডার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু এবারের অমর একুশের বইমেলায় দেশের ডিজিটাল বিপ্লবের বিষয় নিয়ে নতুন বই নিয়ে এসেছেন যার শিরোনাম ‘একটি স্বপ্ন একটি দেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ’।
আমাদের দেশে তথ-প্রযুক্তি নিয়ে উদ্যোগের সীমা নেই, হয়তো বা সমন্বয়ের কিঞ্চিত্ অভাব রয়েছে। অধ্যাপক হাসান বাবু বিচিত্র উদ্যোগ সম্পর্কে তার লেখা বইটিতে ইতিবাচক কথা বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে জোরদার করেছেন। কখনোও উন্নত দেশের প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা জানিয়ে, কখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে যে উদ্যোগগুলো নেয়া হয়েছে তা জানিয়ে, কখনো কৃষিতে, গ্রামে, মোবাইল ব্যাংকংয়ে, ই-গভর্নমেন্টের কর্মশুছি, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, কিংবা পদ্মা সেতু, রুপপুর পারমানবিক কেন্দ্র, মেট্রোরেল, বিশ্ববিদ্যালয় এর অনলাইন ভর্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথপ্রযুক্তির ব্যবহারের উদ্যোগগুলোর কথা বলে পাঠকের মধ্যে আস্থা ও স্বপ্ন জাগিয়ে তুলেছেন।
এরপর লেখক ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: কিছু দিক-নির্দেশনা’ শিরনামের প্রবন্ধে তার নিজের অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞানের আলোকে এই অভিধারনার সম্ভবনাকে বাস্তবে রুপান্তর করতে প্রস্তাবও রেখেছেন।
আমাদের দেশে বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তির খাতে উদ্যোগের কোনো কমতি নেই এই আঙ্গিকে অধ্যাপক হাফিজের প্রস্তাবনাগুলো যেমন বিবেচনার দাবিদার একইসঙ্গে আমাদের উদ্যোগগুলো থেকে পার্শ্ববর্তী দেশের মতো আমরা কেনো সাফল্য লাভ করতে পারছি না, তাও বিশেষন করা প্রয়োজন। সীমিত সম্পদের দেশে উদ্যোগ-সর্বস্ব কর্মকাণ্ডে সম্পদ অপচয়ের মতো প্রাচুর্য আমাদের নেই।
আমাদের তরুণ সমপ্রাদায় বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে, দক্ষতায় বিশ্বসভা থেকে সমীহ আদায় করেছে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ব প্রোগ্রামিং এর আসর থেকে সাফল্য চিনিয়ে আনছে। বিগত ২০ বছর আমাদের শিক্ষার্থীরা এসিএম আইসিপিসি এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছে। আমাদের তরুণ তরুণীদের তথ্যপ্রযুক্তির দক্ষতাও বিশ্বমানের। ডিজিটাল বাংলাদেশ কেবল স্বপ্ন থাকবে না, বাস্তবে পরিণত করার প্রয়োজনীয় উপাদান আমাদের দেশে রয়েছে।
বইটিতে তিনি লিখেছেন, বিদেশ বিভূঁই থেকে তথ্যপ্রযুক্তির সফটওয়্যার এবং প্রকৌশলী এনে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না। আমাদের নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং তা ব্যবহার করতে হবে, তাতে আস্থবান হতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ করার সপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে এবং তাদের নেতৃত্বদানের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ শিক্ষাবিদ, গবেষক, উদক্তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে, দায়িত্ব দিতে হবে।
তিনি তার বইতে আরো লিখেন, সীমিত সম্পদের দেশকে উন্নয়নের পথে যেতে হলে ডিজিটাল বাংলাদেশ অভিধারণার বিকল্প নেই। আশা করি এর বাস্তবায়নে আমাদের সরকার সংশিষ্ট জনগোষ্ঠিকে ঐক্যবদ্ধ করে অভীষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাবে, আমাদের দেশ উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্ব সভায় গর্বের সঙ্গে আবিভূতো হবে। আমি আশা করি ,এই বইটি পড়ে বাংলাদেশের মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে প্রত্যয়ি হবে,অধিকতর আস্থাবান হবে।
নবরাগ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ২৫৬ পৃষ্ঠার রঙ্গিন বইটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০০ টাকা। বইটি ঘরে বসে পেতে চাইলে রকমারী ডটকমের মাধ্যমে অর্ডার করতে পারেন।