যু্বকটির নাম শাহীন আহমেদ (ছদ্মনাম)।একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মধ্যম পর্যায়ের চাকুরে। বেতন ৩০ পেরিয়ে। মোহাম্মদপুর থেকে দৈনিক তাকে মগবাজার অফিস করতে হয়। বাড়িতে বউ আর দুটো ছোট মেয়ে। একটি মেয়ে কেবল স্কুল ধরেছে, আরেকটি ছোট। শাহীনের স্ত্রী একটি ছোটখাটো চাকরি করেন। দুজনের সুখী সংসার চলে যায়। ঝামেলা বাধে শাহীনের প্রতিদিনের অফিস টাইম নিয়ে।মেয়ের স্কুল, সকালের নাশতা, অফিসের প্রস্তুতি। প্রতিদিনের ঝামেলা রাস্তার কথা বাদই।
সেদিন খুব আক্ষেপ ছিল শাহীনের মুখে। বাইক চালানো সে নিজেও জানে।কিন্তু এ শহরের রাস্তায় বাইক চালানোর বা বাইকে চড়ার আগ্রহ তার হারিয়ে গেছে। তাই প্রতিদিনের যাতায়াতের ঝামেলা নিয়ে শাহীনের অবস্থা খুবই করুন।স্মাট শাহীন। একদিন পাঠাওয়ে অ্যাপ ডাউনলোড করে ফেলল। খুব কম খরচেই এখন যাতায়াত করতে পারে সে। দ্রুত যেতে পারে। এভাবে পাঠাওয়ের সেবা নিয়ে বেশ চলছিল শাহীনের জীবন।
হঠাৎ, একদিন কান্নাভেজা চোখে শাহীন জানালো তার বড় মেয়েটি খুব অসুস্থ।স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হতে গিয়ে পড়ে গেছে, কপাল কেটে রক্ত ঝরছে। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু কিভাবে দ্রুত নেবে? হঠাৎ, পাঠাও এর কথা মনে পড়ল। দ্রুত এক বাইক চালক এসে হাজির। দ্রুত শাহীনের মেয়েটিকে বাইকে তুলে হাসপাতালে পৗছে দিয়েছে।ভাড়া নিতে চায়নি। পাঠাও চালক বলেছে-ভাই বিপদের সময় আপনার কাছে আসতে পেরেছি, পাঠাওচালক হিসেবে নয় ভাড়া নিতে পারছি না। আপনার মেয়েটা সুস্থ হয়ে উঠুক।
শাহীনের এখন সব কলিগদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে পাঠাও ডাউনলোড করা আছে। বিপদের বন্ধু হিসেবে সব পাঠাও চালককে এখন সম্মানের চোখে দেখে। সেই পাঠাওচালকের সঙ্গে শাহীনের বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। আরও কাছের কিছু মানুষ এখন পাঠাওয়ের চালক। আর পাঠাও ব্যবহারকারীও বাড়ছে। (সত্যি ঘটনার ছায়ারূপ)