এটুআই প্রোগ্রাম এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যৌথ আয়োজনে ৩০ আগস্ট, ২০১৮, বৃহস্পতিবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে ঢাকার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ হতে আগত ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকদের সমন্বয়ে ‘একুশ শতকের দক্ষতা অর্জনে কিশোর বাতায়ন’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আইসিটি বিভাগ, ইউএনডিপি এবং ইউএসএইড এর সহায়তায় এটুআই প্রোগ্রাম শিক্ষা কার্যক্রম উন্নয়নের পাশাপাশি মানসম্মত সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে। উক্ত সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বনামধন্য লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
আজকের শিক্ষার্থীদের একুশ শতকের জন্য দক্ষ করে তোলার একটি মাধ্যম কিশোর বাতায়ন। কিশোর বাতায়নে রয়েছে কিশোর- কিশোরীদের উপযোগী বই, চলচ্চিত্র, কমিকস, মাথা খাটাও, হাতে কলমে বিজ্ঞানের পরীক্ষা এবং খবর-দার এর মতো নানা আকর্ষণীয় সেকশন। সারাদেশ হতে শিক্ষার্থীরা কিশোর বাতায়নের মাধ্যমে জেলা ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম ‘আমার জেলা, আমার অহংকার’ প্রতিযোগিতা; বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সহযোগিতায় ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে ‘বইয়ের পাতায় প্রদীপ জ্বলে, বইয়ের পাতা স্বপ্ন বলে’ বইপড়া কর্মসূচি এবং ‘কৈশোরে বঙ্গবন্ধু, আমার কৈশোর, আমার স্বাধীনতা’ শীর্ষক ডিজিটাল কন্টেন্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। এটুআই প্রোগ্রাম এবং বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই সকল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ৫০০০ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার হিসেবে বই এবং অন্যরকম বিজ্ঞানবক্সের উপহার সমগ্র তুলে দেওয়া হয়েছে। কিশোর বাতায়ন হতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে একটি জাতীয় প্ল্যাটফর্ম। এ বাতায়ন শিক্ষার্থীদের সামনে সৃজনী ভাবনার ক্ষেত্রে একটি নতুন জগত উন্মোচন করবে। সময়ের সদ্ব্যবহার করে আনন্দের সাথে শেখার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা পাবে একটি ভার্চুয়াল শিখন জগত।
উল্লেখ্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখ অমর একুশে বইমেলায় কিশোর-কিশোরীদের সুস্থ বিনোদন এবং মেধা বিকাশের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কিশোর বাতায়নের (www.Konnect.edu.bd) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। কিশোরদের দক্ষতা বিকাশের ক্ষেত্রে কিশোর বাতায়নের ভূমিকা হবে আধুনিক, অভিনব, বাস্তব, অনুশীলন ভিত্তিক ও একুশ শতকের চাহিদাভিত্তিক ও সময়পোযোগী। ব্যক্তিগত (স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, স্বাস্থ্যকর জীবন ধারণ করা, নেতৃত্ব দেয়া, সামাজিকভাবে যোগাযোগ স্থাপন করা ইত্যাদি সম্পর্কে জানা) ও সামাজিক (জেন্ডার কনসেপ্ট, পরিবেশ ও জীবন ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা রাখা) দক্ষতার বিকাশ ঘটবে কিশোর বাতায়নের মাধ্যমে। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালীর অহংকার। মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সিনেমা, বই শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশাত্মবোধ ও দেশপ্রেম জাগ্রত করবে কিশোর বাতায়ন।
অনুষ্ঠানে এটুআই প্রোগ্রামের ই- লার্নিং স্পেশালিষ্ট প্রফেসর ফারুক আহমেদ; এটুআই প্রোগ্রামের এডুকেশনাল টেকনোলজি এক্সপার্ট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মান্নান; মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের গবেষণা কর্মকর্তা ফারহানা আক্তার; ইউএনএফপিএ; ওয়ার্ল্ড ভিশন; সেভ দি চিলড্রেন; বাংলাদেশ স্কাউট; ইউনেস্কো; চিলড্রেন ফিল্ম সোসাইটি; অন্যরকম; বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন।